A
লাউড স্পিকার
B
অ্যামপ্লিফায়ার
C
জেনারেটর
D
মাল্টিমিটার
উত্তরের বিবরণ
শক্তির রূপান্তর
-
লাউডস্পিকার ও বৈদ্যুতিক ঘণ্টা: বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
মাইক্রোফোন: শব্দ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
জেনারেটর বা ডায়নামো: যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
বৈদ্যুতিক মোটর: তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
মোবাইল ফোনের ব্যাটারি: চার্জ দেওয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর কোন ঘটনাটি ঘটে?
Created: 3 weeks ago
A
প্রতিসরণ
B
বিচ্ছুরণ
C
অপবর্তন
D
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবার হলো খুবই সরু ও চিকন কাঁচের সুতো, যা মানুষের চুলের মতো দেখতে এবং সহজে বাঁকানো যায়। এর কাজ হলো আলোক রশ্মি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া।
যখন আলো ফাইবারের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা কাঁচতন্তুর দেয়ালে লেগে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটায়। এভাবে প্রতিফলিত হতে হতে আলো শেষ প্রান্তে গিয়ে বের হয়।
👉 এই প্রক্রিয়ার জন্য আলো মাঝপথে বাইরে বের হয়ে যায় না এবং অনেক দূর পর্যন্ত একই শক্তি নিয়ে পৌঁছাতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ডাক্তাররা শরীরের ভেতরের অংশ যেমন পাকস্থলী, কোলন ইত্যাদি দেখার জন্য যে আলোক নল ব্যবহার করেন, সেটি অনেকগুলো অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি।
-
টেলিযোগাযোগে: টেলিফোন বা ইন্টারনেট সিগন্যাল বহনে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে একসাথে অসংখ্য সংকেত পাঠানো যায় এবং সংকেত দুরত্বে গেলেও শক্তি হারায় না।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ধাতু কোনটি?
Created: 1 month ago
A
লোহা
B
সিলিকন
C
পারদ
D
তামা
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যাওয়া ধাতুটি হলো অ্যালুমিনিয়াম।
ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম সবচেয়ে বেশি (প্রায় ৮.১%), এরপর রয়েছে লোহা (প্রায় ৫%) এবং ক্যালসিয়াম (প্রায় ৩.৬%)।
অ্যালুমিনিয়াম সাধারণত অন্যান্য মৌলিক পদার্থের সঙ্গে মিশে যৌগ তৈরি করে থাকে। এই যৌগগুলোকে অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক বলা হয়। যেমন: বক্সাইট, ক্রায়োলাইট ও কোরানডাম।
তবে যদি কোনো প্রশ্নে অ্যালুমিনিয়াম অপশনে না থাকে, তাহলে পরবর্তী সর্বাধিক প্রচলিত ধাতু হিসেবে লোহা-কেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হবে।
তথ্যসূত্র: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষাস্তরের (First line of defence) অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
লাইসোজাইম (LYSOZYME)
B
গ্যাসট্রিক জুস (GASTRIC JUICE)
C
সিলিয়া (CILIA)
D
লিম্ফোসাইট (LYMPHOCYTES)
ইম্যুনাইজেশন
ইম্যুনাইজেশন হলো মানুষের শরীরকে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া। অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া।
মানবদেহে রোগজীবাণু বা পরজীবী আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণত তিনটি স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে।
১. প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা (Primary Defense):
প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা মূলত রোগজীবাণুকে দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়াই। এর মধ্যে রয়েছে:
-
ত্বক: বাহ্যিক বাধা হিসেবে কাজ করে।
-
সিলিয়া ও মিউকাস: শ্বাসনালিতে ধুলো ও জীবাণু আটকায়।
-
লাইসোজাইম এনজাইম: লালা ও চোখের জল জীবাণু ধ্বংস করে।
-
অম্ল (Acid) ও রক্ত জমাট: পেটের অম্ল এবং রক্তের জমাট জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
২. দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Secondary Defense):
যদি রোগজীবাণু প্রথম স্তর অতিক্রম করতে পারে, তবে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত:
-
ফ্যাগোসাইটিক কোষ: শ্বেতরক্তকণিকা থেকে তৈরি ম্যাক্রোফেজ ও নিউট্রোফিল রোগজীবাণু খায়।
-
প্রদাহ সাড়া ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি: সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রদাহ ও জ্বরের মাধ্যমে সহায়তা করে।
-
কমপ্লিমেন্ট, ইন্টারফেরন ও ন্যাচারাল কিলার সেল: রোগজীবাণুর ধ্বংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Tertiary / Specific Immune Response):
তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা বিশেষভাবে নির্দিষ্ট জীবাণু বা অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ইমিউনিটি জনিত সাড়া (immune response) নামে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
-
লিম্ফোসাইট: B ও T কোষ, যা বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
MHC অণু (Major Histocompatibility Complex): অ্যান্টিজেনকে শনাক্ত করে সঠিক সেলকে সক্রিয় করে।
-
ক্লোনাল সিলেকশন: নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে সেলগুলো প্রজনন করে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গঠন করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান-প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।

0
Updated: 1 week ago