10 টি উভচর প্রাণীর নাম কী?
উভচর প্রাণী (Amphibians) হলো এমন প্রাণী যারা জল ও স্থল উভয় জায়গায় বাস করতে পারে। এদের দেহে সাধারণত নরম ত্বক থাকে, যা দিয়ে শ্বাস নিতে পারে। জীবনের প্রথম পর্যায়ে তারা পানিতে ডিম পাড়ে এবং লার্ভা অবস্থায় ফুলকার সাহায্যে শ্বাস নেয়, পরে তারা স্থলজীবনে ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস নেয়। নিচে ১০টি পরিচিত উভচর প্রাণীর নাম দেওয়া হলো।
সঠিক উত্তর:
ব্যাঙ (Frog)
কচ্ছপে ব্যাঙ বা টড (Toad)
সালামান্ডার (Salamander)
নিউট (Newt)
অ্যাক্সোলটল (Axolotl)
কোকি ব্যাঙ (Coquí Frog)
ট্রি ফ্রগ বা বৃক্ষব্যাঙ (Tree Frog)
টাইগার সালামান্ডার (Tiger Salamander)
কেসিলিয়ান (Caecilian)
হেলবেন্ডার (Hellbender)
বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও তথ্য উপাত্ত
উভচর প্রাণীর বৈশিষ্ট্য
-
জীবনের প্রাথমিক পর্যায় (লার্ভা অবস্থায়) পানিতে এবং পরবর্তী সময়ে স্থলে বসবাস করে।
-
দেহে আঁশ থাকে না; ত্বক আর্দ্র ও নরম।
-
ডিম পাড়ে সাধারণত জলের মধ্যে।
-
ঠান্ডা রক্তের প্রাণী (Cold-blooded)।
-
ত্বক ও ফুসফুস উভয় মাধ্যমেই শ্বাস নেয়।
উদাহরণ অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত বিবরণ
| প্রাণীর নাম | বৈজ্ঞানিক নাম | সংক্ষিপ্ত বর্ণনা |
|---|---|---|
| ব্যাঙ | Rana tigrina | উভচর প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত; পানিতে ডিম পাড়ে। |
| টড | Bufo melanostictus | ব্যাঙের মতো, তবে ত্বক খসখসে এবং স্থলে বেশি থাকে। |
| সালামান্ডার | Salamandra salamandra | লম্বা লেজওয়ালা উভচর; ইউরোপে বেশি দেখা যায়। |
| নিউট | Triturus vulgaris | পানিতে ও স্থলে উভয় জায়গায় থাকে; লেজ রয়েছে। |
| অ্যাক্সোলটল | Ambystoma mexicanum | মেক্সিকো অঞ্চলের উভচর প্রাণী; লার্ভা অবস্থায়ও প্রজনন সক্ষম। |
| ট্রি ফ্রগ | Hyla arborea | গাছে বসবাসকারী ব্যাঙ; পায়ের আঙুলে আঠালো প্যাড থাকে। |
| কোকি ব্যাঙ | Eleutherodactylus coqui | ছোট আকারের ব্যাঙ, পুয়ের্তো রিকোতে বেশি পাওয়া যায়। |
| টাইগার সালামান্ডার | Ambystoma tigrinum | বড় আকারের সালামান্ডার, ডোরাকাটা দাগযুক্ত। |
| কেসিলিয়ান | Ichthyophis glutinosus | সাপের মতো দেখতে উভচর প্রাণী; অধিকাংশ সময় মাটির নিচে থাকে। |
| হেলবেন্ডার | Cryptobranchus alleganiensis | বৃহৎ আকারের জলজ উভচর, উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়। |
উপসংহার
অতএব, উভচর প্রাণী হলো এমন এক শ্রেণির প্রাণী যারা জীবনের একাংশ পানিতে ও অপর অংশ স্থলে কাটায়। ব্যাঙ, টড, সালামান্ডার, নিউট, কেসিলিয়ান প্রভৃতি তাদের প্রধান প্রতিনিধি। এরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে এবং জল-স্থল বাস্তুতন্ত্রের সংযোগ রক্ষায়।