কার্বোহাইড্রেট C, H এবং O-এর অনুপাত কত?
A
১ : ১ : ২
B
১ : ২ : ১
C
১ : ৩ : ২
D
১ : ৩ : ১
উত্তরের বিবরণ
কার্বোহাইড্রেট
-
কার্বোহাইড্রেট হলো উদ্ভিদের সবুজ অংশে সূর্যের আলো ও ক্লোরোফিলের সাহায্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি থেকে তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ জৈব যৌগ।
-
এটি জীবদেহে গুরুত্বপূর্ণ গঠনিক ও সঞ্চয়ী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
-
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের প্রধান উৎসও কার্বোহাইড্রেট।
-
নামটি এসেছে “হাইড্রেটেড কার্বন” থেকে, অর্থাৎ এটি মূলত কার্বনের সঙ্গে জলের মিলন।
-
কার্বোহাইড্রেটের প্রতি অণুতে থাকে: একটি কার্বন (C), দুটি হাইড্রোজেন (H), এবং একটি অক্সিজেন (O)। অর্থাৎ, অনুপাত ১:২:১।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
বিদ্যুতের উচ্চতর ভোল্ট থেকে নিম্নতর ভোল্ট পাওয়া যায়-
Created: 2 months ago
A
ট্রান্সমিটারের সাহায্যে
B
স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে
C
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে
D
এডাপটারের সাহায্যে
ট্রান্সফর্মার
ট্রান্সফর্মার হলো একটি স্থির বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বিদ্যুৎ শক্তি একটি সার্কিট থেকে অন্য সার্কিটে স্থানান্তর করতে সাহায্য করে।
ট্রান্সফর্মারের প্রধানত দুই প্রকার:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার (Step-up Transformer)
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার (Step-down Transformer)
স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার
-
এটি কম ভোল্টের বেশি কারেন্টকে বেশি ভোল্টের কম কারেন্টে রূপান্তর করে।
-
এখানে সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যা প্রাইমারি কয়েলের চেয়ে বেশি থাকে।
-
এই ধরনের ট্রান্সফর্মার সাধারণত বিদ্যুৎ দূরদূরান্তে পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার:
-
এটি বেশি ভোল্টের কম কারেন্টকে কম ভোল্টের বেশি কারেন্টে রূপান্তর করে।
-
এর মাধ্যমে আমরা উচ্চ ভোল্টের বিদ্যুৎ থেকে কম ভোল্টের বিদ্যুৎ পেতে পারি।
-
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার সাধারণত এমন যন্ত্রে ব্যবহৃত হয় যা কম ভোল্ট ব্যবহার করে, যেমন: রেডিও, টেলিভিশন, টেপ রেকর্ডার, ভিসিআর, ইলেকট্রিক ঘড়ি, ওয়াকম্যান ইত্যাদি।
-
বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যও স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি সিরামিক উপাদানের প্রধান কাঁচামাল?
Created: 3 weeks ago
A
SiO2
B
Na2CO3
C
Fe2O3
D
NaNO3
সিরামিককে সাধারণভাবে এমন সব উপকরণ হিসেবে ধরা হয় যেগুলো pottery, tableware, crockery, sanitary ware এবং decorative items তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মূলত এগুলো মাটি ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থেকে উচ্চ তাপে পোড়ানো হয়।
সিরামিক উৎপাদনের প্রধান উপাদানগুলো হলো –
১. চায়না ক্লে (China Clay বা Kaolin):
-
এর রাসায়নিক গঠন হলো Hydrated Aluminium Silicate – Al2O3·2SiO2·2H2O।
-
এটি হলো একধরনের কাদা মাটি যা সিরামিকের মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২. সিলিকা (Silica – Quartz বা Flint):
-
এর রাসায়নিক সংকেত SiO2।
-
এটি একধরনের উচ্চ তাপ সহনশীল refractory material।
-
সিলিকা ক্লে কণার binder হিসেবে কাজ করে।
-
সিরামিকের heat resistance এবং mechanical strength বৃদ্ধি করার জন্য এটি অপরিহার্য।
৩. ফেলস্পার (Felspar):
-
এটি মূলত Alumina (Al2O3), Silica (SiO2) এবং alkaline oxides এর মিশ্রণে গঠিত।
-
ফেলস্পার সিরামিকে fluxing material (বিগালক পদার্থ) হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি উচ্চ তাপে গলে অন্যান্য উপাদানকে একত্র করে।
-
তিন ধরনের ফেলস্পার ব্যবহৃত হয়:
-
Potash Felspar: K2O·Al2O3·6SiO2
-
Soda Felspar: Na2O·Al2O3·6SiO2
-
Lime Felspar: CaO·Al2O3·6SiO2
-
তাহলে বলা যায়, সিরামিক মূলত China Clay, Silica এবং Felspar এই তিন উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ, যা বিভিন্ন দৈনন্দিন ও শিল্পকারখানার কাজে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে?
Created: 2 months ago
A
হৃদযন্ত্রে
B
বৃক্কে
C
ফুসফুসে
D
প্লীহাতে
লোহিত রক্তকণিকা (Red Blood Cells - RBC)
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকা ডিম্বাকৃতি বা দু-অবতল চাকতির মতো দেখতে হয়।
-
এদের লাল রঙ হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের কারণে, যা অক্সিজেন পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই এদেরকে সাধারণত Red Blood Cell (RBC) বলা হয়।
-
আসলে, লোহিত রক্তকণিকা হলো হিমোগ্লোবিন ভর্তি চ্যাপ্টা ব্যাগের মতো। এই চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে এটি সহজেই বেশি অক্সিজেন বহন করতে পারে।
-
লোহিত কণিকা বিভাজন করতে পারে না। এগুলো সবসময় অস্থিমজ্জা (Bone Marrow) থেকে তৈরি হয়ে রক্তে প্রবেশ করে।
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকার আয়ু প্রায় ১২০ দিন (৪ মাস)।
-
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, লোহিত কণিকা উৎপাদনের পরে নিউক্লিয়াস হারায়। কিন্তু অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর লোহিত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে।
-
লোহিত কণিকাগুলো প্রয়োজনে প্লীহা (Spleen) থেকে রক্তে সরবরাহ করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago