A
১ : ১ : ২
B
১ : ২ : ১
C
১ : ৩ : ২
D
১ : ৩ : ১
উত্তরের বিবরণ
কার্বোহাইড্রেট
-
কার্বোহাইড্রেট হলো উদ্ভিদের সবুজ অংশে সূর্যের আলো ও ক্লোরোফিলের সাহায্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি থেকে তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ জৈব যৌগ।
-
এটি জীবদেহে গুরুত্বপূর্ণ গঠনিক ও সঞ্চয়ী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
-
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের প্রধান উৎসও কার্বোহাইড্রেট।
-
নামটি এসেছে “হাইড্রেটেড কার্বন” থেকে, অর্থাৎ এটি মূলত কার্বনের সঙ্গে জলের মিলন।
-
কার্বোহাইড্রেটের প্রতি অণুতে থাকে: একটি কার্বন (C), দুটি হাইড্রোজেন (H), এবং একটি অক্সিজেন (O)। অর্থাৎ, অনুপাত ১:২:১।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের সুন্দরবনে কতো প্রজাতির হরিণ দেখা যায়?
Created: 2 weeks ago
A
১
B
২
C
৩
D
৪
বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপের অংশ। এর আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম লবণাক্ত জলাভূমি এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি অমূল্য ইকোসিস্টেম।
এখানে রয়েছে প্রায় ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ৩৭৫ প্রজাতির প্রাণী। এর মধ্যে—
-
৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ,
-
৩১৫ প্রজাতির পাখি,
-
৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার, যা সুন্দরবনের বিশ্বখ্যাত প্রাণী।
সরীসৃপের মধ্যে পাওয়া যায়—
-
নোনা পানির কুমির,
-
অজগর,
-
গোখরা,
-
গুইসাপ,
-
সামুদ্রিক সাপ,
-
গিরগিটি,
-
কচ্ছপ প্রভৃতি।
হরিণের প্রজাতি
বাংলাদেশের সুন্দরবনে মূলত দুটি প্রজাতির হরিণ দেখা যায়—
-
চিত্রা হরিণ (সংখ্যায় বেশি),
-
মায়া হরিণ (সংখ্যায় খুব কম)।
এছাড়াও দেশে আরও তিনটি হরিণ প্রজাতি পাওয়া যায়, তবে সেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে—
-
সাম্বার হরিণ,
-
বারোশিঙা বা সোয়াম্প হরিণ,
-
হগ হরিণ।
বিশেষ তথ্য
-
সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী গাছ।
-
১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসেবে ঘোষণা করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
জন্ডিস
B
এইডস
C
নিউমোনিয়া
D
চোখ ওঠা
ভাইরাসজনিত রোগ
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাসজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু ভাইরাসজনিত রোগ হলো: এইডস, জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জলাতঙ্ক, ডেঙ্গু, ইবোলা ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলা হয়।
-
এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ মন্তব্য
নিউমোনিয়া শুধু ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব দিয়েও হতে পারে। তাই অপশনভিত্তিক প্রশ্নে এটি কখনো ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে পড়লেও, মূলত এটি বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণে ঘটতে পারে। সুতরাং পরীক্ষায় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে।
চোখ ওঠা রোগ (Conjunctivitis)
-
চোখ ওঠা রোগের বৈজ্ঞানিক নাম কনজাংটিভাইটিস।
-
এটি চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত অসুখ।
-
এ রোগ সাধারণত ভাইরাস দ্বারা হয় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক উদ্ভিদবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক

0
Updated: 1 week ago
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর কোন ঘটনাটি ঘটে?
Created: 3 weeks ago
A
প্রতিসরণ
B
বিচ্ছুরণ
C
অপবর্তন
D
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবার হলো খুবই সরু ও চিকন কাঁচের সুতো, যা মানুষের চুলের মতো দেখতে এবং সহজে বাঁকানো যায়। এর কাজ হলো আলোক রশ্মি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া।
যখন আলো ফাইবারের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা কাঁচতন্তুর দেয়ালে লেগে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটায়। এভাবে প্রতিফলিত হতে হতে আলো শেষ প্রান্তে গিয়ে বের হয়।
👉 এই প্রক্রিয়ার জন্য আলো মাঝপথে বাইরে বের হয়ে যায় না এবং অনেক দূর পর্যন্ত একই শক্তি নিয়ে পৌঁছাতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ডাক্তাররা শরীরের ভেতরের অংশ যেমন পাকস্থলী, কোলন ইত্যাদি দেখার জন্য যে আলোক নল ব্যবহার করেন, সেটি অনেকগুলো অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি।
-
টেলিযোগাযোগে: টেলিফোন বা ইন্টারনেট সিগন্যাল বহনে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে একসাথে অসংখ্য সংকেত পাঠানো যায় এবং সংকেত দুরত্বে গেলেও শক্তি হারায় না।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago