কোন দার্শনিকদের মতে মানুষ শুধুমাত্র 'শাস্তির ভয়ে' আইন মেনে চলে?
A
লক, রুশো ও গ্রীন
B
প্লেটো, অ্যারিস্টটল ও মন্টেস্কু
C
হবস, বেন্থাম ও অস্টিন
D
মার্ক্স, এঙ্গেলস ও লেনিন
উত্তরের বিবরণ
-
হবস, বেন্থাম এবং অস্টিন মনে করতেন যে, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের আরোপিত শাস্তির ভয়ই হলো আইন মেনে চলার প্রধান প্রেরণা। তারা আইনের নৈতিক বা যৌক্তিক দিকের চেয়ে এর শাস্তিমূলক বৈশিষ্ট্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
আইন মান্য করার কারণ:
-
আইন শাসন নিশ্চিত করতে আইন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রত্যেক আইনেই কিছু নির্দেশনা থাকে এবং তা অমান্য করলে শাস্তির ব্যবস্থা থাকে।
-
আইন মান্য করার বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হলো আইন কার্যকর ও উপযোগী হওয়া।
লর্ড ব্রাইস আইন মান্য করার কারণগুলোকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করেছেন:
১. যৌক্তিকতার উপলব্ধি
২. অপরের প্রতি শ্রদ্ধা
৩. নির্লিপ্ততা
৪. সহানুভূতি
৫. শাস্তির ভয়
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র, এইচ এস সি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন ভাগে 'নির্বাচন' নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
সপ্তম ভাগে
B
চতুর্থ ভাগে
C
পঞ্চম ভাগে
D
ষষ্ঠ ভাগে
বাংলাদেশের সংবিধান ১১টি ভাগে বিভক্ত।
-
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
-
ষষ্ঠ ভাগ: বিচারবিভাগ
-
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
-
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম-ক ভাগ: জরুরি বিধানাবলী
-
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
দশম ভাগ: সংবিধান সংশোধন
-
একাদশ ভাগ: বিবিধ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
এলাহাবাদ চুক্তি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
ওয়ারেন হেস্টিংস ও সুজাউদ্দৌলা
B
রবার্ট ক্লাইভ ও দ্বিতীয় শাহ আলম
C
ওয়ারেন হেস্টিংস ও দ্বিতীয় শাহ আলম
D
রবার্ট ক্লাইভ ও মীর কাশিম
এলাহাবাদ চুক্তি ও বাংলায় ইংরেজদের ক্ষমতা দখল ১৭৬৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন রবার্ট ক্লাইভ এবং মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম। এর মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দিউয়ানি লাভ করে এবং সম্রাটকে কোম্পানি প্রতি বছর ২৬ লক্ষ টাকা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন। চুক্তি অনুসারে রাজস্ব আদায় ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির ওপর থাকলেও, নিয়ামত তথা বিচার ও প্রশাসন বিভাগের দায়িত্ব নবাবের ওপর ন্যস্ত হয়।
-
বক্সার যুদ্ধের পর, কোম্পানির কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা বেড়ে যায় এবং বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ হয়। ইংরেজ সরকার এ পরিস্থিতিতে ভীত হয়।
-
ইংল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ কোম্পানির দুর্নীতি দমন এবং স্বার্থ বৃদ্ধি করার জন্য রবার্ট ক্লাইভকে লর্ড উপাধি দিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলায় প্রেরণ করে (১৭৬৫-১৭৬৭ খ্রি.)।
-
বাংলায় এসে ক্লাইভ মীর কাশিমের মিত্রশক্তি, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা এবং দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের প্রতি নজর দেন।
-
বক্সার যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা এবং কারা ও এলাহাবাদ জেলা নবাবের কাছে নিয়ে মিত্রতা স্থাপন করেন।
-
এরপর ক্লাইভ দিল্লির দুর্বল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সাথে সন্ধি স্থাপন করেন।
-
চুক্তির বিনিময়ে, কারা ও এলাহাবাদ জেলা এবং বাৎসরিক ২৬ লক্ষ টাকা কর প্রদান করে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দিউয়ানি সম্রাটের নিকট থেকে কোম্পানির হাতে আসে (১২ আগস্ট ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিউয়ানি সনদ লাভ করে)।
-
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলা ও ভারতবর্ষে ইংরেজ উপনিবেশের পথ উন্মুক্ত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন -
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
স্পিকার
C
রাষ্ট্রপতি
D
যে কেউ করতে পারে
বাংলাদেশে সংসদ আহ্বান ও রাষ্ট্রপতির ভূমিকা (সংবিধান ৭২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী)
-
সংসদ আহ্বান: জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী এটি বাস্তবায়ন করবেন।
-
প্রথম অধিবেশন ও নতুন বছরের ভাষণ: নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন এবং নতুন বছরের অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন।
-
ভাষণের আলোচনা: রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদে আলোচনা হয়।
-
সংসদ মুলতবি ও ভাঙ্গা: রাষ্ট্রপতি সংসদ মুলতবি রাখতে পারেন, এবং প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শে সংসদ ভেঙ্গে দিতে পারেন।
-
বিরল পরিস্থিতি: কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে যেমন রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়ায়, স্পিকার সংসদ আহ্বান করতে পারেন।
0
Updated: 1 month ago