জারিত বা বিজারিত মানে কী?
জারিত এবং বিজারিত হলো বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, যা মূলত পরিচিতি, প্রচলন ও বিরলতা নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। সংক্ষেপে, জারিত মানে পরিচিত, প্রচলিত বা স্বীকৃত কিছু, যা সমাজ বা সম্প্রদায়ে দীর্ঘকাল ধরে মান্য এবং গ্রহণযোগ্য। অন্যদিকে, বিজারিত মানে অপ্রচলিত, অচেনা বা বিরল, অর্থাৎ যা সাধারণভাবে পরিচিত নয় বা প্রচলিত নেই। এই দুই শব্দ সাধারণত সাহিত্য, সামাজিক প্রথা, আচরণ ও সংস্কৃতিতে ব্যবহার হয়, যেখানে কোনো জিনিসের স্বীকৃতি বা বিরলতা বোঝানো প্রয়োজন।
ভাষাগত দৃষ্টিকোণ থেকে, “জারিত” শব্দটি এমন কিছুকে নির্দেশ করে যা সমাজে প্রতিষ্ঠিত, দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বীকৃত, যেমন—প্রথা, নিয়ম বা রীতি। উদাহরণ: “ঋতু উৎসবটি আমাদের জারিত প্রথা।”
বিপরীতে, “বিজারিত” নির্দেশ করে এমন কিছু যা অপ্রচলিত, নতুন বা অচেনা, যেমন—“বিজারিত শৈলী” বা “বিজারিত আচরণ।” সাহিত্যিক বা সামাজিক প্রসঙ্গে, এই শব্দদ্বয়ের ব্যবহার পরিচিতি ও বিরলতার তুলনা প্রকাশ করতে সহায়ক।
নিচে টেবিলের মাধ্যমে সহজভাবে তুলনা করা হলো—
| বিষয় | জারিত | বিজারিত |
|---|---|---|
| অর্থ | প্রচলিত, স্বীকৃত, পরিচিত, মান্য | অপ্রচলিত, অচেনা, বিরল, নতুন |
| ব্যবহার | সমাজে প্রতিষ্ঠিত প্রথা, নিয়ম, আচরণ | বিরল শৈলী, অচেনা অভ্যাস বা নতুন ধারণা |
| উদাহরণ | “ঋতু উৎসবটি একটি জারিত প্রথা।” | “তার পোশাকের স্টাইল ছিল বিজারিত।” |
| প্রকাশের উদ্দেশ্য | পরিচিতি বা স্বীকৃতি বোঝানো | বিরলতা বা অপ্রচলিততা বোঝানো |
সংক্ষেপে বলা যায়, জারিত = পরিচিত ও প্রচলিত, আর বিজারিত = অপ্রচলিত ও বিরল। সাহিত্যে, সমাজে বা দৈনন্দিন জীবনে এই শব্দগুলো ব্যবহার করে বিষয়ের স্বাভাবিকতা বা অস্বাভাবিকতার মাত্রা স্পষ্টভাবে বোঝানো যায়।