অ্যানোডে কোন বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়?
A
জারণ
B
বিজারণ
C
প্রশমন
D
পানিযোজন
উত্তরের বিবরণ
তড়িৎদ্বার (Electrical Terminal)
একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বা ব্যাটারিতে তড়িৎদ্বার হলো দুটি ধাতব বা গ্রাফাইটের পরিবাহী যন্ত্রাংশ, যা কোষের ইলেকট্রনকে প্রবেশ এবং নির্গমন করার পথ দেয়। অর্থাৎ, এক তড়িৎদ্বার ইলেকট্রনকে কোষে প্রবেশ করায় এবং অন্যটি ইলেকট্রন বের করে নেয়।
তড়িৎদ্বার কোষের ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও ইলেকট্রোলাইটকে সংযুক্ত করে এবং কোষের বর্তনী পূর্ণ করে। একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষে দুইটি তড়িৎদ্বারের প্রয়োজন হয়:
১। অ্যানোড তড়িৎদ্বার
২। ক্যাথোড তড়িৎদ্বার
অ্যানোড তড়িৎদ্বার (Anode Terminal):
-
অ্যানোড হলো সেই তড়িৎদ্বার যা ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন দ্রবণে থেকে বের হয়ে যায়।
-
অ্যানোডে জারণ (Oxidation) ঘটে, অর্থাৎ অ্যানায়নগুলো ইলেকট্রন ত্যাগ করে আধান মুক্ত হয়।
ক্যাথোড তড়িৎদ্বার (Cathode Terminal):
-
ক্যাথোড হলো সেই তড়িৎদ্বার যা ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন ব্যাটারি থেকে দ্রবণে প্রবেশ করে।
-
ক্যাথোডে বিজারণ (Reduction) ঘটে, অর্থাৎ ক্যাটায়নগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে আধান মুক্ত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি-
Created: 2 months ago
A
যুক্ত অবস্থার চাইতে কম
B
যুক্ত অবস্থার চাইতে অধিক
C
যুক্ত অবস্থার সমান
D
কোনোটিই সঠিক নয়
পরমাণুর কেন্দ্র হলো শক্তির ভাণ্ডার। যখন একটি পরমাণু “যুক্ত অবস্থায়” থাকে, অর্থাৎ নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রনগুলো একত্রিত ও স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে, তখন এটি সবচেয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় পরমাণুর ভেতরের আকর্ষণ শক্তি কাজ করে, যা পরমাণুকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে।
অন্যদিকে, “বিচ্ছিন্ন অবস্থায়” বা অযৌগিক অবস্থায়, পরমাণুর কণিকাগুলো (প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন) একে অপর থেকে আলাদা থাকে। এই অবস্থায় তাদের মধ্যে কোনো আকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। ফলে পরমাণুর শক্তির পরিমাণ বেশি থাকে, কারণ যুক্ত অবস্থায় কণিকাগুলো একত্রিত থাকার কারণে কিছু শক্তি কমে যায়।
সংক্ষেপে: বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি যুক্ত অবস্থার তুলনায় বেশি।
উৎস: Encyclopaedia Britannica
0
Updated: 2 months ago
কাজ ও বলের একক যথাক্রমে-
Created: 2 months ago
A
নিউটন ও মিটার
B
জুল ও ডাইন
C
ওয়াট ও পাউন্ড
D
প্যাসকেল ও কিলোগ্রাম
কাজ ও বলের একক
-
SI পদ্ধতি:
-
কাজের একক: জুল (J)
-
বলের একক: নিউটন (N)
-
-
C.G.S পদ্ধতি:
-
বলের একক: ডাইন (dyne)
-
কাজের সংজ্ঞা ও একক:
-
কাজ = বল × সরণ
-
এখানে, বলের একক হলো নিউটন (N) এবং সরণের একক হলো মিটার (m)।
-
সুতরাং, কাজের একক হবে নিউটন-মিটার (N·m)।
-
নিউটন-মিটারকে জুল (J) বলা হয়।
-
অর্থাৎ, যদি কোনো বস্তুতে 1 নিউটন বল প্রয়োগ করা হয় এবং বস্তু বলটির দিকে 1 মিটার সরানো হয়, তখন সম্পন্ন কাজ হবে 1 জুল।
বল ব্যবহৃত এককসমূহ:
-
ডাইন (dyne)
-
নিউটন (N)
-
পাউন্ডাল (poundal)
সূত্র: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
খাদ্য তৈরির জন্য উদ্ভিদ বায়ু থেকে গ্রহণ করে -
Created: 1 month ago
A
অক্সিজেন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
নাইট্রোজেন
D
জলীয় বাষ্প
সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis)
সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের সাহায্যে বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং মাটির পানি ব্যবহার করে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করে। এই খাদ্য মূলত কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় ধরনের হয়।
এই প্রক্রিয়াটিকে সালোকসংশ্লেষণ বলা হয়।
সালোকসংশ্লেষণের জন্য যা লাগে:
-
পানি (H₂O) – উদ্ভিদের মূল ও কোষ থেকে আসে।
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) – বায়ুমণ্ডল থেকে গ্রহণ করে।
-
সূর্যালোক – সূর্য থেকে আসে।
-
ক্লোরোফিল – উদ্ভিদের সবুজ অংশে উপস্থিত রঞ্জক।
সংক্ষেপে, উদ্ভিদ সূর্যের আলোকে ব্যবহার করে পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইডকে খাদ্যে রূপান্তরিত করে।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago