A
সূর্য
B
পৃথিবী
C
নক্ষত্র
D
চন্দ্র
উত্তরের বিবরণ
জোয়ার-ভাটা:
-
মহাকর্ষ শক্তি এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে একই জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য সময় নেমে যায়। সমুদ্রের পানির এইরূপ ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলা হয়।
-
সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সংঘটিত হয়।
-
চন্দ্র অপেক্ষা সূর্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়, কিন্তু পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে এবং পৃথিবী থেকে চন্দ্র গড়ে ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। এ কারণে পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ ক্ষমতা সূর্য অপেক্ষা বেশি।
-
ফলে জোয়ার-ভাটায় চন্দ্রের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়।
জোয়ার-ভাটার প্রকারভেদ:
১. মুখ্য জোয়ার:
-
চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে আবর্তনকালে যে অংশ চন্দ্রের নিকটবর্তী হয়, সেখানে চন্দ্রের আকর্ষণ সর্বোচ্চ হয়। চারদিক থেকে জলরাশি এসে চন্দ্রের দিকে ফুলে ওঠে। এ ধরনের জোয়ারকে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলা হয়।
২. গৌণ জোয়ার:
-
চাঁদ পৃথিবীর যে পার্শ্বে আকর্ষণ করে তার বিপরীত দিকের জলরাশির ওপর মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব কমে যায় এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তি সৃষ্টি হয়। ফলে চারদিক থেকে পানি ঐ স্থানে এসে জোয়ারের সৃষ্টি করে। এ ধরনের জোয়ারকে গৌণ জোয়ার বা পরোক্ষ জোয়ার বলা হয়।
৩. ভরা কটাল বা তেজ কটাল:
-
অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে তীব্র জোয়ার সৃষ্টি হয়। এই জোয়ারকে তেজ কটাল, ভরা কটাল বা ভরা জোয়ার বলা হয়।
৪. মরা কটাল:
-
চন্দ্র ও সূর্য যখন পৃথিবীর সাথে এক সমকোণে অবস্থান করে, তখন চন্দ্রের আকর্ষণে সেখানে জোয়ার হয় এবং সূর্যের আকর্ষণে সেখানে ভাটা হয়। এই ধরনের জোয়ারকে মরা কটাল বা মরা জোয়ার বলা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago