কোনটি পানিতে দ্রবীভূত হত না?
A
গ্লিসারিন
B
ফিটকিরি
C
সোডিয়াম ক্লোরাইড
D
ক্যালসিয়াম কার্বনেট
উত্তরের বিবরণ
লবণ
-
ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO₃) এক ধরনের লবণ, যা পানিতে গলে না বা দ্রবীভূত হয় না।
-
সাধারণ খাবারে যে লবণ ব্যবহৃত হয় তা হলো –
-
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) – যা আমরা রান্নায় ব্যবহার করি,
-
সোডিয়াম গ্লুটামেট (C₅H₈NO₄Na) – যা খাবারের স্বাদ বাড়ায় (বিশেষ করে চাইনিজ খাবারে)।
-
-
মাটির অম্লতা (এসিডিটি) দূর করতে চুনাপাথর (CaCO₃) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি লবণ।
-
মাটির উর্বরতা বাড়াতে আমরা যে সার ব্যবহার করি, তার অনেকগুলোই আসলে লবণ। যেমন –
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃)
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH₄)₃PO₄)
-
পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO₃)
-
-
তুঁতে বা কপার সালফেট (CuSO₄) একটি লবণ যা কৃষিজমিতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দমন করতে ব্যবহৃত হয়।
-
বেশিরভাগ লবণ পানিতে গলে যায়, তবে কিছু লবণ পানিতে গলে না এবং শৈবাল (algae) নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
যেমন:-
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃)
-
সিলভার সালফেট (Ag₂SO₄)
-
সিলভার ক্লোরাইড (AgCl)
-
এইভাবেই লবণ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় – খাবার, কৃষি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায়।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই।
0
Updated: 3 months ago
সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো—
Created: 1 month ago
A
R3NH+
B
SO3-Na+
C
R2NH2+
D
COO-Na+
সাবান মূলত উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণের সংমিশ্রণ। রাসায়নিকভাবে এটি সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa) নামে পরিচিত। সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো COO⁻Na⁺, যা এর ক্লিনিং ক্ষমতার মূল কারণ।
সাধারণত সাবান তৈরি করা হয় চর্বি এবং ক্ষারকে প্রতিক্রিয়ায় আনা মাধ্যমে। সাবান তৈরির প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত হিসেবে গ্লিসারিন উৎপন্ন হয়।
-
সাধারণত সাবান হলো উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম লবণ (R-COONa) বা উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের পটাশিয়াম লবণ (R-COOK)।
-
রাসায়নিক নাম: সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa)।
-
আয়নিক গ্রুপ: COO⁻Na⁺।
-
তৈরির প্রক্রিয়া: চর্বি এবং ক্ষারের প্রতিক্রিয়া।
-
উপজাত: গ্লিসারিন।
0
Updated: 1 month ago
মকরক্রান্তি রেখা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
২৩°৩০′ দক্ষিণ অক্ষাংশ
B
২৩°৩০′ উত্তর অক্ষাংশ
C
২৩°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ
D
২৩°৩০′ পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ
পৃথিবীর অক্ষ ও সূর্যের অবস্থানের কারণে কিছু নির্দিষ্ট অক্ষরেখা সূর্যের কিরণকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
-
দক্ষিণ গোলার্ধে ২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষরেখা বা ২৩°৩০′ দক্ষিণ অক্ষাংশকে মকরক্রান্তি রেখা বলা হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে ২৩.৫° উত্তর অক্ষরেখাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলা হয়।
-
পৃথিবীর আহ্নিক গতি এবং নিজ অক্ষে ২৩.৫° কোণে হেলে থাকা অবস্থার কারণে সূর্যের কিরণ এই দুই অক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে।
0
Updated: 1 month ago
কোন পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি?
Created: 1 month ago
A
পুকুরের পানিতে
B
লেকের পানিতে
C
নদীর পানিতে
D
সাগরের পানিতে
নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ সাধারণত বেশি থাকে। কারণ নদীর পানি সবসময় প্রবাহিত হয় এবং এতে ঢেউ ও স্রোতের মাধ্যমে পানি বারবার বাতাসের সংস্পর্শে আসে। ফলে বাতাস থেকে অক্সিজেন পানিতে সহজে মিশে যায়।
অন্যদিকে, স্থির জলাশয় যেমন পুকুর বা লেকের পানি নড়াচড়া করে না বললেই চলে, তাই সেখানে বাতাস থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন শোষিত হতে পারে না। এ কারণেই স্থির পানিতে মাছ প্রায়ই শ্বাসকষ্টে ভোগে।
অন্যদিকে সাগরের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এর মূল কারণ হলো সাগরের গভীরতা ও অতিরিক্ত লবণাক্ততা, যা অক্সিজেন মিশ্রণ প্রক্রিয়াকে সীমিত করে।
উৎসঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জীববিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক (বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড - NCTB)
0
Updated: 1 month ago