পরিবৃত্তের ব্যাসার্ধ নির্ণয়ের সূত্র কি (সমবাহু ও সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রে)?
পরিবৃত্তের ব্যাসার্ধ নির্ণয় করা হয় ত্রিভুজের বাহুগুলোর ওপর ভিত্তি করে, যা ত্রিভুজকে ঘেরা একটি বৃত্তের (circumcircle) ব্যাসার্ধ দেয়। এটি ত্রিভুজের বাহু এবং ক্ষেত্রফলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সাধারণত সমবাহু ও সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রে সহজ সূত্রে প্রকাশ করা যায়।
ত্রিভুজের তিনটি বাহু যদি যথাক্রমে , , হয় এবং ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল হয়, তবে ত্রিভুজের পরিবৃত্ত (circumcircle) ব্যাসার্ধ গণনা করা যায় নিম্নলিখিত সাধারণ সূত্রে:
এটি সব ধরনের ত্রিভুজের জন্য প্রযোজ্য। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সমবাহু ও সমদ্বিবাহু ত্রিভুজে এটি আরও সহজভাবে প্রকাশ করা যায়।
সমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রে:
সমবাহু ত্রিভুজের প্রতিটি বাহু সমান, ধরা যাক । সমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয় হয়:
তাহলে পরিবৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে:
সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রে:
সমদ্বিবাহু ত্রিভুজে দুইটি বাহু সমান, ধরা যাক । ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে হেরন সূত্র ব্যবহার করা যায়:
তাহলে পরিবৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে:
বুলেট আকারে সারসংক্ষেপ:
-
ত্রিভুজের সাধারণ সূত্র:
-
সমবাহু ত্রিভুজ:
-
সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ:
টেবিল আকারে তুলনা:
| ত্রিভুজের ধরন | বাহু | ক্ষেত্রফল | পরিবৃত্ত ব্যাসার্ধ |
|---|---|---|---|
| সাধারণ ত্রিভুজ | |||
| সমবাহু | |||
| সমদ্বিবাহু |
পরিবৃত্তের ব্যাসার্ধ নির্ণয়ের মূল সূত্র হলো , যা সব ধরনের ত্রিভুজে প্রযোজ্য। সমবাহু এবং সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রে এটি সহজতর রূপে প্রকাশ করা যায়, যা গণনা ও প্রয়োগকে দ্রুত এবং সুবিধাজনক করে।