বিয়োগের সংক্ষিপ্ত রূপ কী?

Avatar
calender 07-11-2025

বিয়োগের সংক্ষিপ্ত রূপ হলো “–” (ঋণ চিহ্ন বা মাইনাস সাইন)। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক প্রতীক যা কোনো সংখ্যা বা পরিমাণ থেকে অন্য একটি সংখ্যা বা পরিমাণ বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। গণিতের মৌলিক চারটি ক্রিয়ার মধ্যে—যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ—বিয়োগ হলো দ্বিতীয় প্রধান ক্রিয়া। এই চিহ্নটি প্রাচীন গ্রিক ও ইউরোপীয় গণিতবিদদের হাতে গাণিতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহার শুরু হয় এবং বর্তমানে এটি বিশ্বব্যাপী গাণিতিক ভাষার অবিচ্ছেদ্য অংশ। উদাহরণস্বরূপ, ৮ – ৫ = ৩, এখানে “–” চিহ্নটি বোঝাচ্ছে যে ৮ থেকে ৫ বিয়োগ করলে অবশিষ্ট থাকে ৩। অর্থাৎ, এই চিহ্নটি সংখ্যা কমানোর বা পার্থক্য নির্ণয়ের কাজ করে।

ব্যাখ্যা ও তথ্য:

  • “–” চিহ্নকে ইংরেজিতে Minus Sign বা Subtraction Sign বলা হয়।

  • এটি মূলত দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য বা ঘাটতি নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়।

  • এই চিহ্নটি শুধু সাধারণ গণিতেই নয়, বীজগাণিতিক সমীকরণ, জ্যামিতি, হিসাবরক্ষণ এবং পরিসংখ্যানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

  • যেমন:

    • ১২ – ৭ = ৫

    • x – y = z

    • ৫০ টাকা – ৩০ টাকা = ২০ টাকা (এখানে ৫০ টাকার মধ্যে থেকে ৩০ টাকা বাদ দিলে অবশিষ্ট ২০ টাকা থাকে)

  • কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষায়ও “–” চিহ্ন ব্যবহৃত হয় বিয়োগ বা মান হ্রাস বোঝাতে, যেমন:

    • C, Python বা Java-তে a = b – c অর্থাৎ a এর মান হবে b থেকে c বিয়োগের ফলাফল।

  • এর বিপরীত হলো “+” চিহ্ন, যা যোগ বোঝায়।

উপসংহার:
বিয়োগের সংক্ষিপ্ত রূপ “–” কেবল একটি সাধারণ গাণিতিক প্রতীক নয়, এটি যুক্তি, পরিমাপ ও বিশ্লেষণের ভিত্তি। দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান—সব ক্ষেত্রেই “–” চিহ্নটি সংখ্যা ও তথ্যের পার্থক্য বোঝাতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD