কর্পূর, নিশাদল এবং ন্যাপথালিনের মধ্যে পার্থক্য কী?

Avatar
calender 29-10-2025

কর্পূর, নিশাদল ও ন্যাপথালিন তিনটিই উড়নশীল (volatile) পদার্থ, তবে তাদের উৎস, গঠন, গন্ধ ও ব্যবহারে পার্থক্য রয়েছে। নিচে সংক্ষেপে পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এই তিনটি পদার্থই ঘর বা পোশাকের আলমারিতে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু তাদের রাসায়নিক প্রকৃতি ও ব্যবহারের উদ্দেশ্য এক নয়। কর্পূর প্রাকৃতিক, নিশাদল ভেষজ, আর ন্যাপথালিন কৃত্রিম পদার্থ।

পার্থক্যসমূহ:

উৎপত্তি:
কর্পূর: এটি একটি প্রাকৃতিক পদার্থ, কর্পূর গাছের কাঠ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
নিশাদল: এটি একটি ভেষজ বা উদ্ভিদজাত পদার্থ, সাধারণত ওষুধে ব্যবহৃত হয়।
ন্যাপথালিন: এটি একটি কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থ, কয়লার টার বা পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য থেকে তৈরি করা হয়।

গন্ধ:
– কর্পূরের গন্ধ মিষ্টি ও ঝাঁঝালো।
– নিশাদলের গন্ধ কিছুটা তীব্র ও ওষুধের মতো।
– ন্যাপথালিনের গন্ধ কটু ও তীব্র, যা পোকারা সহ্য করতে পারে না।

রাসায়নিক গঠন:
– কর্পূর একটি টারপিন যৌগ (C₁₀H₁₆O)।
– নিশাদলের রাসায়নিক গঠন জটিল এবং উদ্ভিদভেদে পরিবর্তিত হয়।
– ন্যাপথালিন একটি অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (C₁₀H₈)।

ব্যবহার:
– কর্পূর ধর্মীয় কাজ, ওষুধ, সুগন্ধি এবং ঠান্ডা তেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
– নিশাদল মূলত চিকিৎসা ও ভেষজ কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন সর্দি, কাশি ও ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে।
– ন্যাপথালিন কাপড়ের আলমারিতে পোকা ও ছত্রাক থেকে রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়।

প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা:
– কর্পূর স্বল্পমাত্রায় নিরাপদ, তবে অতিমাত্রায় ক্ষতিকর।
– নিশাদল ওষুধ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য, তবে সীমিত পরিমাণে।
– ন্যাপথালিন বিষাক্ত এবং খাবার বা শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে ক্ষতি করতে পারে।

সারসংক্ষেপে:
কর্পূর প্রাকৃতিক সুগন্ধযুক্ত ও ঔষধি কাজে ব্যবহৃত পদার্থ, নিশাদল ভেষজ প্রকৃতির, আর ন্যাপথালিন একটি কৃত্রিম ও বিষাক্ত পদার্থ যা মূলত কাপড়ের পোকা তাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD