প্রবেশন এবং প্যারোল এর মধে পার্থক্য
প্রবেশন (Probation) এবং প্যারোল (Parole) আইনি ব্যবস্থার দুটি পৃথক প্রক্রিয়া, যা অপরাধীদের পুনর্বাসন এবং সংশোধন করতে ব্যবহৃত হয়। নিচের তুলনামূলক টেবিলে এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হলো:
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ
বিষয় | প্রবেশন (Probation) | প্যারোল (Parole) |
---|---|---|
সংজ্ঞা | প্রবেশন হল আদালতের মাধ্যমে শাস্তি স্থগিত রেখে অপরাধীকে নিয়ন্ত্রিত শর্তে সমাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। | প্যারোল হল কারাগারে নির্দিষ্ট সময় শাস্তি ভোগ করার পর শর্তাধীন মুক্তি। |
কারাগারের সম্পর্ক | অপরাধীকে কারাগারে পাঠানো হয় না, বরং শর্ত মেনে চললে সমাজে থাকতে দেওয়া হয়। | অপরাধী কিছু সময় কারাগারে শাস্তি ভোগ করার পর প্যারোলের শর্তে মুক্তি পান। |
নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ | প্রবেশন আদালতের অধীনে পরিচালিত হয়। | প্যারোল বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্যারোল পরিচালনা করে। |
অবস্থা শুরু | অপরাধের শাস্তি শুরু হওয়ার আগে বা শাস্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়। | অপরাধী শাস্তির কিছু অংশ কারাগারে ভোগ করার পর প্যারোল শুরু হয়। |
তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা | একজন প্রবেশন অফিসার অপরাধীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। | একজন প্যারোল অফিসার মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। |
শর্ত লঙ্ঘন | শর্ত লঙ্ঘন করলে অপরাধীকে কারাগারে পাঠানো হতে পারে। | শর্ত লঙ্ঘন করলে বন্দীকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। |
আদালতের ভূমিকা | প্রবেশন আদালতের আদেশে সরাসরি শুরু হয়। | প্যারোল বোর্ড বন্দীর আচরণ বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। |
মেয়াদ | প্রবেশন সাধারণত আদালত কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয়। | প্যারোল শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকে, যা শাস্তির সময়ের মধ্যেই থাকে। |
প্রধান উদ্দেশ্য | অপরাধীকে কারাবাস এড়িয়ে সমাজে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া। | কারাগারে শাস্তির অংশ ভোগ করার পর বন্দীকে সমাজে পুনর্বাসন করা। |
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ
উপরের টেবিলে প্রবেশন এবং প্যারোলের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় যে দুটো ব্যবস্থা অপরাধী পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্নভাবে কার্যকর হয়।