A
নাফ
B
কর্ণফুলী
C
নবগঙ্গা
D
ভাগীরথী
উত্তরের বিবরণ
• নাফ নদী (Naf River):
নাফ নদীর উৎস মিয়ানমারে। এটি বাংলাদেশের টেকনাফ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী সীমান্ত নির্দেশ করে এবং পরে বঙ্গোপসাগরে মিশে যায়। নদীটির মোহনা বেশ প্রশস্ত, আর এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬ কিলোমিটার।
• কর্ণফুলী নদী (Karnaphuli River):
এই নদী আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
• নবগঙ্গা নদী (Nabaganga River):
চুয়াডাঙ্গা শহরের কাছাকাছি মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নবগঙ্গার উৎপত্তি। ধারণা করা হয়, মাথাভাঙ্গা থেকে বেরিয়ে এটি ‘গঙ্গার নবরূপ’ হিসেবে পরিচিতি পায়, সেখান থেকেই নবগঙ্গা নামের উৎপত্তি।
• ভাগীরথী নদী (Bhagirathi River):
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রবাহিত এই নদী গঙ্গার প্রধান দুটি উৎসধারার একটি। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত।
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (নবম-দশম শ্রেণি), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন কোন নদীর উপনদী?
Created: 1 week ago
A
মহানন্দা
B
ভৈরব
C
কুমার
D
বড়াল
পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন মহানন্দার উপনদী
• মহানন্দা (Mahananda):
- হিমালয়ের পাদদেশে দার্জিলিং এর নিকটবর্তী মহালড্রীম পর্বত হতে মহানন্দা নদী উৎপত্তি হয়েছে।
- ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে। অত:পর ভারতের পূর্ণিয়া ও মালদহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাপাইনবাবগঞ্জের নিকট বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশ করে গোদাগাড়ির কাছে পদ্মার মিলিত হয়েছে।
- পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন এর উপনদী।
সূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনায় সম্মিলিত নদী অববাহিকার কত শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 months ago
A
৪
B
১৪
C
৭
D
৩৩

বাংলাদেশ হিমালয় থেকে উৎসরিত ৩টি বৃহৎ নদী:
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলল দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ।
- নদীগুলোর মধ্যে ৫৭টি হচ্ছে আন্তঃসীমান্ত নদী যার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন এবং ৩টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে অভিন্ন।
- আবহমানকাল ধরে নদীমাতৃক বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা আবর্তিত হচ্ছে এসকল নদীর পানিকে ঘিরে।
- এ তিনটি নদীর অববাহিকার মোট আয়তন প্রায় — ১.৭২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যার মাত্র — ৭ শতাংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এসকল নদীর অন্যান্য অববাহিকাভূক্ত দেশ হচ্ছে ভারত, নেপাল, ভূটান ও চীন।
উৎস: যৌথ নদী কমিশন ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে সারা বছর নাব্য নদীপথের দৈর্ঘ্য কত?
Created: 2 months ago
A
৮,০০০ কিমি.
B
৫,২০০ কিমি.
C
১১,০০০ কিমি.
D
৮,৫০০ কিমি.
বাংলাদেশের নদী ও জলপথ সম্পর্কিত নিচের তথ্যটি নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল বই এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) তথ্যের ভিত্তিতে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হলো:
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল পাঠ্যপুস্তক ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, উপনদী ও শাখানদীসহ দেশের নদীগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,১৫৫ কিলোমিটার।
এর মধ্যে প্রায় ৮,৪০০ কিলোমিটার নদীপথ অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ হিসেবে পরিচিত। এই নদীপথের প্রায় ৫,৪০০ কিলোমিটার সারা বছর নৌযান চলাচলের উপযোগী, আর বাকি ৩,০০০ কিলোমিটার কেবল বর্ষাকালে ব্যবহারযোগ্য থাকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) তথ্যমতে, দেশে প্রায় ২৪,০০০ কিলোমিটার নদী, খাল এবং উপনদী রয়েছে, যা দেশের মোট ভূমির প্রায় ৭% অংশ জুড়ে বিস্তৃত। বর্ষাকালে এসব জলপথ পূর্ণতা পায় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি বিস্তৃত নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এই নেটওয়ার্কে বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৫,৯৬৮ কিলোমিটার জলপথ যান্ত্রিক নৌযানের চলাচলের উপযোগী থাকলেও, শুষ্ক মৌসুমে তা কমে প্রায় ৩,৮৬৫ কিলোমিটারে দাঁড়ায়।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাত দেশের মোট পণ্য পরিবহনের প্রায় ৫০% এবং যাত্রী পরিবহনের এক-চতুর্থাংশ পরিচালনা করে। সব দিক বিবেচনায়, প্রায় ৫,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথকে কার্যকর অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচলের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হিসেবে ধরা যায়।
তথ্যসূত্র:
-
নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল পাঠ্যপুস্তক
-
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (এসএসসি প্রোগ্রাম)
-
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BIWTA)

0
Updated: 2 months ago