মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত?
A
17
B
18
C
35
D
70
উত্তরের বিবরণ
পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা লেখার নিয়ম
কোন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা (Z) যত তার নিউক্লিয়াসে ঠিক ততটি প্রোটন থাকে। যদি কোন পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা Z হয়, তবে সেই পরমাণুতে Z সংখ্যক প্রোটন ও Z সংখ্যক ইলেকট্রন আছে।
- পরমাণুর ভর সংখ্যা যদি A হয়, তবে নিউট্রনের সংখ্যা = A - Z.
- কোন মৌলের পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা, ভর সংখ্যা নিম্ন রীতিতে দেখানো হয়।

এখানে,
X = মৌলের প্রতীক।
Z = মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা। এটি প্রতীকের বাম পার্শ্বে পাদদেশে বসে।
A = পরমাণুর ভর সংখ্যা। এটি প্রতীকের বাম পার্শ্বে শীর্ষদেশে বসে। এটি প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যা যাকে নিউক্লিয়ন সংখ্যাও বলা হয়।
ক্লোরিন (Cl) মৌলের নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয়:

- ক্লোরিনের প্রোটন সংখ্যা 17 এবং
- নিউক্লিয়ন সংখ্যা বা পারমাণবিক ভর 35
অতএব, নিউট্রন সংখ্যা হবে = 35 - 17 = 18 ।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কী?
Created: 2 months ago
A
অক্সিজেন পরিবহন করা
B
রোগ প্রতিরোধ করা
C
রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করা
D
উপরে উল্লিখিত সব কয়টিই
হিমোগ্লোবিনের কাজ
-
রক্তের হিমোগ্লোবিন প্রধানত শরীরে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
-
এটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে শরীরের প্রত্যেকটি কোষে পৌঁছে দেয়, যাতে কোষগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে।
-
হিমোগ্লোবিন কার্বন ডাই-অক্সাইডও বের করতে সাহায্য করে, যা কোষের বর্জ্য হিসেবে তৈরি হয়।
-
এছাড়া, হিমোগ্লোবিন রক্তকে লাল রঙ প্রদান করে।
0
Updated: 1 week ago
সুনামীর কারণ হল-
Created: 2 months ago
A
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
D
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
সুনামি (Tsunami)
-
সুনামি মূলত সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়।
-
“Tsunami” শব্দটি জাপানি, যার শাব্দিক অর্থ হলো ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’। এখানে ‘tsu’ মানে বন্দর বা harbour, আর ‘nami’ মানে সামুদ্রিক ঢেউ।
-
বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে এমন যে এখানে সুনামি খুব কম ঘটে।
-
তবে ইতিহাসে কিছু ঘটনায় সুনামির প্রভাব দেখা গেছে। যেমন:
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল: কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকায় সুনামির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
১৯৪১ সালে: আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে ভারতের পূর্ব উপকূলে প্রায় ৫,০০০ মানুষ নিহত হন।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলেউ দ্বীপে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামি সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
ছায়াপথ তার নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে যে সময় লাগে তাকে কী বলে?
Created: 1 week ago
A
সৌর বছর
B
কসমিক ইয়ার
C
আলোক বর্ষ
D
পালসার
ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি তার নিজস্ব অক্ষকে কেন্দ্র করে একবার পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে যে দীর্ঘ সময় নেয়, সেই সময়কে বলা হয় কসমিক ইয়ার (Cosmic Year) বা গ্যালাক্টিক ইয়ার (Galactic Year)। এটি একটি অত্যন্ত বৃহৎ সময়কাল, যা পৃথিবী বা সৌরজগতের সময়ের তুলনায় অসীম দীর্ঘ।
-
আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ (Milky Way Galaxy)-এ সূর্যসহ সমগ্র সৌরজগত কেন্দ্রীয় গ্যালাক্টিক কোরকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণন করছে।
-
সূর্যের এই একবার সম্পূর্ণ পরিক্রমণ করতে সময় লাগে আনুমানিক ২২.৫ থেকে ২৫ কোটি বছর।
-
এই সময়কালকেই বলা হয় একটি কসমিক ইয়ার, অর্থাৎ ছায়াপথের নিজ অক্ষের চারপাশে এক পূর্ণ ঘূর্ণনের সময়কাল।
-
এটি মহাজাগতিক সময়ের একটি বড় একক, যা আমাদের সৌর বছরের তুলনায় কোটি কোটি গুণ বেশি দীর্ঘ।
অন্য বিকল্পগুলোর অর্থ তুলনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়—
-
সৌর বছর (Solar Year) হলো পৃথিবীর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময়, যা প্রায় ৩৬৫ দিন।
-
আলোক বর্ষ (Light Year) কোনো সময় নয়, বরং দূরত্বের একক — আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, প্রায় ৯.৪৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার।
-
পালসার (Pulsar) হলো দ্রুত ঘূর্ণনশীল নিউট্রন তারা, যা রেডিও তরঙ্গ বা বিকিরণ নির্গত করে, এটি সময়ের একক নয়।
অতএব, ছায়াপথের নিজের অক্ষকে কেন্দ্র করে একবার ঘুরে আসতে যে সময় লাগে তাকে বলা হয় — কসমিক ইয়ার (Cosmic Year)।
সঠিক উত্তর — খ) কসমিক ইয়ার।
0
Updated: 1 week ago