'সঞ্জীবনী'-এর অর্থ কী?
‘সঞ্জীবনী’ শব্দের অর্থ হলো এমন কোনো পদার্থ বা শক্তি যা প্রাণ ফিরিয়ে আনতে বা জীবনদানের ক্ষমতা রাখে। এটি সাধারণত জীবনদায়ক বা পুনর্জীবনকারী ঔষধ, উপাদান বা শক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন কাহিনী, পৌরাণিক গ্রন্থ এবং লোককাহিনীতে ‘সঞ্জীবনী’কে এমন এক শক্তিশালী ঔষধ হিসেবে বর্ণনা করা হয় যা মৃত বা অচেতন ব্যক্তিকে জীবিত করে তুলতে পারে।
শব্দটি মূলত সংস্কৃত ‘সঞ্জীবনী’ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ “জীবনদানকারী” বা “প্রাণ ফিরিয়ে আনা”। বাংলায় কথ্য ও সাহিত্যিক ব্যবহারেও এই শব্দটি সাধারণত অত্যন্ত কার্যকর, জীবনদায়ক ও অলৌকিক প্রভাবসম্পন্ন পদার্থ বা শক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
সঞ্জীবনী-এর প্রয়োগ ও প্রাসঙ্গিকতা:
-
ঔষধি ও স্বাস্থ্য: প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে কিছু ঔষধকে সঞ্জীবনী বলা হয়েছে, যা রোগ নিরাময় বা প্রাণদায়ক হিসেবে পরিচিত।
-
পৌরাণিক কাহিনী: রামায়ণ, মহাভারত ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনীতে সঞ্জীবনী গাছ বা ঔষধের উল্লেখ আছে, যা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত বা মৃত ব্যক্তিকে পুনর্জীবিত করতে পারে।
-
সাহিত্য ও কবিতা: কবিতা, গল্প বা নাটকে ‘সঞ্জীবনী’ শব্দটি প্রায়শই প্রাণদায়ক শক্তি বা অনুপ্রেরণামূলক উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রতীকী অর্থে ব্যবহার: দৈনন্দিন জীবনে এটি সঙ্কটমোচন, পুনর্জীবন বা নতুন শক্তি অর্জন বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়। যেমন, “প্রিয় বন্ধু এসে আমার উৎসাহে সঞ্জীবনী ঢেলে দিল।”
টেবিল আকারে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
| বিষয় | অর্থ/বিবরণ |
|---|---|
| শব্দ | সঞ্জীবনী |
| অর্থ | প্রাণদায়ক, পুনর্জীবনকারী পদার্থ বা শক্তি |
| উৎস | সংস্কৃত ‘সঞ্জীবনী’ (জীবনদানকারী) |
| প্রয়োগ | ঔষধি, পৌরাণিক কাহিনী, সাহিত্য, প্রতীকী অর্থ |
| উদাহরণ | পৌরাণিক কাহিনীর সঞ্জীবনী গাছ, জীবনদায়ক ঔষধ বা শক্তি |
বাংলায় ‘সঞ্জীবনী’ শব্দটি মূলত প্রাণ ফিরিয়ে আনা বা জীবনদানকারী শক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি কেবল পৌরাণিক বা অলৌকিক প্রয়োগে সীমাবদ্ধ নয়, বরং স্বাস্থ্য, সাহিত্য ও প্রতীকী অর্থেও ব্যবহৃত হয়। শব্দটি জীবনের গুরুত্ব, শক্তি এবং পুনর্জীবনের ধারণা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।