প্রোটিস্টাদের কোষে নিচের কোনটি থাকে না?
A
ভ্রুণ
B
অঙ্গাণু
C
নিউক্লিয়ার পর্দা
D
ক্রোমাটিন
উত্তরের বিবরণ
প্রোটিস্টা (Protista) বৈশিষ্ট্য:
-
প্রোটিস্টা এককোষী বা বহুকোষী, একক বা কলোনিয়াল (দলবদ্ধ) বা ফিলামেন্টাস, এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট।
-
কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে।
-
ক্রোমাটিনে DNA, RNA এবং প্রোটিন থাকে।
-
কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে।
-
খাদ্যগ্রহণ শোষণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে।
-
অযৌন প্রজনন ঘটে মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে।
-
যৌন প্রজনন ঘটে কনজুগেশনের মাধ্যমে, অর্থাৎ জৈবনিকভাবে ভিন্ন কিন্তু গঠনগতভাবে এক, এরূপ দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে।
-
কোনো ভ্রুণ গঠিত হয় না।
উদাহরণ: অ্যামিবা, প্যারামেসিয়াম, এককোষী ও বহুকোষী শৈবাল।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 day ago
যে কোষে সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে তাকে কী বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
আদি কোষ
B
প্রকৃত কোষ
C
দেহ কোষ
D
রাইবোজোম কোষ
কোষ:
- প্রতিটি জীবদেহ এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত।
- একটি মাত্র কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে বলা হয় এককোষী জীব এবং একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে বলা হয় বহুকোষী জীব।
- কোষ জীবদেহের গাঠনিক এবং কার্যকরী একক।
- কোষের অভ্যন্তরেই জীবের জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় জৈবিক কার্যকলাপ সম্পন্ন হয়।
- ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে বোতলের কর্ক পরীক্ষাকালে মৌচাকের ন্যায় অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এবং পরস্পর সংযুক্ত প্রকোষ্ঠ দেখতে পান যে প্রকোষ্ঠগুলোর নাম দেন Cell ।
- Cell এর বাংলা অর্থ কুঠুরী বা কোষ।
কোষের প্রকারভেদ:
- নিউক্লিয়াসের গঠনের উপর নির্ভর করে কোষকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যথা- প্রকৃত কোষ এবং আদি কোষ।
১। প্রকৃত কোষ:
- যে সকল কোষে সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে তাদেরকে বলা হয় প্রকৃত কোষ।
- শৈবাল, ছত্রাক, ব্রায়োফাইটস, টেরিডোফাইটস, জিমনোস্পার্মস, অ্যানজিওস্পার্মস ইত্যাদি প্রকৃত কোষ দ্বারা গঠিত।
- আবার, অবস্থান এবং কাজের উপর নির্ভর করে কোষকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যথা- দেহ কোষ এবং জনন কোষ।
২। আদি কোষ:
- যে সকল কোষে সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত থাকে তাদেরকে বলা হয় আদি কোষ।
- এ সকল কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বডি, সেন্ট্রিয়োল, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অনুপস্থিত থাকে।
- তবে বিক্ষিপ্ত DNA এবং রাইবোসোম থাকে।
- ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ ব্যাকটেরিয়া, ইত্যাদি আদি কোষীয় জীব।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে কি বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
ফিশন
B
মেসন
C
ফিউশন
D
ফিউশন ও মেসন
নিউক্লিয়াস থেকে শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়া
পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে শক্তি উৎপন্ন করার দুটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে:
নিউক্লিয়ার ফিশন (নিউক্লিয়াস বিভাজন):
যে প্রক্রিয়ায় একটি ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস শক্তিশালী কণার আঘাতের ফলে দুই বা তার বেশি সমান অংশে বিভক্ত হয় এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়, তাকে নিউক্লিয়ার ফিশন বলা হয়।
নিউক্লিয়ার ফিউশন (নিউক্লিয়াস সংযোজন):
যে প্রক্রিয়ায় একাধিক হালকা নিউক্লিয়াস মিলিত হয়ে একটি ভারী নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং এতে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে নিউক্লিয়ার ফিউশন বলা হয়।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago