বাতাসের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্রের নাম কী?
A
মাইকোমিটার
B
হাইগ্রোমিটার
C
ব্যারোমিটার
D
গ্রাভিমিটার
উত্তরের বিবরণ
বায়ুর আর্দ্রতা
বায়ুতে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে বায়ুর আর্দ্রতা বলা হয়। যদি বায়ুতে জলীয়বাষ্প না থাকে, তবে পানিচক্র সম্পূর্ণভাবে ঘটতে পারত না। সাধারণভাবে বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ খুব কম, প্রায় ১% এর কম। কিন্তু আর্দ্র বায়ুতে এটি প্রায় ২–৫% পর্যন্ত বেড়ে যায়।
বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ:
বায়ুর আর্দ্রতা হাইগ্রোমিটার দ্বারা মাপা হয়।
আর্দ্রতার প্রধান দুই প্রকার:
-
পরম আর্দ্রতা: নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণ।
-
আপেক্ষিক আর্দ্রতা: নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে থাকা প্রকৃত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ও সেই আয়তনের বায়ুকে একই তাপমাত্রায় সম্পূর্ণ পরিপৃক্ত করতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প লাগবে, তার অনুপাত।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোনটি?
Created: 2 months ago
A
পরমাণু শক্তি
B
কয়লা
C
পেট্রোল
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা শক্তি হলো এমন জ্বালানি যা ব্যবহার করার পর শেষ হয় না এবং বারবার পাওয়া বা ব্যবহার করা যায়। যেমন:
-
সৌরশক্তি (সূর্যের তাপ),
-
বায়ু শক্তি,
-
জলবিদ্যুৎ,
-
ভূ-তাপ শক্তি (জিওথার্মাল),
-
পরমাণু শক্তি,
-
বায়োগ্যাস ইত্যাদি।
অন্যদিকে, অনবায়নযোগ্য জ্বালানি হলো যেগুলো একবার ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায় এবং পুনরায় পাওয়া যায় না। যেমন:
-
কয়লা,
-
প্রাকৃতিক গ্যাস,
-
খনিজ তেল,
-
পারমাণবিক জ্বালানি।
সূত্র: পদার্থবিজ্ঞান, ৯ম-১০ম শ্রেণি, এনসিটিবি।
0
Updated: 2 months ago
কোনটির জন্য পুষ্প রঙ্গিন ও সুন্দর হয়?
Created: 1 month ago
A
ক্রোমোপ্লাস্ট
B
ক্লোরোপ্লাস্ট
C
ক্রোমাটোপ্লাস্ট
D
লিউকোপ্লাস্ট
প্লাস্টিড
-
প্লাস্টিড হলো উদ্ভিদ কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু।
-
এর প্রধান কাজ হলো: খাদ্য তৈরি করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং উদ্ভিদকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করে তোলা, যা পরাগায়নে সাহায্য করে।
-
প্লাস্টিড মূলত তিন ধরনের: ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট, এবং লিউকোপ্লাস্ট।
ক্রোমোপ্লাস্ট
-
ক্রোমোপ্লাস্ট হলো রঙিন প্লাস্টিড, তবে সবুজ নয়।
-
এদের মধ্যে থাকে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ যেমন: জ্যান্থফিল, ক্যারোটিন, ফাইকোএরিথ্রিন, ফাইকোসায়ানিন।
-
রঞ্জকের কারণে উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ হলুদ, লাল বা নীল দেখায়।
-
ক্রোমোপ্লাস্টের এই রঙিন বৈশিষ্ট্যের ফলে ফুল, পাতা ও অন্যান্য অংশ আকর্ষণীয় হয়।
-
উদাহরণ: রঙিন ফুল, পাতা এবং গাজরের মূলে ক্রোমোপ্লাস্ট থাকে।
-
প্রধান কাজ: ফুলকে রঙিন ও সুন্দর করে পরাগায়নে সাহায্য করা।
-
এরা বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে সঞ্চয় করে রাখে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
ফল পাকানোর জন্য দায়ী কী?
Created: 2 months ago
A
ইথিলিন
B
প্রপিন
C
লাইকোপেন
D
মিথিলিন
ফল (Fruit)
-
ফুলের গর্ভাশয় পরিপক্ক হয়ে ফল তৈরি করে।
-
বীজপাতার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ফলকে দুই ভাগ করা হয়:
— একবীজপত্রী ফল (যেমন আম)
— বহু বীজপত্রী ফল (যেমন বরই) -
পরাগায়নের ধরন অনুযায়ী ফল দুই রকম:
— স্ব-পরাগী ফল
— পর-পরাগী ফল
— কখনও কখনও স্ব ও পর-পরাগী উভয় ধরণের ফলও হয়। -
গাছের জীবনকালের ওপর ভিত্তি করে ফলকে ভাগ করা হয়:
— স্বল্পমেয়াদী ফল
— দীর্ঘমেয়াদী ফল -
ফল দেওয়ার প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে:
— মনোকারপিক ফল (একটি গর্ভাশয় থেকে)
— পলিকারপিক ফল (একাধিক গর্ভাশয় থেকে) -
উৎপত্তির দিক থেকে ফল দুই রকম:
— প্রকৃত ফল (ফুলের গর্ভাশয় থেকে তৈরি)
— অপ্রকৃত ফল (ফুলের অন্য অংশ থেকে তৈরি) -
ফল পাকানোর জন্য প্রধান হরমোন হলো ইথিলিন।
-
ফলের লাল রঙের জন্য দায়ী রঞ্জক হলো লাইকোপেন।
-
ফুলের মঞ্জরীর গঠন অনুযায়ী ফলকে ভাগ করা হয়:
— সরল ফল
— যৌগিক ফল
— গুচ্ছফল -
ফলের বাইরের খোলস বা পেরিকার্পের বুনট অনুযায়ী:
— নিরস ফল
— সরস ফল
উৎস: স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago