সিমপ্লেক্স মোড কাকে বলে?
সিমপ্লেক্স মোড মূলত এমন একধরনের যোগাযোগ পদ্ধতি যেখানে তথ্য একদিক থেকে অপরদিকে প্রবাহিত হয়, কিন্তু বিপরীত দিকে কোনো তথ্য ফেরত পাঠানো যায় না। এটি একমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতীক, যেখানে প্রেরক এবং গ্রহণকারী দুটি অংশ থাকলেও কেবলমাত্র প্রেরকই সক্রিয়ভাবে তথ্য প্রেরণ করে। এই পদ্ধতি সাধারণত সেই ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহৃত হয় যেখানে প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন নেই বা একমুখী সম্প্রচারের মাধ্যমে বহুজনের কাছে তথ্য পৌঁছানো হয়।
নিচে সিমপ্লেক্স মোড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তালিকা আকারে উপস্থাপন করা হলো:
-
একক দিকের যোগাযোগ: সিমপ্লেক্স মোডে ডেটা শুধুমাত্র একদিকে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ, একবার তথ্য প্রেরণ হলে তা ফেরত পাঠানো যায় না। এই প্রক্রিয়ায় যোগাযোগ একমুখী, যেমন: প্রেরক থেকে গ্রহণকারীর দিকে।
-
প্রেরক ও গ্রহণকারীর ভূমিকা: এই মোডে প্রেরক কেবল তথ্য প্রেরণ করে এবং গ্রহণকারী তা গ্রহণ করে। প্রাপক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে বা তথ্য পাঠাতে পারে না। ফলে এটি একমুখী ট্রান্সমিশন হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: টেলিভিশন সম্প্রচার, রেডিও ট্রান্সমিশন, বা প্রজেক্টরে ডেটা প্রদর্শন—এসবই সিমপ্লেক্স মোডের উদাহরণ। যেমন টেলিভিশন স্টেশন থেকে সিগন্যাল প্রেরণ করা হয়, কিন্তু দর্শক সেই স্টেশনে কোনো তথ্য পাঠাতে পারেন না।
-
সরলতা ও কার্যকারিতা: এই মোডের ডিজাইন সহজ এবং পরিচালনাও তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল। কোনো প্রতিক্রিয়া প্রক্রিয়া না থাকায় এর কাঠামো জটিল নয়, ফলে এটি নিরবচ্ছিন্ন তথ্য সম্প্রচারে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
-
গতি ও নির্ভরযোগ্যতা: যেহেতু এটি একমুখী, তাই ট্রান্সমিশনের গতি অনেক বেশি হয় এবং তথ্যের ক্ষতির সম্ভাবনাও তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
-
ব্যবহারের ক্ষেত্র: সংবাদ সম্প্রচার, তথ্য প্রচার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, সেন্সর ডেটা ট্রান্সমিশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিমপ্লেক্স মোড ব্যবহৃত হয়। যেখানে কেবল তথ্য সরবরাহ প্রয়োজন, প্রতিক্রিয়া নয়, সেখানে এটি সর্বাধিক উপযোগী।
-
সুবিধা: সহজ কাঠামো, কম খরচ, দ্রুত ডেটা প্রেরণ এবং নিরবচ্ছিন্ন সম্প্রচারই এই মোডের প্রধান সুবিধা।
-
অসুবিধা: এর সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো—এতে প্রাপক কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে পারে না। ফলে যোগাযোগে ত্রুটি ঘটলেও তা সংশোধনের সুযোগ থাকে না।
সব মিলিয়ে, সিমপ্লেক্স মোড হলো একমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা, যেখানে তথ্য প্রেরণ একদিকে সীমাবদ্ধ থাকে। এর সহজ নকশা এবং কার্যকারিতা একে টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচারের মতো একমুখী তথ্য বিনিময় ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত করে তুলেছে।