"অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন" – এই বিখ্যাত উক্তিটি কার?
A
হ্যারল্ড লাস্কি
B
জি. ডি. এইচ. কোল
C
টি. এইচ. গ্রীন
D
কার্ল মার্ক্স
উত্তরের বিবরণ
-
সমাজতন্ত্রী চিন্তাবিদ জি. ডি. এইচ. কোল বলেছেন, "অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন"। তার মতে, চরম অর্থনৈতিক বৈষম্য বিদ্যমান থাকলে ভোটাধিকারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক অধিকার অর্থহীন হয়ে পড়ে, কারণ দরিদ্র মানুষ তাদের অধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারে না।
অর্থনৈতিক সাম্য:
-
অর্থনৈতিক সাম্যের অর্থ হলো না যে সব সম্পদ সবার মাঝে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
-
এর অর্থ হলো—জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে যোগ্যতা অনুযায়ী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমান অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
-
যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার ও ন্যায্য মজুরি পাওয়ার সুযোগই অর্থনৈতিক সাম্য।
-
বেকারত্ব থেকে মুক্তি এবং বৈধ পেশা গ্রহণের সুযোগও অর্থনৈতিক সাম্যের অন্তর্ভুক্ত।
-
এ কারণেই কোল বলেছেন, "অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন"।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
কোন উপজাতি নিজেদেরকে ’মারুচা’ বলে অভিহিত করে থাকেন?
Created: 1 month ago
A
গারো
B
ম্রো
C
খিয়াং
D
পাঙ্গন
ম্রো হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যা বিশেষভাবে বান্দরবান জেলায় বসতি স্থাপন করেছে। তাদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা তিব্বতী-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর অংশ।
-
ম্রো জনগোষ্ঠীর প্রধান বসতি বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায়, যেমন তোইন, মঙ্গু, তৈনফা, লুলোইং, উত্তরহানগড়, দক্ষিণ হানগড়, তঙ্কাবতী, হরিণঝুড়ি, টেকের পানছড়ি, রেনিখ্যং, পানতলা, থানখ্যং, সোয়ালক, তিনডো, সিংপা, আলীখং এবং ভারিয়াতালি মৌজায়।
-
ম্রোরা ম্রু ও মুরং নামেও পরিচিত।
-
তাদের নিজস্ব ভাষা থাকলেও পূর্বে বর্ণমালা ছিল না, বর্তমানে তাদের নিজস্ব বর্ণমালা তৈরি হয়েছে।
-
ম্রোরা তিব্বতী-বর্মী ভাষার একটি বিশেষ শাখা ব্যবহার করে।
-
বর্তমানে ম্রোদের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালায় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রণীত হয়েছে।
-
তারা নিজেদেরকে ‘মারুচা’ নামে অভিহিত করে।
-
ম্রোদের বংশ পরিচয় পিতৃতান্ত্রিক।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে নিম্নের কোনটি নেই?
Created: 1 month ago
A
তারকা
B
পান পাতা
C
শাপলা
D
ধানের শীষ
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক
-
গঠন ও উপাদান:
-
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক গ্রহণ করা হয় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরপরই।
-
প্রতীকটি হলো ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা, যার দুই পাশে ধানের শীষ ও পাটপাতা রয়েছে।
-
চারটি তারকা প্রতীকের ওপর স্থাপন করা আছে।
-
পানি, ধান ও পাট বাংলাদেশের প্রকৃতি ও অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত।
-
ভাসমান শাপলা সৌন্দর্য, সুরুচি ও অঙ্গীকারের প্রতীক।
-
চারটি তারকা জাতীয় চারটি মূলনীতি: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নির্দেশ করে।
-
-
ডিজাইনার ও ইতিহাস:
-
জাতীয় প্রতীকের ডিজাইন করেন পটুয়া কামরুল হাসান।
-
শাপলা এঁকেছেন মোহাম্মদ ইদ্রিস, ধানের শীষ ও পাটপাতা ও চারটি তারকা যুক্ত করেছেন শামসুল আলম।
-
এটি অনুমোদিত হয় ১৯৭২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি।
-
সংবিধানের প্রথম ভাগ, অনুচ্ছেদ ৪(৩)-এ প্রতীক সম্পর্কে বর্ণনা আছে।
-
-
ব্যবহার:
-
এই প্রতীক সাধারণ জনগণ ব্যবহার করতে পারে না।
-
কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ব্যবহারের অনুমতি রাখেন।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে অপ্রচলিত বাজারে শীর্ষে কোন দেশ? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 4 weeks ago
A
কানাডা
B
নরওয়ে
C
জাপান
D
অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানিতে অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান শীর্ষে অবস্থান করছে এবং সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
-
শীর্ষ অপ্রচলিত বাজার: জাপান
-
চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে জাপানে রপ্তানি আয়: ১১২ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০.৩২% বেশি
-
দ্বিতীয় অবস্থান অপ্রচলিত বাজারে: অস্ট্রেলিয়া
-
তৃতীয় অবস্থান অপ্রচলিত বাজারে: রাশিয়া
0
Updated: 4 weeks ago