ডিমে কোন ভিটামিন নেই?
A
ভিটামিন-এ
B
ভিটামিন-বি
C
ভিটামিন-সি
D
ভিটামিন-ডি
উত্তরের বিবরণ
ভিটামিন সি (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড) এবং এর উৎস
-
ভিটামিন সি-কে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড বলা হয়।
-
এটি প্রধানত বিভিন্ন ফল ও সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ: পেয়ারা, বাতাবী লেবু, কমলা, আমড়া, বাঁধাকপি, টমেটো, আনারস, কাঁচা মরিচ, তাজা শাকসবজি ইত্যাদি।
-
সবুজ শাকসবজি যেমন: বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাকেও ভিটামিন সি থাকে।
-
সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হলো আমলকি।
-
ডিম ও দুধে ভিটামিন সি নেই, তবে এতে অন্যান্য সব ভিটামিন পাওয়া যায়।
অন্য ভিটামিন ও উৎস
-
ভিটামিন এ: দুধ, মাখন, চর্বি, ডিম, গাজর, আম, কাঁঠাল, রঙিন শাকসবজি, মলা মাছ ইত্যাদিতে থাকে।
-
ভিটামিন বি: ঈস্ট, ঢেঁকিছাঁটা চাল, আটা, অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ ডাল, মটর, ফুলকপি, চিনাবাদাম, শিমের বীচি, কলিজা, হৃদপিন্ড, দুধ, ডিম, মাংস, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদিতে থাকে।
-
ভিটামিন ডি: ডিম, দুধ, কলিজা, দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাছের তেল, ভোজ্য তেল ইত্যাদিতে থাকে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো—
Created: 1 month ago
A
R3NH+
B
SO3-Na+
C
R2NH2+
D
COO-Na+
সাবান মূলত উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণের সংমিশ্রণ। রাসায়নিকভাবে এটি সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa) নামে পরিচিত। সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো COO⁻Na⁺, যা এর ক্লিনিং ক্ষমতার মূল কারণ।
সাধারণত সাবান তৈরি করা হয় চর্বি এবং ক্ষারকে প্রতিক্রিয়ায় আনা মাধ্যমে। সাবান তৈরির প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত হিসেবে গ্লিসারিন উৎপন্ন হয়।
-
সাধারণত সাবান হলো উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম লবণ (R-COONa) বা উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের পটাশিয়াম লবণ (R-COOK)।
-
রাসায়নিক নাম: সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa)।
-
আয়নিক গ্রুপ: COO⁻Na⁺।
-
তৈরির প্রক্রিয়া: চর্বি এবং ক্ষারের প্রতিক্রিয়া।
-
উপজাত: গ্লিসারিন।
0
Updated: 1 month ago
ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো—
Created: 1 month ago
A
পিল্লি
B
ফ্লাজেলা
C
শীথ
D
ক্যাপসুলস
ফ্ল্যাজেলা, পিলি এবং ক্যাপসিউল ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন বহিরঙ্গ উপাঙ্গ যা তাদের চলাচল, সংযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এগুলো কোষ প্রাচীরের বাইরে অবস্থান করে এবং বিশেষ প্রোটিন বা পলিমারের মাধ্যমে গঠিত। মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ফ্ল্যাজেলা হলো প্রোটোপ্লাজম দ্বারা গঠিত একটি সূত্রাকৃতির উপাঙ্গ, যা কোষ প্রাচীর ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। এটি ফ্ল্যাজেলিন নামক প্রোটিন দ্বারা তৈরি। ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া তরল মাধ্যমে চলাফেরা করতে পারে।
-
ফ্ল্যাজেলার চেয়ে ছোট ও শক্ত উপাঙ্গকে পিলি বলা হয়। পিলি পিলিন নামক প্রোটিন দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়াকে কোনো পৃষ্ঠের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
-
ক্যাপসিউল হলো একটি স্তর, যা পলিস্যাকারাইড বা পলিপেপটাইড দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে থাকে। এটিকে স্লাইম স্তরও বলা হয় এবং এটি ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।
0
Updated: 1 month ago
গ্রাফিন (graphene) কার বহুরূপী?
Created: 1 month ago
A
কার্বন
B
কার্বন ও অক্সিজেন
C
কার্বন ও হাইড্রোজেন
D
কার্বন ও নাইট্রোজেন
গ্রাফিন হলো কার্বনের একটি বিশেষ রূপ।
-
এটি আসলে কার্বনের একটি ষড়ভুজ জালের মতো স্ফটিক স্তর, যেখানে প্রতিটি স্তরের পুরুত্ব মাত্র একটি পরমাণুর সমান।
-
এই অসাধারণ পদার্থ আবিষ্কারের জন্য আন্দ্রেঁ গেইম ও কনস্টানটিন নভোসেলভ ২০১০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
-
কোনো মৌল প্রকৃতিতে ভিন্ন ভিন্ন ভৌত রূপে থাকতে পারলে তাকে বলা হয় বহুরূপতা (Allotropy)।
-
যেমন: কার্বন, ফসফরাস, সিলিকন, সালফার, জার্মেনিয়াম, বোরন, টিন প্রভৃতি মৌল বহুরূপতা প্রদর্শন করে।
-
কার্বনের রূপভেদ দুটি ভাগে বিভক্ত:
- দানাদার রূপভেদ → গ্রাফাইট, হীরা।
-
অদানাদার রূপভেদ → কোক কার্বন, চারকোল, কয়লা, কার্বন ব্ল্যাক।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago