মৌলিক গণতন্ত্রের কতজনের ভোটাধিকার ছিল?
মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু হয় পাকিস্তানে ১৯৫৯ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের শাসনামলে। এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের সরাসরি ভোটাধিকার সীমিত করে, স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসন পরিচালনা করা। এতে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ সীমিত ছিল এবং শুধু নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিরই ভোটাধিকার ছিল।
মৌলিক গণতন্ত্রে মোট ভোটার বা সদস্য সংখ্যা ছিল ৮০,০০০ জন।
নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হলো—
-
প্রবর্তনকাল:
২৭ অক্টোবর ১৯৫৯ সালে আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু করেন। -
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
সাধারণ মানুষের পরিবর্তে স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করা এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তাদের ভোটাধিকার প্রদান করা। -
ভোটাধিকার:
-
সাধারণ জনগণের সরাসরি ভোটাধিকার ছিল না।
-
দেশের প্রায় ৮০,০০০ মৌলিক গণতন্ত্রের সদস্য (Basic Democrats) নির্বাচিত হন এবং তারাই রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচনে ভোট দেন।
-
-
ব্যবস্থার প্রকৃতি:
এটি ছিল একটি পরোক্ষ গণতন্ত্রব্যবস্থা, যেখানে জনগণের পরিবর্তে নির্বাচিত মৌলিক গণতন্ত্র সদস্যরাই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখতেন।
অর্থাৎ, মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় ভোটাধিকার ছিল মোট ৮০,০০০ জন মৌলিক গণতন্ত্র সদস্যের, যারা পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করতেন।