সাম্প্রদায়িকতা কি? ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিকাশ

সাম্প্রদায়িকতা কি? ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিকাশ আলোচনা কর।

ভূমিকা: ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উত্থান এবং বিকাশ একটি জটিল প্রক্রিয়া যার সাথে শতবর্ষের ইতিহাস জড়িত। সাম্প্রদায়িকতা হল ধর্ম বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর ভিত্তিতে বিভাজন বা বিচ্ছিন্নতা। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রধানত দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। হিন্দু ও মুসলিম। ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা আসার পর থেকে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। এরপর থেকে লেগে যায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং গড়ে ওঠে ধর্মীয় জাতীয়তাবোধ।

সাম্প্রদায়িকতা: সাম্প্রদায়িকতা হল ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী বা মতাদর্শের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা। এটি একটি বৈষম্যমূলক এবং ক্ষতিকর প্রক্রিয়া যা সমাজে বিভেদ, সহিংসতা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সাম্প্রদায়িকতা সমাজের জন্য একটি বড় হুমকি। এটি সমাজে বিভেদ, সহিংসতা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সাম্প্রদায়িকতার বিভিন্ন রূপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা: ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।
  • জাতিগত সাম্প্রদায়িকতা: জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।
  • গোষ্ঠীগত সাম্প্রদায়িকতা: ভাষাগত, সাংস্কৃতিক বা অন্যান্য গোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।
  • মতাদর্শগত সাম্প্রদায়িকতা: রাজনৈতিক বা অন্যান্য মতাদর্শের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করা।

সাম্প্রদায়িকতার কারণ: সাম্প্রদায়িকতা বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি কারণ নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  • অশিক্ষা এবং কুসংস্কার: অশিক্ষা এবং কুসংস্কার মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা এবং নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে।
  • অর্থনৈতিক বৈষম্য: অর্থনৈতিক বৈষম্য মানুষের মধ্যে অসন্তোষ এবং বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে।
  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিকাশ: ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিকাশ একটি জটিল প্রক্রিয়া। এর পেছনে রয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ জড়িত।ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতীয় উপমহাদেশকে বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে শাসন করা হত। এই বিভাজনের ফলে সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পায়। ব্রিটিশরা নিজেদের স্বার্থে এই বিভাজনকে কাজে লাগিয়েছিল। 

আরো পড়ুনঃ ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কারণ ও তাৎপর্য

১. ব্রিটিশদের চক্রান্ত: ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিকাশে ব্রিটিশদের চক্রান্ত ছিল। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং সুপরিকল্পিত প্রক্রিয়া ছিল। ব্রিটিশরা ভারতীয়দের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজনকে উস্কে দিয়ে এবং তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টা করেছিল। একটি কৌশল ছিল ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং সুযোগ-সুবিধা বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করা। আরেকটি কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িক বিরোধকে উস্কে দেওয়া।

২. হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বৈষম্যের সৃষ্টি: ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ২০০ বছর শাসন করেছিল। এই সময়ের মধ্যে, তারা হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বৈষম্যের একটি কাঠামো তৈরি করেছিল যা আজও ভারতীয় সমাজে অনুরণিত হয়।

ব্রিটিশদের বৈষম্যমূলক নীতিগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষা ও চাকরির সুযোগে বৈষম্য: ব্রিটিশরা হিন্দুদেরকে মুসলিমদের তুলনায় বেশি শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ দিয়েছিল। এই বৈষম্য হিন্দুদেরকে আরও ক্ষমতাশালী এবং প্রভাবশালী করে তুলেছিল, এবং মুসলিমদেরকে বঞ্চিত করেছিল।
  • ধর্মীয় রীতিনীতি ও প্রতিষ্ঠানের উপর নিয়ন্ত্রণ: ব্রিটিশরা ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা হিন্দু ও মুসলিমদের ধর্মীয় রীতিনীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল, এবং তাদেরকে ব্রিটিশ শাসনকে সমর্থন করার জন্য প্ররোচিত করেছিল।
  • হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিরোধ উস্কে দেওয়া: ব্রিটিশরা হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিরোধ উস্কে দেওয়ার জন্য তাদের নিজস্ব বৈষম্যমূলক নীতিগুলি ব্যবহার করেছিল। তারা হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং সহিংসতা উস্কে দিয়েছিল, যা ভারতীয় সমাজে বিভাজন ও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল।

৩. ধর্মীয় নেতাদের স্বার্থগত প্রভাব: ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতায় ধর্মীয় নেতাদের স্বার্থগত প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় নেতারা প্রায়শই সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি দিতেন এবং ধর্মীয় অনুসারীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতেন। এটি তাদের নিজের রাজনৈতিক ও আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতো। পরবর্তীতে ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশে আসলে মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে আরও বেশি সাম্প্রদায়িক মনোভাব তৈরি হয়।

৪. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত: চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে হিন্দু জমিদারগণ বেশি লাভবান হন। হিন্দু জমিদারগণের অধীনে যেসব মুসলিম প্রজারা ছিলেন তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশই খারাপ হতে থাকে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত মূলত ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ সরকারের হাত ধরে প্রবর্তিত হয়। যখন মুসলিমদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে তখন তারা হিন্দুদের প্রতি ক্ষিপ্ত মনোভাব প্রকাশ করে। আর এখান থেকে হিন্দু-মুসলিমদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সাম্প্রদায়িকতা উদ্ভব হয়। 

৫. বিভেদ সৃষ্টিতে ব্রিটিশদের ভূমিকা: ব্রিটিশরা বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটানোর জন্য গুপ্তচর এবং প্রচারকদের ব্যবহার করত। ব্রিটিশরা শিক্ষাব্যবস্থায়ও সাম্প্রদায়িকতাকে উৎসাহিত করেছিল। তারা আলাদা আলাদা ধর্মীয় স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা তৈরি করেছিল।

