নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?
A
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১
B
২৬ মার্চ, ১৯৭১
C
ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
D
পয়লা বৈশাখ, চৌদ্দশো সাত
উত্তরের বিবরণ
- যতিচিহ্নের অশুদ্ধ প্রয়োগ ঘটেছে ‘ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২’ বাক্যে।
• বাক্যটির শুদ্ধরূপ হবে- ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
------------------------
• যতিচিহ্ন:
মুখের কথা লিখিত রূপ দেওয়ার সময় কম-বেশি থামা বোঝাতে যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।যতিচিহ্নকে বিরামচিহ্ন বা বিরতি চিহ্নও বলা হয়।
• কমা:
- কমা সামান্য বিরতি নির্দেশ করে। কমা পূর্ণযতি নয়, তাই কমা দিয়ে কোনো বাক্য শেষ হয় না। কমা চিহ্নের বাংলা নাম পাদচ্ছেদ।
- শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়।
• সম্বোধন পদের পরে সাধারণত কমা বসে।
যেমন:
- স্যার, আমাকে ব্যাপারটি বুঝিয়ে দেবেন?
- রব, এদিকে এসো।
• বাক্যে একাধিক বিশেষ্য কিংবা বিশেষণ পদের বিবৃতি প্রকাশের ক্ষেত্রে কমা বসাতে হয়।
যেমন:
- জনি বুদ্ধিমান, সাহসী ও জ্ঞানী।
- মীম, সানি, হারুন ও রব কক্সবাজার গিয়েছে।
• তারিখ লিখতে বার ও মাসের পরে ‘কমা’ বসে।
যেমন:
- ১৯শে আশ্বিন, বৃহস্পতিবার, ১৪২৫ সালে মীম বান্দরবান জেলায় জন্মগ্রহণ করে।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago
নিচের কোনটি বিসর্গ সন্ধি সাধিত শব্দ?
Created: 1 month ago
A
সম্মান
B
নিশ্চয়
C
ষষ্ঠ
D
সন্তাপ
বিসর্গসন্ধি
সংজ্ঞা:
বিসর্গসন্ধি হলো সেই সন্ধি যেখানে শব্দের শেষে থাকা বিসর্গ (ঃ) বিভিন্ন প্রভাবে পরিবর্তিত হয় বা অপরিবর্তিত থাকে।
বিসর্গের প্রধান পরিবর্তন:
-
বিসর্গ বিদ্যমান থাকে:
-
মনঃ + কষ্ট = মনঃকষ্ট
-
অধঃ + পতন = অধঃপতন
-
বয়ঃ + সন্ধি = বয়ঃসন্ধি
-
-
বিসর্গ ‘ও’তে রূপান্তরিত হয়:
-
মনঃ + যোগ = মনোযোগ
-
তিরঃ + ধান = তিরোধান
-
তপঃ + বন = তপোবন
-
-
বিসর্গ ‘র্’ হয়:
-
নিঃ + আকার = নিরাকার
-
পুনঃ + মিলন = পুনর্মিলন
-
আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ
-
-
বিসর্গ শ/ষ/স্ হয়:
-
নিঃ + চয় = নিঃচয় / নিশ্চয়
-
দুঃ + কর = দুষ্কর
-
পুরঃ + কার = পুরস্কার
-
-
পূর্ববর্তী স্বর দীর্ঘ হয়:
-
নিঃ + রব = নীরব
-
নিঃ + রস = নীরস
-
নিঃ + রোগ = নীরোগ
-
0
Updated: 1 month ago
সূর্য- এর প্রতিশব্দ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আদিত্য
B
ভাস্কর
C
অরুণ
D
শশাঙ্ক
‘সূর্য’ শব্দের প্রতিশব্দের মধ্যে রয়েছে রবি, সবিতা, দিবাকর, আদিত্য এবং অন্যান্য সমার্থক শব্দ। এটি সূর্যের বিভিন্ন রূপ বা প্রসঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
-
সূর্য = রবি, সবিতা, দিবাকর, আদিত্য, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, দিনপতি ইত্যাদি
অন্যান্য:
-
শশাঙ্ক = চাঁদ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'তুমি এতক্ষণ কী করেছ?'- এই বাক্যে 'কী' কোন পদ?
Created: 3 months ago
A
কবিশেষণ
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
'তুমি এতক্ষণ করেছ' এই বাক্যে 'কী' প্রশ্নবাচক সর্বনাম পদ।
------------------
সর্বনাম পদ:
বাক্যে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকেই সর্বনাম পদ বলে।
• প্রশ্নবাচক সর্বনাম:
যে সর্বনাম দ্বারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রশ্ন করা বুঝায় তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে।
এ জাতীয় সর্বনা হলো : কে, কী, কোন, কার, কাকে, কীসে ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সর্বনামসমূহকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
যথা:
১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
২. আত্মবাচক সর্বনাম: স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
৩. সামীপ্যবাচক সর্বনাম: এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
৪. দূরত্ববাচক সর্বনাম: ঐ, ঐসব।
৫. সাকুল্যবাচক সর্বনাম: সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
৬. প্রশ্নবাচক সর্বনাম: কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে?
[প্রশ্ন তৈরির জন্য প্রশ্নবাচক সর্বনাম প্রয়োগ করা হয়। যেমন - কী দিয়ে ভাত খায়?]
৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম: কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
৮. ব্যতিহারিক সর্বনাম: আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
৯. সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম: যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
১০. অন্যাদিবাচক সর্বনাম: অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি [২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ]।
0
Updated: 3 months ago