কোনটির জন্য পুষ্প রঙ্গিন ও সুন্দর হয়?
A
ক্রোমোপ্লাস্ট
B
ক্লোরোপ্লাস্ট
C
ক্রোমাটোপ্লাস্ট
D
লিউকোপ্লাস্ট
উত্তরের বিবরণ
প্লাস্টিড
-
প্লাস্টিড হলো উদ্ভিদ কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু।
-
এর প্রধান কাজ হলো: খাদ্য তৈরি করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং উদ্ভিদকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করে তোলা, যা পরাগায়নে সাহায্য করে।
-
প্লাস্টিড মূলত তিন ধরনের: ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট, এবং লিউকোপ্লাস্ট।
ক্রোমোপ্লাস্ট
-
ক্রোমোপ্লাস্ট হলো রঙিন প্লাস্টিড, তবে সবুজ নয়।
-
এদের মধ্যে থাকে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ যেমন: জ্যান্থফিল, ক্যারোটিন, ফাইকোএরিথ্রিন, ফাইকোসায়ানিন।
-
রঞ্জকের কারণে উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ হলুদ, লাল বা নীল দেখায়।
-
ক্রোমোপ্লাস্টের এই রঙিন বৈশিষ্ট্যের ফলে ফুল, পাতা ও অন্যান্য অংশ আকর্ষণীয় হয়।
-
উদাহরণ: রঙিন ফুল, পাতা এবং গাজরের মূলে ক্রোমোপ্লাস্ট থাকে।
-
প্রধান কাজ: ফুলকে রঙিন ও সুন্দর করে পরাগায়নে সাহায্য করা।
-
এরা বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে সঞ্চয় করে রাখে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
'Necessary evil' কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রস্বেদন
B
অভিস্রবন
C
ব্যাপন
D
শোষণ
প্রস্বেদন (Transpiration) হলো উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরতত্ত্বীয় প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে উদ্ভিদ শোষিত পানির একটি অংশ বাষ্পাকারে পরিবেশে ছাড়ে। উদ্ভিদ মূল দিয়ে মূলত পানি শোষণ করে, শোষিত পানির খুব সামান্য অংশ ব্যবহৃত হয় উদ্ভিদের জৈবিক কার্যাবলির জন্য, এবং অবশিষ্ট পানি প্রধানত পাতা, কচিকাণ্ড, ফুল ও পাপড়ির বায়বীয় অংশ দিয়ে বাষ্পাকারে বের হয়। স্থলজ উদ্ভিদে এই প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বা বাষ্পমোচন বলা হয়। প্রস্বেদনের মাধ্যমে পানি বের হওয়ার স্থান অনুযায়ী এটি তিন ভাগে বিভক্ত:
১. পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন (Stomatal transpiration)
-
পাতায়, কচিকাণ্ডে, ফুলের বৃতি ও পাপড়িতে দুটি রক্ষীকোষ (Guard cell) দ্বারা বেষ্টিত ছোট ছোট রন্ধ্র থাকে, যেগুলোকে পত্ররন্ধ্র (stoma/stomata) বলা হয়।
-
কোনো উদ্ভিদের মোট প্রস্বেদনের ৯০-৯৫% পানি এই পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বের হয়।
২. কিউটিকুলার প্রস্বেদন (Cuticular transpiration)
-
উদ্ভিদের পাতা ও কাণ্ডের বহিঃত্বকে কিউটিনের আবরণ থাকে, যাকে কিউটিকল বলা হয়।
-
কিউটিকল ভেদ করে কিছু পানি বাষ্পাকারে বের হয়, যা কিউটিকুলার প্রস্বেদন নামে পরিচিত।
৩. লেন্টিকুলার প্রস্বেদন (Lenticular transpiration)
-
উদ্ভিদে গৌণ বৃদ্ধির কারণে কাণ্ডের বাকল ফেটে লেন্টিসেল নামক ছিদ্র তৈরি হয়।
-
লেন্টিসেলের ভিতরের কোষগুলো বিশেষভাবে সাজানো থাকে এবং এর মাধ্যমে কিছু পানি বাইরে বের হয়, যাকে লেন্টিকুলার প্রস্বেদন বলা হয়।
প্রস্বেদন একটি অতি প্রয়োজনীয় অমঙ্গল (Transpiration is a necessary evil)
-
প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের কোষের বিপাকীয় কার্যক্রম (metabolic activities) সচল থাকে।
-
প্রস্বেদের ফলে জাইলেমবাহিকায় টান (tension in xylem) সৃষ্টি হয়, যা মূলরোম থেকে শোষিত পানি ও খনিজ লবণ পাতায় পরিবাহিত করতে সাহায্য করে।
-
এই টান না থাকলে পানি শোষণ কমে যায় এবং খাদ্য প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিপাকীয় প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়।
-
প্রস্বেদনের মাধ্যমে পাতার মেসোফিলের ব্যাপন চাপ (turgor pressure) বজায় থাকে, যা পানি শোষণে সহায়তা করে।
