’রবিশস্য’ বলতে কী বুঝায়?
A
গ্রীষ্মকালীন শস্যকে
B
বর্ষাকালীন শস্যকে
C
হেমন্তকালীন শস্যকে
D
শীতকালীন শস্যকে
উত্তরের বিবরণ
রবি মৌসুম:
-
শীতকালীন শস্যকে বলে রবিশস্য।
-
কার্তিক থেকে ফাল্গুন হচ্ছে রবি মৌসুম।
-
অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কম তাপমাত্রায় রবি শস্য বপন করা হয়।
-
ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে ফসল তোলা হয়।
-
বোরো ধান, গম, মসুর ডাল, যব, সরিষা, পেঁয়াজ, মটরশুঁটি ইত্যাদি ফসল এ মৌসুমের প্রধান শস্য।
-
এ ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, শিম, টমেটো, আলু ইত্যাদিও এ মৌসুমে চাষ করা হয়।
উৎস: কৃষি শিক্ষা, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, দেশে আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
বগুড়া
B
দিনাজপুর
C
মুন্সীগঞ্জ
D
রংপুর
বাংলাদেশে আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে শীর্ষ বিভাগ ও জেলা নির্ধারিত, যা দেশের খাদ্য শস্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
-
আলু উৎপাদনে শীর্ষ বিভাগ:
-
প্রথম: রংপুর বিভাগ
-
দ্বিতীয়: রাজশাহী বিভাগ
-
-
আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা:
-
প্রথম: রংপুর জেলা
-
দ্বিতীয়: বগুড়া জেলা
-
0
Updated: 4 weeks ago
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কত সালে?
Created: 2 months ago
A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৭৭ সালে
C
১৯৭৫ সালে
D
১৯৭৬ সালে
কৃষিশুমারি:
-
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে।
-
স্বাধীনতার পূর্বে কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে।
-
অনুষ্ঠিত কৃষিশুমারিগুলো হলো: ১৯৬০, ১৯৭৭, ১৯৮৩–১৯৮৪, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৯।
-
স্বাধীন বাংলাদেশে কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫ বার।
-
সর্বশেষ কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ৯ জুন থেকে ২০ জুন, ২০১৯ সাল।
উৎস: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
0
Updated: 2 months ago
‘সোনালিকা’ ও ‘আকবর’ বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে কিসের নাম?
Created: 1 week ago
A
উন্নত ও কৃষি যন্ত্রপাতির নাম
B
উন্নত জাতের ধানের নাম
C
দুটি কৃষি বিষয়ক বেসরকারি সংস্থার নাম
D
উন্নত জাতের গমের নাম
উত্তর: ঘ) উন্নত জাতের গমের নাম
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে “সোনালিকা” ও “আকবর” নাম দুটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো দেশের উন্নত জাতের গমের নাম। এই জাতগুলো উচ্চ ফলনশীল (HYV – High Yield Variety) গমের অন্তর্ভুক্ত এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
এই দুই জাত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো—
-
সোনালিকা: এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় উচ্চ ফলনশীল গমের জাত। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে গম চাষে বিপ্লব ঘটায় এই জাতটি। ভারত থেকে আমদানি করে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে চাষ শুরু হয়। এর বৈশিষ্ট্য হলো স্বল্প সময়ে ফলন দেওয়া, দানাশস্যের রঙ উজ্জ্বল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভালো। এটি উষ্ণ জলবায়ুতেও ভালো জন্মে এবং ফলন প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩-৩.৫ টন পর্যন্ত হয়।
-
আকবর: এটি বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) উদ্ভাবিত একটি উন্নত জাতের গম, যা সোনালিকার পর আরও উন্নত মানের ফলন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে তৈরি করা হয়। “আকবর” জাতটি মূলত খরা ও তাপ সহনশীল, ফলে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের গরম অঞ্চলেও ভালো ফলন দেয়। এর ফলন প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩.৫–৪ টন পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়া এই দুটি জাতের প্রবর্তন দেশের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনেছিল—
-
পূর্বে বাংলাদেশে গমের উৎপাদন ছিল খুবই কম, কিন্তু সোনালিকা জাতের আগমনের পর থেকে গম চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ে।
-
আকবর জাতের উদ্ভাবনের ফলে রোগবালাই প্রতিরোধী এবং অধিক ফলনশীল গম চাষের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
-
এই দুই জাতের কারণে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় গম উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার দিকে অগ্রসর হয়।
অতএব, “সোনালিকা” ও “আকবর” কোনো যন্ত্রপাতি, সংস্থা বা ধানের জাত নয়; বরং এগুলো বাংলাদেশের উন্নত জাতের গমের নাম, যা দেশের খাদ্য উৎপাদনে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সুতরাং সঠিক উত্তর হলো ঘ) উন্নত জাতের গমের নাম।
0
Updated: 1 week ago