মূল্যবোধ বলতে কোনটিকে বুঝায়?
A
সমাজজীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
B
মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর দিক নির্দেশনা
C
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
D
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ (Values):
-
মূল্যবোধ হলো মানব আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
-
এটি সেই চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংকল্প যা মানুষের সামগ্রিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
-
সমাজজীবনে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে যে সকল নীতিমালা নিয়ন্ত্রিত করে, তাদের সমষ্টিকেই সামাজিক মূল্যবোধ বলা হয়।
মূল্যবোধের সংজ্ঞা:
-
স্টুয়ার্ট সি. ডড (Stuart C. Dodd):
“সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই সব রীতিনীতির সমষ্টি, যা ব্যক্তি সমাজের নিকট হতে আশা করে এবং যা সমাজ ব্যক্তির নিকট হতে লাভ করে।” -
এম. আর. উইলিয়াম (M.R. William):
“মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড। এর আদর্শে মানুষের আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এই মানদণ্ডে সমাজে মানুষের কাজের ভালো-মন্দ বিচার করা হয়।”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
মুর্শিদ কুলি খান কোন সম্রাটের অধীনে বাংলার দিওয়ান হিসেবে নিযুক্ত হন?
Created: 1 month ago
A
আওরঙ্গজেব
B
শাহজাহান
C
আকবর
D
জাহাঙ্গীর
মুর্শিদ কুলি খান সম্রাট আওরঙ্গজেবের অধীনে বাংলার দিওয়ান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং পরবর্তীতে বাংলায় নবাবি শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর শাসনকালের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
মুর্শিদ কুলি খান (১৭০০-১৭২৭) বাংলায় নবাবি শাসনের প্রতিষ্ঠাতা।
-
দাক্ষিণাত্যে শায়েস্তা খানের দিওয়ান হাজী শফী ইস্পাহানী অল্পবয়সী মুর্শিদ কুলিকে কিনে নিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন এবং তাঁর নাম রাখেন মুহাম্মদ হাদী।
-
সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁকে কর্তলব খান উপাধি দিয়ে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দিওয়ান নিযুক্ত করেন।
-
১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি ‘মুর্শিদকুলী খান’ উপাধি লাভ করেন।
-
১৭১৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলার নাজিম পদে উন্নীত হন।
-
১৭১৭ সালের আগস্টে তাঁকে বাংলার পূর্ণ সুবাদারের মর্যাদা প্রদান করা হয়।
-
তিনি অসংখ্য উপাধি ও পদবিতে ভূষিত হন; প্রথমে ‘জাফর খান’ এবং পরে ‘মুতামিন-উল-মুলক আলা-উদ-দৌলা জাফর খান নাসিরী নাসির জঙ্গ বাহাদুর’ উপাধি পান। তাঁকে সাত হাজারি মনসব প্রদান করা হয়।
-
১৭২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন মুর্শিদকুলী খানের মৃত্যু ঘটে।
-
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে তিনি ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ রাজধানী স্থানান্তর করেন ১৭১৭ সালে।
-
অতিরিক্ত রাজস্ব ধার্য না করে সঠিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলার কোন সুবাদার মগ দস্যুদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রাম জয় করেন?
Created: 1 month ago
A
ইব্রাহিম খান
B
কাসিম খান
C
শায়েস্তা খান
D
ইসলাম খান মাসহাদী
শায়েস্তা খান ছিলেন ইরানি বংশোদ্ভূত একজন প্রখ্যাত মোগল সুবাদার। তাঁর প্রকৃত নাম আবু তালিব, এবং মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে শায়েস্তা খান উপাধি প্রদান করেন। শায়েস্তা খান সম্রাট আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন।
-
১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার মীর জুমলার মৃত্যু এর পর ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গজেব তাঁকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
-
শায়েস্তা খান প্রথমবার বাংলায় আসার সময় ৬৩ বছর বয়সী ছিলেন এবং দুই দফায় মোট ২২ বছর বাংলায় শাসন করেন।
বিজয়াভিযান:
-
শায়েস্তা খানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিজয়াভিযান ছিল চট্টগ্রাম পুনর্দখল।
-
১৪৫৯ সালে আরাকান রাজ চট্টগ্রামকে বাংলার সুলতানদের নিকট থেকে দখল করেছিল। শায়েস্তা খান এই অঞ্চল পুনর্দখলের জন্য সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
তাঁর সেনাবাহিনী সন্দ্বীপ দখল করে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়। চট্টগ্রামের মগ-রাজা ও স্থানীয় পর্তুগিজদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে, এবং পর্তুগিজরা নোয়াখালিতে আশ্রয় নেয়।
-
শায়েস্তা খান ফিরিঙ্গী নেতাকে নিজের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
১৬৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, ফিরিঙ্গীদের ৪০টি রণতরীসহ ইবনে হুসাইনের নেতৃত্বে বিশাল নৌবাহিনী চট্টগ্রামে আক্রমণ করে এবং আরাকান বাহিনী পরাজিত হয়।
-
২৬ জানুয়ারি ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে বুজুর্গ উমেদ খান বিজয়ীর বেশে চট্টগ্রামে প্রবেশ করেন। দীর্ঘদিন এখানকার শাসন শেষে তিনি দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্রাটের অনুমতি প্রার্থনা করেন, যা মঞ্জুর হয়।
শাসনকাল ও অবদান:
-
শায়েস্তা খানের শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত।
-
তিনি নির্মাণ করেন লালবাগ কেল্লা, শায়েস্তা খান মসজিদ, ছোট কাটরা, সাত গম্বুজ মসজিদ প্রভৃতি স্থাপনা।
-
১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে, ৯৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP) জিডিপির কত শতাংশ?
Created: 3 weeks ago
A
৩.২%
B
৪.১%
C
৩.৭%
D
৪.৫%
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও বাজেটের প্রধান তথ্যসমূহ নিম্নরূপ:
-
বাজেটের ক্রম: ৫৪তম (অন্তবর্তীকালীনসহ ৫৫তম)
-
শিরোনাম: 'বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়'
-
উত্থাপনকারী: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (অর্থ উপদেষ্টা)
-
উত্থাপন তারিখ: ২ জুন, ২০২৫
-
অনুমোদন: ২২ জুন, ২০২৫
-
কার্যকরী তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫
-
অর্থনৈতিক সূচক:
-
জিডিপির আকার: ৬২,৪৪,৫৭৮ কোটি টাকা
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%
-
মাথাপিছু আয়: ২,৮২০ মার্কিন ডলার
-
অনুমিত মুদ্রাস্ফীতি: ৬.৫%
-
-
বাজেটের আকার ও ঘাটতি:
-
মোট বাজেট: ৭,৯০,০০০ কোটি টাকা
-
অনুদান ব্যতিত ঘাটতি: ২,২৬,০০০ কোটি টাকা
-
অনুদান সহ ঘাটতি: ২,২১,০০০ কোটি টাকা
-
-
বরাদ্দবিন্যাস:
-
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত (পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট): জনপ্রশাসন
-
উন্নয়ন বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: পরিবহন ও যোগাযোগ
-
অনুন্নয়ন (পরিচালন) বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: সুদ
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP): ২,৩০,০০০ কোটি টাকা (জিডিপির ৩.৭%)
-
উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ: ২,৪৫,৬০৯ কোটি টাকা
-
0
Updated: 3 weeks ago