যৌথ মূলধনী কোম্পানির মূলধন একাধিক শেয়ারে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি শেয়ার মূলত একটি ছোট অংশ যা সেই কোম্পানির মূলধনের প্রতিনিধিত্ব করে। সাধারণভাবে, শেয়ার হলো একটি পুঁজি বা সম্পত্তি যা একটি কোম্পানির মালিকানা ভাগ করে রাখে এবং এটি প্রমাণ করে যে একজন শেয়ারহোল্ডারের কোম্পানিতে কতটুকু অংশ রয়েছে।
শেয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন:
-
শেয়ারের মৌলিক ধারণা:
শেয়ার হলো একটি ঐতিহাসিক এবং মূলধন-বিহীন চুক্তি, যা একটি কোম্পানির মালিকানা ভাগ করে। একে সাধারণত নির্দিষ্ট পরিমাণে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। শেয়ারধারীরা কোম্পানির লাভ বা ক্ষতির অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হয়। -
কোম্পানির মূলধনে শেয়ারের ভূমিকা:
একটি কোম্পানির মূলধনকে শেয়ারে ভাগ করা হয়, এবং সেই শেয়ারগুলো ইস্যু করা হয় বিনিয়োগকারীদের কাছে। শেয়ারগুলি কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর মাধ্যমে চলমান কার্যক্রমে সহায়তা করে, এবং এটি কোম্পানির আর্থিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। -
শেয়ারের প্রকারভেদ:
শেয়ার দুটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত: সাধারণ শেয়ার (Common Stock) এবং প্রাধান্য শেয়ার (Preferred Stock)। সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির সাধারণ অধিকার ভোগ করে, যেমন: ভোটাধিকার, লাভের অংশ (ডিভিডেন্ড) ইত্যাদি। প্রাধান্য শেয়ারধারীরা সাধারণত লাভের অংশ পেতে প্রথম সুযোগ পান, তবে তাদের ভোটাধিকার সীমিত হতে পারে। -
শেয়ারের বাজার:
শেয়ারগুলি মূলত শেয়ার বাজারে কেনা-বেচা হয়। এটি একটি স্থান যেখানে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতে এবং বিক্রি করতে পারে। শেয়ার বাজারের দাম বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণে ওঠানামা করে, যেমন কোম্পানির মুনাফা, বাজারের চাহিদা, রাজনৈতিক প্রভাব ইত্যাদি। -
শেয়ার কেনার সুবিধা:
শেয়ার কেনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির মুনাফার অংশীদার হয়ে ওঠে এবং তা ভবিষ্যতে লাভবান হতে পারে। অধিকাংশ শেয়ারধারী আশা করেন যে শেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং তারা তা বিক্রি করে লাভ করবেন। -
শেয়ারের ঝুঁকি:
যদিও শেয়ার থেকে লাভের সম্ভাবনা থাকে, তবে তা ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। কোম্পানির দেউলিয়া হওয়ার বা অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণের কারণে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ফলাফল নেতিবাচক হতে পারে। তাই শেয়ার কেনার আগে ভালোভাবে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করা জরুরি।
শেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক উপকরণ যা কোম্পানির মালিকানা প্রতিনিধিত্ব করে এবং এটি বাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা লাভের সুযোগ প্রদান করে। তবে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, এবং শেয়ার কেনার আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এবং বাজারের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা অপরিহার্য।