কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা কিসের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়?
A
ঘনীভবন
B
বাষ্পীভবন
C
গলনাংক
D
স্ফুটনাংক
উত্তরের বিবরণ
কঠিন পদার্থ এবং গলনাঙ্কের মাধ্যমে বিশুদ্ধতা নির্ণয়
-
একটি কঠিন পদার্থের বিশুদ্ধতা তার গলনাঙ্ক দেখে বোঝা যায়।
-
যে তাপমাত্রায় পদার্থটি গলতে শুরু করে, সেই তাপমাত্রাকেই গলনাঙ্ক বলা হয়।
-
যদি কঠিনের মধ্যে কোনো অপদ্রব্য বা মিশ্রণ থাকে, তবে পদার্থটি তার স্বাভাবিক গলনাঙ্কে গলবে না; গলনাঙ্ক কমে যাবে এবং গলতে সময় লাগবে।
তরল পদার্থ এবং স্ফুটনাঙ্কের মাধ্যমে বিশুদ্ধতা নির্ণয়
-
কোনো তরল পদার্থ বিশুদ্ধ কি না তা নির্ণয় করা যায় তার স্ফুটনাঙ্ক পরীক্ষা করে।
-
বিশুদ্ধ তরলের স্ফুটনাঙ্ক নির্দিষ্ট থাকে, আর মিশ্রণ থাকলে তা পরিবর্তিত হয়।
উৎস: রসায়ন পাঠ্যবই, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
যদি একটি লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ২ মিটার হয়, তবে তার ক্ষমতা কত হবে?
Created: 1 month ago
A
০.২ ডায়াপ্টর
B
০.৫ ডায়াপ্টর
C
২.০ ডায়াপ্টর
D
৫.০ ডায়াপ্টর
সাধারণ বিজ্ঞান
প্রাথমিক তথ্য
বিজ্ঞান সংক্রান্ত পরিভাষা
লেন্স
সময়, দূরত্ব ও গতিবেগ (Time, distance & speed)
সাধারণ জ্ঞান
লেন্সের ক্ষমতা (Power of a Lens)
-
উত্তল লেন্স প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী করে একটি বিন্দুতে মিলিত করে।
-
অবতল লেন্স প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অপসারী করে; ফলে মনে হয় রশ্মিগুলো কোনো নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে।
-
আলোকরশ্মিকে অভিসারী বা অপসারী করার ক্ষমতাকে লেন্সের ক্ষমতা বলা হয়।
সংজ্ঞা:
এখানে, হলো লেন্সের ফোকাস দূরত্ব (মিটারে) এবং ক্ষমতার একক হলো ডায়াপ্টর (D)।
উদাহরণ
-
একটি উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ২ মিটার হলে,
-
লেন্সের ক্ষমতা ধনাত্মক (+) অথবা ঋণাত্মক (–) হতে পারে।
ব্যাখ্যা
-
→ লেন্সটি উত্তল, এবং এটি আলোকরশ্মিগুচ্ছকে প্রধান অক্ষের ১ মিটার দূরে মিলিত করবে।
-
→ লেন্সটি অবতল, এবং এটি আলোকরশ্মিগুচ্ছকে এমনভাবে অপসারী করবে যেন সেগুলো লেন্স থেকে ½ মিটার বা ৫০ সেমি দূরের একটি বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে কী কী থাকে?
Created: 2 months ago
A
নিউট্রন ও প্রোটন
B
ইলেকট্রন ও প্রোটন
C
নিউট্রন ও পজিট্রন
D
ইলেকট্রন ও পজিট্রন
মৌলিক কণিকা (Elementary Particles)
-
পরমাণু তৈরি হয় সূক্ষ্ম কণিকাগুলো দিয়ে। এই কণিকাগুলোকে মৌলিক কণিকা বলা হয়।
-
পরমাণুর মধ্যে প্রধানত তিন ধরনের মৌলিক কণিকা থাকে:
১. ইলেকট্রন (Electron)
২. প্রোটন (Proton)
৩. নিউট্রন (Neutron) -
পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস (Nucleus)।
-
নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
-
ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাইরে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকে।
-
একটি পরমাণু আধান নিরপেক্ষ (Electrically Neutral), কারণ এতে প্রোটনের সংখ্যা = ইলেকট্রনের সংখ্যা।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
কোন গ্রহের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অধিক?
Created: 2 months ago
A
শুক্র
B
পৃথিবী
C
মঙ্গল
D
বুধ
সৌরজগতের গ্রহগুলোর তাপমাত্রা
সূর্য থেকে যত দূরে কোনো গ্রহ অবস্থান করে, সাধারণত তার গড় তাপমাত্রা তত কমে যায়। তবে শুক্র এর ব্যতিক্রম। কারণ এর ঘন কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরা বায়ুমণ্ডল ও সূর্যের সান্নিধ্য একে সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রহে পরিণত করেছে।
শুক্র পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ এবং এটি আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বলভাবে দেখা যায়। এর ঘন মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে গঠিত। তাই তাপ আটকে রেখে গ্রহটিকে ভীষণ উষ্ণ করে তোলে। অন্যদিকে পৃথিবী সূর্য থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গ্রহগুলোর গড় তাপমাত্রা (প্রায়)
-
বুধ: ১৬৭° সেলসিয়াস
-
শুক্র: ৪৬৪° সেলসিয়াস
-
পৃথিবী: ১৫° সেলসিয়াস
-
মঙ্গল: –৬৫° সেলসিয়াস
-
বৃহস্পতি: –১১০° সেলসিয়াস
-
শনি: –১৪০° সেলসিয়াস
-
ইউরেনাস: –১৯৫° সেলসিয়াস
-
নেপচুন: –২০০° সেলসিয়াস
সব মিলিয়ে বলা যায়, সূর্য থেকে যত দূরে যাওয়া যায়, তাপমাত্রা তত হ্রাস পায়। তবে শুক্র তার ঘন বায়ুমণ্ডলের কারণে নিয়মের বাইরে থেকে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ হিসেবে পরিচিত।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি) এবং NASA ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago