আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার একটি উদাহরণ কোনটি?
A
সালোকসংশ্লেষণ
B
বৈদ্যুতিক পাখা ঘোরা
C
চিমনির কাচ গরম হওয়া
D
ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ রূপান্তর
উত্তরের বিবরণ
আলোক শক্তির রূপান্তর:
১. আলোক শক্তি → রাসায়নিক শক্তি:
-
ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
ফিল্মে থাকা সিলভার ব্রোমাইড (AgBr) বা সিলভার ক্লোরাইড (AgCl) আলোর সংস্পর্শে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়।
-
ফলে আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
২. আলোক শক্তি → তাপ শক্তি:
-
উদাহরণ: হারিকেনের চিমনির কাঁচে আলো পড়লে তা গরম লাগে।
-
কারণ আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৩. আলোক শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি:
-
উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপন্ন করে।
-
পরে সেই খাদ্য গ্রহণকারী প্রাণীর দেহে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটানিকা।
0
Updated: 1 month ago
আলোর বর্ণালীতে কয়টি বর্ণ থাকে?
Created: 1 month ago
A
৩ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৭ টি
বর্ণালী (Spectrum) সম্পর্কে সংক্ষেপ:
-
সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মি একটি কাচের প্রিজমে আপতিত হলে প্রিজমের অপর পার্শ্বে একটি সাদা পর্দায় সাতটি বর্ণের আলোর স্তর দেখা যায়। এই স্তরকে বর্ণালী বলা হয়।
-
বর্ণালীতে মোট ৭টি বর্ণ থাকে:
১. লাল (Red) – উপরেরmost
২. কমলা (Orange)
৩. হলুদ (Yellow)
৪. সবুজ (Green)
৫. আকাশী (Blue)
৬. নীল (Indigo)
৭. বেগুনী (Violet) – নিচেরmost -
স্মরণ করার নিয়ম: বেগুনী থেকে শুরু করে প্রথম অক্ষরগুলো হলো “বেনীআসহকলা” বা আন্তর্জাতিকভাবে VIBGYOR।
-
আলোকের বিচ্ছুরণ (Dispersion):
বিভিন্ন বর্ণের আলো আলাদা হয়ে যাওয়াকে আলোর বিচ্ছুরণ বলা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র, এইচ.এস.সি. প্রোগ্রাম; বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন মাধ্যমে আলোর গতি সর্বাধিক থাকে?
Created: 1 month ago
A
পানি
B
কাচ
C
বায়ু
D
শূন্যস্থান
আলো হলো এমন একধরনের শক্তি যা আমাদের চারপাশকে দৃশ্যমান করে তোলে এবং জীবনের জন্য অপরিহার্য। এটি তড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ আকারে বিস্তার লাভ করে এবং বিভিন্ন ভৌত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়।
-
আলো একপ্রকার শক্তি।
-
এটি একধরনের তড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ, যা আমাদের চোখে দর্শনের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
আলোর কণাকে ফোটন বলা হয়।
-
শূন্যস্থানে আলোর গতি প্রায় 3×10⁸ মিটার/সেকেন্ড বা প্রায় ২৯৯,৭৯২ কিমি/সেকেন্ড।
-
অর্থাৎ, আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করে।
-
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।
-
দৃশ্যমান আলো সাতটি বর্ণের সমষ্টি: বেগুনী, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বিবৃতিটি গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভুল?
Created: 1 month ago
A
এর ভেদন ক্ষমতা খুব বেশি
B
এটি একটি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ
C
এর ফোটনগুলোর শক্তি অনেক কম
D
এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট
গামা রশ্মি (Gamma Ray)
-
প্রকৃতি: গামা রশ্মি হলো শক্তিশালী বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ।
-
চার্জ ও ভর: গামা রশ্মি চার্জবিহীন এবং ভরহীন, তাই এটি বিদ্যুৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
-
উৎপত্তি: যখন কোনো নিউক্লিয়াস আলফা বা বিটা কণার বিকিরণ করে 'উত্তেজিত' অবস্থায় থাকে, তখন বাড়তি শক্তি গামা রশ্মি হিসেবে নির্গত হয়।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও শক্তি:
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট (প্রায় ১০⁻¹² মিটারের নিচে)।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং ফোটনের শক্তি বিপরীতানুপাতিক, তাই ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য মানে উচ্চ শক্তি।
-
-
গতি: গামা রশ্মির বেগ সর্বদা আলোর বেগের সমান।
-
ভেদন ক্ষমতা (Penetrating Power):
-
গামা রশ্মি অত্যন্ত উচ্চ ভেদন ক্ষমতার।
-
এটি কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসার পাত বা কয়েক মিটার পুরু কংক্রিটও ভেদ করতে পারে।
-
সাধারণত গামা রশ্মি থামাতে কয়েক সেন্টিমিটার সীসার পুরু পাতা ব্যবহার করা হয়।
-
-
আয়নায়ন ক্ষমতা: চার্জ না থাকলেও, গামা রশ্মি অণু ও পরমাণুকে আয়নিত করতে পারে, যা এর অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
মূল কারণ: গামা রশ্মির উচ্চ শক্তি তার উচ্চ ভেদন ক্ষমতার মূল কারণ।
0
Updated: 1 month ago