মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব লিখ?
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব:
-
গামেট সৃষ্টি: মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে পুরুষের শুক্রাণু এবং মহিলার ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়। এই গামেটগুলোর মধ্যে একে অপরের থেকে অর্ধেক পরিমাণ ক্রোমোজোম থাকে। যৌন প্রজননের সময় যখন দুটি গামেট একত্রিত হয়, তখন তাদের ক্রোমোজোম সংখ্যা পূর্ণ হয় (দ্বিগুণ)। ফলে, প্রজন্মের সংখ্যা ঠিক থাকে।
-
জিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টি: মিয়োসিসের ফলে ক্রোমোজোমের বিনিময় এবং সমন্বয় ঘটে, যা জেনেটিক রিকম্বিনেশন তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় মা-বাবার থেকে তাদের সন্তানের মধ্যে জিনগত বৈচিত্র্য আসে, যা বিবর্তন এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য।
-
ক্রোমোজোম সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ: মিয়োসিস কোষ বিভাজন এক প্রজাতির মধ্যে ক্রোমোজোম সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে। যদি এটি না হতো, তবে প্রতি প্রজন্মে ক্রোমোজোম সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেত এবং পরবর্তী প্রজন্মের কোষের সংখ্যা অস্বাভাবিক হতে পারত।
-
পুনঃপ্রজনন ক্ষমতা: মিয়োসিস কোষ বিভাজন অঙ্গনের জীবনের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন গামেট তৈরি করে, যা পরবর্তী প্রজন্মে জীবনের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে।
-
দ্বিপদী গুণিতক: মিয়োসিস কোষ বিভাজন এক প্রজাতির মধ্যে সমান গুণিতক (diploid) গামেট তৈরি করে, যা প্রজনন ব্যবস্থায় সন্তানের জন্য বিপুল পরিমাণের ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্য নিয়ে আসে।