A
তেল
B
গ্যাস
C
কয়লা
D
বায়োগ্যাস
উত্তরের বিবরণ
শক্তির উৎস
মানবজীবনে শক্তি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। শক্তির উৎস মূলত দুই প্রকার:
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
-
নবায়নযোগ্য শক্তি এমন এক ধরনের শক্তি যা স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনঃউৎপাদন করা যায়। অর্থাৎ, এটি ব্যবহার করলেও শেষ হয়ে যায় না।
-
এই শক্তি পরিবেশ বান্ধব এবং ‘গ্রীন শক্তি’ নামে পরিচিত।
-
বর্তমানে পৃথিবীতে ব্যবহৃত মোট শক্তির প্রায় এক-পঞ্চম অংশই নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে আসে।
-
উদাহরণ:
-
সৌর শক্তি (সূর্যের আলো থেকে শক্তি)
-
বায়ু শক্তি (বাতাসের গতিতে শক্তি)
-
জ্বালানি গ্যাস (বায়োগ্যাস)
-
সমুদ্র স্রোত ও জলবিদ্যুৎ শক্তি
-
ভূ-তাপীয় শক্তি
-
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি হলো এমন শক্তি যা একবার ব্যবহার করার পর পুনরায় তৈরি করা যায় না।
-
প্রকৃতিতে এর পরিমাণ সীমিত এবং চাহিদার তুলনায় দেশের মজুদ কম।
-
এই শক্তি উৎপাদনে খরচ বেশি এবং অনেক ক্ষেত্রেই পরিবেশ বান্ধব নয়।
-
উদাহরণ:
-
কয়লা
-
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
খনিজ তেল (পেট্রোলিয়াম)
-
নিউক্লিয় শক্তি
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 day ago
পিতলের উপাদান হলো-
Created: 3 weeks ago
A
তামা ও টিন
B
তামা ও নিকেল
C
তামা ও সিসা
D
তামা ও দস্তা
সংকর ধাতু
সংকর ধাতু বলতে বোঝায় এমন ধাতব পদার্থ যা দুই বা ততোধিক ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয়। এই মিশ্রণ থেকে একটি নতুন কঠিন পদার্থ তৈরি হয়, যা কখনও সমসত্ব (homogeneous) বা কখনও অসমসত্ব (heterogeneous) হতে পারে।
উদাহরণ:
-
কাঁসা (Bronze): তামা (Copper) ও টিন (Tin) মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
-
পিতল (Brass): তামা (Copper) ও দস্তা (Zinc) মিশ্রণে তৈরি হয়।
পিতলের গঠন:
-
এতে সাধারণত ৬৫% তামা ও ৩৫% দস্তা থাকে।
-
মূল উপাদান হলো তামা, যা শতকরা ৬৫% উপস্থিত থাকে।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago
এন্টিবায়োটিকের কাজ-
Created: 3 weeks ago
A
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
B
জীবাণু ধ্বংস করা
C
ভাইরাস ধ্বংস করা
D
দ্রুত রোগ নিরাময় করা
এন্টিবায়োটিক
-
এন্টিবায়োটিক এমন এক ধরনের ঔষধি উপাদান যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক (ফাঙ্গাস) থেকে তৈরি হয়।
-
এর কাজ হলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাককে ধ্বংস করা অথবা তাদের বৃদ্ধি থামিয়ে দেওয়া।
-
তবে মনে রাখতে হবে—এন্টিবায়োটিক কেবল ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারেই কার্যকর নয়।
এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দিক
১. এন্টিবায়োটিক অতি মাত্রায় ব্যবহার করলে শরীরে রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
২. এটি অন্ত্রে থাকা অনেক উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এর ফলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ক্ষতিকর দিক এড়াতে করণীয়
১) সাধারণ রোগে ভুগলেই নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২) ডাক্তারের নির্দেশ মতো সঠিক ডোজ ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
৩) প্রেসক্রিপশনে কোন ঔষধ কেন দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেয়া ভালো।
৪) মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়োটিক কখনোই খাওয়া উচিত নয়।
উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 3 weeks ago
রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক কাজ করে অগ্নিতে -
Created: 1 month ago
A
হাইড্রোজেন সরবরাহ করে
B
নাইট্রোজেন সরবরাহ করে
C
অক্সিজেন সরবরাহ করে
D
অক্সিজেন সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে
ড্রাই কার্বন-ডাই-অক্সাইড একটি নিরাপদ অগ্নিনির্বাপণ উপাদান।
যখন এটি ব্যবহার করার যন্ত্রের ভালব খোলা হয়, তখন এটি গ্যাসে পরিণত হয়। এই গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুনের চারপাশ থেকে অক্সিজেনকে সরিয়ে দেয়।
কারণ, কার্বন-ডাই-অক্সাইড অক্সিজেনের চেয়ে ভারী, তাই এটি নিচে জমে গিয়ে আগুনের কাছে থাকা অক্সিজেনকে বাধা দেয়। আর অক্সিজেন না থাকলে আগুন জ্বলতে পারে না।
রাসায়নিক অগ্নিনির্বাপকও ঠিক একইভাবে কাজ করে—এটি আগুনের অক্সিজেন পেতে বাধা দেয়, ফলে আগুন নিভে যায়।
উৎস: National Emergency Service website এবং Britannica.

0
Updated: 1 month ago