তৃণমূল শব্দটির মানে কী?
“তৃণমূল” শব্দটির অর্থ হলো সমাজের সেই স্তর যেখানে সাধারণ মানুষ বসবাস করে, অর্থাৎ নীচের বা মূল স্তরের জনগণ। এটি মূলত বোঝায় সমাজের সাধারণ মানুষ বা Grassroots স্তর, যারা অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাবশালী নয়, কিন্তু যাদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক বা অর্থনৈতিক নীতি বা আন্দোলন সম্পূর্ণ হয় না। শব্দটি সাধারণত বাঙালি সাহিত্য, রাজনীতি এবং সাধারণ কথ্য ভাষায় ব্যবহৃত হয়। রাজনীতিতে “তৃণমূল” বলতে বোঝানো হয় সেই জনগণকে, যারা কোনো দল বা নীতির প্রাথমিক সমর্থক, যাদের ছাড়া রাজনৈতিক কাঠামো কার্যকরভাবে পরিচালিত হয় না।
শব্দটি দুটি উপাদান থেকে এসেছে—“তৃণ” অর্থ ঘাস বা ছোট পাতা এবং “মূল” অর্থ শিকড় বা ভিত্তি। এটি নির্দেশ করে যে, সমাজ বা সংগঠনের ভিত্তি হলো সাধারণ মানুষ, যেমন কোনো গাছের শিকড় শক্ত থাকলে গাছ স্থিতিশীল থাকে। অর্থাৎ, কোনো রাষ্ট্র, সমাজ বা আন্দোলনের স্থায়িত্বের মূল ভিত্তি হলো এই তৃণমূল জনগণ। রাজনীতিতে তৃণমূল জনগণ কোনো নীতির গ্রহণযোগ্যতা বা রাজনৈতিক দলের শক্তি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তৃণমূল শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্তরেই সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এ শব্দ ব্যবহার করা হয় সাধারণ জনগণের ভূমিকা বোঝাতে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বড় প্রতিষ্ঠান বা সরকারের নীতি প্রণয়নে যখন সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হয়, তখন তাদেরকে তৃণমূল বলা হয়। এটি বোঝায় যে নীচ থেকে উপরের স্তরে জনগণের অংশগ্রহণ এবং সমর্থন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।
-
তৃণমূল মানে সমাজের সাধারণ মানুষ বা Grassroots স্তর।
-
রাজনীতিতে এরা প্রাথমিক সমর্থক, যারা দলের শক্তি ও নীতির গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
-
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ করে।
-
আন্দোলন বা নীতির স্থায়িত্বের ভিত্তি হলো তৃণমূল জনগণ।
-
শব্দটির উৎপত্তি: “তৃণ” (ঘাস/পাতা) + “মূল” (root), অর্থাৎ সমাজ বা সংগঠনের ভিত্তি।
-
এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের স্থায়িত্বের জন্য অপরিহার্য, কারণ শীর্ষ স্তর ও নীতির কার্যকারিতা এই স্তরের সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল।
| শব্দ | অর্থ | ব্যবহার ক্ষেত্র | উদাহরণ |
|---|---|---|---|
| তৃণমূল | সমাজের সাধারণ মানুষ বা নীচের স্তর | রাজনীতি, সামাজিক নীতি, আন্দোলন | রাজনৈতিক আন্দোলনের তৃণমূল সমর্থক, তৃণমূল জনগণ, গ্রাম্য সমিতি বা স্থানীয় সংগঠন |
তৃণমূল হলো সমাজ বা কোনো সংগঠনের ভিত্তি, যেখানে সাধারণ মানুষ মূল ভূমিকা পালন করে। রাজনীতিতে এটি বিশেষভাবে বোঝায় সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ ও সমর্থন, যা কোনো নীতি, দল বা আন্দোলনের সফলতা নির্ধারণে অপরিহার্য। সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তৃণমূলের সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকলে নীতি গ্রহণ বা আন্দোলন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।