লবন কাকে বলে?
লবণ হলো একধরনের রাসায়নিক যৌগ, যা কোনো অ্যাসিড (অম্ল) ও ক্ষার (ক্ষারক) পরস্পরের বিক্রিয়ায় গঠিত হয়। এই বিক্রিয়ায় পানি ও লবণ উৎপন্ন হয়, এবং একে বলা হয় নিউট্রালাইজেশন বিক্রিয়া বা উদ্বাসন বিক্রিয়া।
সহজভাবে বলা যায়:
যখন কোনো অ্যাসিড ও ক্ষার পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে একটি নতুন যৌগ তৈরি করে, সেই যৌগটিই লবণ (Salt)। এটি একটি আয়নিক যৌগ, যেখানে ধনাত্মক আয়ন (cation) এবং ঋণাত্মক আয়ন (anion) পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে।
বুলেট আকারে ব্যাখ্যা:
-
লবণ গঠনের প্রক্রিয়া:
লবণ সাধারণত অ্যাসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় গঠিত হয়।
উদাহরণ:
HCl + NaOH → NaCl + H_2O
এখানে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) এবং সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) নামক লবণ ও পানি তৈরি করেছে। -
গঠন:
লবণ আয়নিক যৌগ, অর্থাৎ এটি ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের সমন্বয়ে গঠিত।
যেমন— Na⁺ (সোডিয়াম আয়ন) ও Cl⁻ (ক্লোরাইড আয়ন) মিলে NaCl তৈরি করে। -
প্রকারভেদ:
১. স্বাভাবিক লবণ (Normal salt): যেমন— সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।
২. অম্লীয় লবণ (Acidic salt): যেমন— সোডিয়াম বাইকার্বনেট (NaHCO₃)।
৩. ক্ষারীয় লবণ (Basic salt): যেমন— বেসিক লিড কার্বোনেট [2PbCO₃·Pb(OH)₂]। -
ব্যবহার:
-
খাবারে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য।
-
খাদ্য সংরক্ষণে (Preservative)।
-
রাসায়নিক শিল্পে বিভিন্ন যৌগ তৈরিতে।
-
ওষুধ তৈরিতে।
-
সংক্ষেপে বলা যায়:
অ্যাসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় যে যৌগ তৈরি হয় এবং যা ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন নিয়ে গঠিত থাকে, তাকে লবণ বলে। এর মধ্যে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) বা সাধারণ খাবার লবণ হলো সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ।