জীববৈচিত্র্যকে কতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
A
দুই
B
তিন
C
চার
D
পাঁচ
উত্তরের বিবরণ
জীববৈচিত্র্য (Biodiversity):
-
সংজ্ঞা:
পৃথিবীর পরিবেশে জীব ও জড় উপাদানের সমন্বয়ে যে বিচিত্রতা বিদ্যমান, তাকে জীববৈচিত্র্য বলা হয়।-
প্রতিটি প্রজাতি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যা তাদের অন্য সব প্রজাতি থেকে আলাদা ও শনাক্তযোগ্য করে।
-
-
জীববৈচিত্র্যের স্তর:
জীববৈচিত্র্যকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে:
১. প্রজাতিগত বৈচিত্র্য (Species diversity): এক প্রজাতির মধ্যে বা বিভিন্ন প্রজাতির বৈচিত্র্য।
২. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য (Ecosystem diversity): পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন জীবের সংমিশ্রণ।
৩. বংশগতীয় বৈচিত্র্য (Genetical diversity): একই প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন জেনেটিক বৈশিষ্ট্য।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন ধাতুটি চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় না?
Created: 1 month ago
A
নিকেল
B
তামা
C
লোহা
D
কোবাল্ট
চৌম্বক পদার্থ:
- যে সকল পদার্থকেই চুম্বক আকর্ষণ করে তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলে।
যেমন- লোহা, নিকেল, কোবাল্ট এবং অধিকাংশ ইস্পাতকে আকর্ষণ করে তাই এই পদার্থগুলোকে চৌম্বক পদার্থ বলে।
অচৌম্বক পদার্থ:
- যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না তাদেরকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।
যেমন- তামা, অ্যালুমিনিয়াম, পিতল, কাঠ, রৌপ্য, প্লাস্টিক ইত্যাদি পদার্থগুলোকে আকর্ষণ করে না তাই এই পদার্থগুলোকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।
0
Updated: 1 month ago
জীবের ভ্রূণ গঠন ও বিকাশ নিয়ে জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় আলোচনা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
Cytology
B
Physiology
C
Morphology
D
Embryology
জীববিজ্ঞানকে জীবের বৈশিষ্ট্য বা জীববিজ্ঞানের কোন দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত করা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নরূপ:
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology):
-
এ শাখায় জীবের গঠন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাহ্যিক গঠনকে বহিঃঅঙ্গসংস্থান (External morphology) এবং অভ্যন্তরীণ গঠনকে অন্তঃঅঙ্গসংস্থান (Internal morphology) বলা হয়।
-
-
শারীরবিদ্যা (Physiology):
-
জীবের শ্বসন, রেচন, প্রজনন, পরিপাক ও আত্তীকরণ এবং সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণসহ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
ভ্রূণবিদ্যা (Embryology):
-
ভ্রূণ সৃষ্টি ও বিকাশের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবের সৃষ্টি হয়।
-
জীবের ভ্রূণ গঠন ও বিকাশ নিয়ে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
কোষবিদ্যা (Cytology):
-
জীবদেহের গঠন ও কার্যপ্রণালীর মৌলিক একক হলো কোষ।
-
কোষ ও কোষাঙ্গাণুর গঠন, কাজ এবং বিভাজন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics):
-
মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য সন্তানে স্থানান্তরিত হয়।
-
বংশগতি সংক্রান্ত ধারাগুলো এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology):
-
জীবসমূহ যে পরিবেশে বাস করে এবং সেই পরিবেশের সঙ্গে জীবসমূহের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
বিবর্তন (Evolution):
-
আদি কালের জীব বর্তমান কালের জীবের চেয়ে ভিন্ন ছিল; কালের বিবর্তনের মাধ্যমে তারা বর্তমান পর্যায়ে এসেছে।
-
জীবসমূহের সূচনা ও বিবর্তন নিয়ে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
-
0
Updated: 3 weeks ago
নিম্নের কোনটি একটি শক্তিশালী এসিড?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রিক এসিড
B
সাইট্রিক এসিড
C
এসিটিক এসিড
D
অক্সালিক এসিড
শক্তিশালী ও দুর্বল এসিড:
কিছু জৈব এসিড পানিতে বিযোজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) মুক্ত করে, কিন্তু সবসময় পুরোপুরি নয়। অর্থাৎ, এসিডের সব অণু থেকে H⁺ মুক্ত হয় না। এই ধরনের এসিডকে দুর্বল এসিড বলা হয়।
পক্ষান্তরে, খনিজ এসিড পানিতে পুরোপুরি বিযোজিত হয়ে H⁺ মুক্ত করে। অর্থাৎ, এসিডের সব অণু বিযোজিত হয়। তাই এ ধরনের এসিডকে শক্তিশালী এসিড বলা হয়।
-
তবে কিছু এসিড যেমন কার্বোনিক এসিড (H₂CO₃), যদিও জৈব নয়, তবুও দুর্বল এসিড হিসেবে বিবেচিত।
দুর্বল এসিডের উদাহরণ:
-
এসিটিক এসিড (CH₃COOH)
-
সাইট্রিক এসিড (C₆H₈O₇)
-
অক্সালিক এসিড (HOOC-COOH)
শক্তিশালী এসিডের উদাহরণ:
-
নাইট্রিক এসিড (HNO₃)
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl)
-
সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)
0
Updated: 1 month ago