-
উদ্ভিদ প্রস্বেদনের মাধ্যমে পাতার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শোষিত তাপশক্তি হ্রাস করে কোষকে সহনীয় তাপমাত্রায় রাখে।
অপরদিকে, প্রস্বেদনের কিছু অপকারী দিকও আছে:
-
যদি প্রস্বেদনের মাধ্যমে পানি হারানোর হার বেশি হয়, তাহলে উদ্ভিদে পানি ও খনিজের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা উদ্ভিদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
-
মাটিতে পানি কম থাকলে শোষণ কম হবে, কিন্তু প্রস্বেদন পূর্বের মতো চলবে।
-
শীতকালে বহু উদ্ভিদ তার পাতা ঝরিয়ে দেয় যাতে অতিরিক্ত পানি হারানো কমানো যায়।
-
প্রস্বেদের অভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাপন চাপ সৃষ্টি হবে না, ফলে অভিস্রবণ কমে যাবে।
এভাবে বলা যায়, প্রস্বেদন কিছু ক্ষতি সত্ত্বেও উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণে এটি "প্রয়োজনীয় ক্ষতি" (Necessary Evil) হিসেবে বিবেচিত,
কারণ প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদকে টিকে থাকতে সাহায্য করে এবং বিবর্তনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জন্য লাভজনক হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ধাতু কোনটি?
Created: 2 months ago
A
লোহা
B
সিলিকন
C
পারদ
D
তামা
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যাওয়া ধাতুটি হলো অ্যালুমিনিয়াম।
ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম সবচেয়ে বেশি (প্রায় ৮.১%), এরপর রয়েছে লোহা (প্রায় ৫%) এবং ক্যালসিয়াম (প্রায় ৩.৬%)।
অ্যালুমিনিয়াম সাধারণত অন্যান্য মৌলিক পদার্থের সঙ্গে মিশে যৌগ তৈরি করে থাকে। এই যৌগগুলোকে অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক বলা হয়। যেমন: বক্সাইট, ক্রায়োলাইট ও কোরানডাম।
তবে যদি কোনো প্রশ্নে অ্যালুমিনিয়াম অপশনে না থাকে, তাহলে পরবর্তী সর্বাধিক প্রচলিত ধাতু হিসেবে লোহা-কেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হবে।
তথ্যসূত্র: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
নবায়নযোগ্য জ্বালানী কোনটি?
Created: 2 months ago
A
পরমাণু শক্তি
B
কয়লা
C
পেট্রোল
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
শক্তির উৎস
শক্তির উৎস প্রধানত দুটি প্রকারে বিভক্ত:
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস (Renewable Energy Sources)
-
নবায়নযোগ্য শক্তি হলো এমন ধরনের শক্তি যা স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং কখনও শেষ হয় না।
-
এটি পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ, তাই এটিকে “গ্রীন শক্তি” ও বলা হয়।
-
বর্তমান সময়ে মানুষ যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে তার প্রায় পাঁচভাগের এক ভাগই নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে আসে।
-
উদাহরণ:
-
সৌর শক্তি (Solar Energy)
-
বায়ু শক্তি (Wind Energy)
-
সমুদ্রস্রোত শক্তি (Tidal Energy)
-
ভূ-তাপীয় শক্তি (Geothermal Energy)
-
পরমাণু শক্তি (Nuclear Energy)
-
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস (Non-Renewable Energy Sources)
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি হলো এমন শক্তি যা একবার ব্যবহার হয়ে গেলে পুনরায় পাওয়া যায় না।
-
প্রকৃতিতে এর পরিমাণ সীমিত এবং চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে মজুদও খুব বেশি নয়।
-
এর উৎপাদন খরচ বেশি এবং অনেক সময় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
-
উদাহরণ:
-
কয়লা (Coal)
-
প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)
-
খনিজ তেল (Petroleum)
-
নিউক্লিয় শক্তি (Nuclear Energy)
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago