বাংলাদেশে কত সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়?
A
২০১০ সালে
B
২০১২ সালে
C
২০০৯ সালে
D
২০১৬ সালে
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (National Integrity Strategy):
-
বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই কৌশল প্রণয়ন করে।
-
কৌশলে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারের শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
-
শুদ্ধাচার বলতে বোঝানো হয়েছে নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা।
উৎস: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্যে কতজনকে বীরত্বসূচক খেতাব বা উপাধি প্রদান করা হয়?
Created: 2 months ago
A
৬৭৫ জন
B
৬৭৬ জন
C
৬৭৭ জন
D
৬৭৮ জন
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্য ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার মোট ৬৭৬ জনকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করে।
বীরত্বসূচক খেতাবসমূহ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৭ জন
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৪২৬ জন
-
সাম্প্রতিক পরিবর্তন: ৬ জুন ২০২১ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু হত্যার চার আসামের মুক্তিযুদ্ধে প্রদত্ত খেতাব বাতিল করে।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
বর্তমানে বয়স্ক ভাতার পরিমাণ কত?
Created: 1 month ago
A
৫৫০ টাকা
B
৬০০ টাকা
C
৬৫০ টাকা
D
৭০০ টাকা
বয়স্ক ভাতা:
-
সমাজসেবা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর থেকে বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম শুরু হয়।
-
প্রাথমিকভাবে, দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা, মোট ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রতিমাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের আওতায় আনা হয়।
-
পরবর্তীতে, এই কর্মসূচি সকল পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।
-
বর্তমান বয়স্ক ভাতা (২০২৫-২৬ অর্থবছর): ৬৫০ টাকা প্রতিমাসে।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
কত সালে দেশের প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৪ সালে
B
১৯৭৭ সালে
C
১৯৮২ সালে
D
১৯৮৬ সালে
বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনের পর বিবিএস-এর সেন্সাস উইং দশকভিত্তিক তিনটি শুমারি পরিচালনার দায়িত্বে থাকে: জনশুমারি ও গৃহগণনা, কৃষি শুমারি, এবং অর্থনৈতিক শুমারি। দেশটিতে প্রথম জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে, প্রথম কৃষি শুমারি ১৯৭৭ সালে, এবং প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালিত হয় ১৯৮৬ সালে।
প্রথম অর্থনৈতিক শুমারির শিরোনাম ছিল ‘Census on Non-Farm Economic Activities and Disabled Persons’। এটি ১৯৮৬ সালের ২৭-২৯ ডিসেম্বর দেশে ব্যাপকভাবে পরিচালিত হয়। শুমারির আওতায় ছিল সকল প্রতিষ্ঠান এবং খানা যারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত, তবে কৃষি খানা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এরপরের অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়:
-
২য় শুমারি: ২০০১ (শহর) এবং ২০০৩ (পল্লী)
-
৩য় শুমারি: ২০১৩
-
৪র্থ শুমারি: ২০২৪
অর্থনৈতিক শুমারি হলো নির্দিষ্ট সময়ে সুনির্ধারিত অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সমগ্রকের সকল অর্থনৈতিক ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ গণনা পদ্ধতি। এর মূল লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনীতিতে সময়ের বিবর্তনের সাথে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে, তার সম্যক ধারণা লাভ করা। অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই শুমারি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
0
Updated: 1 month ago