৬. সিপাহী বিদ্রোহ: ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের একটি বড় বিদ্রোহ। এটি ব্রিটিশ শাসনকে তথা ঔপনিবেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। এই বিদ্রোহ সিপাহীদেড় হাত ধরে শুরু হলেও এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয় মূলত ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে। এই বিদ্রোহের ফলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। 

আরো পড়ুনঃ যুক্তফ্রন্ট কী? ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনের পটভূমি

৭. ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন: ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মের ভিত্তিতে অনেক সংগঠন সৃষ্টি হয়। যেমন: ১৮৬৭ সালের বেনারসের হিন্দুরা উর্দু ভাষার পরিবর্তে হিন্দি ভাষার প্রচলনের জন্য আন্দোলন করেন। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নামে রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হয়। পাশাপাশি, নবগোপাল মিত্র “হিন্দু মেলা” নামে অন্য একটি অর্গানাইজেশন বা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। এমন একাধিক সংগঠন উদ্ভাবনের ফলে মুসলিমরা ক্ষুব্ধ হন। এই ভাষা বা ধর্মের ভিত্তিতে সংগঠন সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করে। 

৮. বঙ্গভঙ্গ: ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশকে দুটি অংশে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যা বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত। এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল ১৯০৫ সালে। এই সিদ্ধান্তটি হিন্দুগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। এই ক্ষোভ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দিকে পরিচালিত করেছিল।

৯. মুসলিম লীগ গঠন: ১৯০৬ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষা করা। যার ফলশ্রুতিতে হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। এটি সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।  

১০. ধর্মীয় চিন্তাবিদদের উত্থান: ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন ধর্মের চিন্তাবিদদের উত্থান লক্ষণীয়। তারা নিজ নিজ ধর্মের জাগরণে বিভিন্ন বক্তব্য এবং লেখালেখি করতে থাকে যার ফলশ্রুতিতে সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পায়।

১১. ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগ: ভারত বিভাগ ছিল ভারতীয় উপমহাদেশকে হিন্দু-প্রধান ভারত এবং মুসলিম-প্রধান পাকিস্তানে বিভক্ত করার প্রক্রিয়া। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ নিয়ে পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক যুক্তি পরিলক্ষিত হয়। এই বিভাগটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার একটি তরঙ্গের দিকে পরিচালিত করেছিল। দেশ ভাগ ১৯৪৭ সালে হলেও এর কার্যক্রম হঠাৎ করে শুরু হয়নি বরং দীর্ঘ সময় ধরে এর ষড়যন্ত্র বা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। 

১২. অসম নাগরিক সুবিধা:  দেশ ভাগ হওয়ার পর প্রত্যেক দেশেই অসমান নাগরিক সুবিধা লক্ষ্য করা যায়। এতে করে দুই দেশেরই সংখ্যালঘু নাগরিকগণ উৎকন্ঠায় জীবন যাপন করেছেন। এক দেশে কোনো ঝামেলা বাধলে অন্য দেশেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। 

১৩. শিক্ষা ও সংস্কৃতি: শিক্ষা ও সংস্কৃতি সাম্প্রদায়িকতা বিকাশে একটি ভূমিকা পালন করেছে। ধর্মীয় শিক্ষা এবং সংস্কৃতি সাম্প্রদায়িক ধারণাগুলিকে শক্তিশালী করে।

১৪. ইংরেজি ভাষার প্রতি মুসলিমদের অনীহা: ইংরেজি শিক্ষা এবং ভাষায় মুসলিমদের অনীহা থাকায় তারা ইংরেজি শিক্ষাকে গ্রহণ করেনি। অন্যদিকে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা ইংরেজি শিক্ষাকে গ্রহণ করে এবং ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন চাকরিতে সুযোগ পায়। আর এদিকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চাকরির সুবিধা বঞ্চিত হয়ে মুসলিমরা  ক্ষোভ প্রকাশ করে। যার ফলে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি হয়

১৫. গণমাধ্যমের নিকৃষ্ট ভূমিকা: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দাঙ্গা বাধানোর জন্য কিছু গণমাধ্যম সব সময় তৎপর থাকে। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অথবা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে তিলকে তাল বানানোর অপপ্রচেষ্টা চালায়। এসব নিকৃষ্ট হলুদ গণমাধ্যমের ফলে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি হয়। 

১৬. শত্রু দেশের উস্কানি: প্রতিবেশী দেশকে “ন্যাচারাল এনিমি” বলা হয়। বিভিন্নভাবে প্রতিবেশী দেশকে দমিয়ে রাখতেনিজ দেশের এজেন্ট সেখানে রাখা হয়। তাদের একমাত্র কাজ হয় ঐ দেশের নাগরিকের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধিয়ে বা দুরুত্ব সৃষ্টি করে দেশের শান্তি নষ্ট করা। এখান থেকে মূলত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। 

আরো পড়ুনঃ সামরিক শাসন বলতে কি বুঝ?

উপসংহার: উপরের গবেষণামূলক আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট হয় যে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার মুলে ছিল ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র। তারা ‘ভাগ কর, শাসন কর” নীতিতে ভারতীয় উপমহাদেশকে শাসন করেছে। তারপর থেকে সাম্প্রদায়িকতা বিভিন্ন জায়গায় কখনো বেশি বা কখনো কম দেখা দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় গান, ছাড়া, কবিতা ইত্যাদি লেখা হয়েছে। যেমন: শাহ আব্দুল করিম এর লেখা গান “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম/আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম/গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান/মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম।” 

Shihabur Rahaman
Shihabur Rahaman

Hey, This is Shihabur Rahaman, B.A (Hons) & M.A in English from National University.

Articles: 263