ভেক্টর যোগের ত্রিভুজ সূত্র কী?

Avatar
calender 07-11-2025

ভেক্টর যোগের ত্রিভুজ সূত্র হলো দুটি ভেক্টরকে একটি ত্রিভুজের মতো সাজিয়ে যোগ করার পদ্ধতি, যেখানে প্রথম ভেক্টরের শেষবিন্দু থেকে দ্বিতীয় ভেক্টরের শুরুবিন্দুতে রেখা অঙ্কন করে তৃতীয় ভেক্টরকে যোগফল হিসেবে ধরা হয়।

ভেক্টর যোগের ত্রিভুজ সূত্র ভেক্টরের মৌলিক বৈশিষ্ট্য এবং মান নির্ণয় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। দুইটি ভেক্টরকে ত্রিভুজ আকারে অঙ্কন করলে, প্রথম ভেক্টরের প্রান্তবিন্দু থেকে দ্বিতীয় ভেক্টরের শুরুবিন্দুতে একটি রেখা টেনে ফাইনাল ভেক্টর (যোগফল) পাওয়া যায়। অর্থাৎ, যদি ভেক্টর A এবং B ত্রিভুজ সূত্রে যোগ করা হয়, তাহলে তৃতীয় ভেক্টর R = A + B হবে, যা প্রথম ভেক্টরের শুরুবিন্দু থেকে দ্বিতীয় ভেক্টরের শেষবিন্দু পর্যন্ত নির্দেশিত।

ত্রিভুজ সূত্রের মূল বৈশিষ্ট্য:

  • ভেক্টর যোগে পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

  • প্রথম ভেক্টরের শেষবিন্দু থেকে দ্বিতীয় ভেক্টরের শুরুবিন্দুতে সংযোগ স্থাপন করা হয়।

  • তৃতীয় ভেক্টর, যা প্রথম এবং দ্বিতীয় ভেক্টরের যোগফল, প্রথম ভেক্টরের শুরুবিন্দু থেকে দ্বিতীয় ভেক্টরের শেষবিন্দু পর্যন্ত অঙ্কিত হয়।

  • ভেক্টরের দিক এবং মান অনুযায়ী ত্রিভুজ আকারে সংযোগ এবং সমন্বয় ঘটে।

  • এটি ভেক্টরের পর্যায়ক্রমিক যোগফল নির্ণয় এবং সরলীকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

টেবিল আকারে ভেক্টর যোগের ত্রিভুজ সূত্র:

উপাদান ব্যাখ্যা
ভেক্টর A প্রথম ভেক্টর, যেটি ত্রিভুজের একটি বাহু হিসেবে কাজ করে
ভেক্টর B দ্বিতীয় ভেক্টর, যার শুরুবিন্দু প্রথম ভেক্টরের শেষবিন্দুতে অবস্থান করে
যোগফল ভেক্টর R প্রথম ভেক্টরের শুরুবিন্দু থেকে দ্বিতীয় ভেক্টরের শেষবিন্দু পর্যন্ত অঙ্কিত ভেক্টর, যা R = A + B
প্রক্রিয়া প্রথম ভেক্টরের শেষবিন্দুতে দ্বিতীয় ভেক্টরের শুরুবিন্দু যুক্ত করে ত্রিভুজ তৈরি করা

ত্রিভুজ সূত্র ভেক্টর যোগের একটি দৃশ্যমান এবং কার্যকর পদ্ধতি, যা ভেক্টরের মান এবং দিক সহজভাবে নির্ণয় করতে সাহায্য করে। এটি মূলত ভেক্টরের পর্যায়ক্রমিক যোগফল বোঝায় এবং বিশেষভাবে তখন ব্যবহৃত হয় যখন দুটি ভেক্টর কোনো কোণে মিলিত হয়। ত্রিভুজ সূত্র ব্যবহার করে ভেক্টরের সংযোগ, যোগফল এবং দিক নির্ধারণ করা সহজ এবং শিক্ষাগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD