নিচের কোনটি একটি ভুল IPv4 ঠিকানা?
A
256.1.1.1
B
100.64.0.1
C
198.51.100.23
D
172.31.255.255
উত্তরের বিবরণ
IPv4 ঠিকানা ও বৈধতা
IPv4 ঠিকানা:
-
IPv4 হলো ৩২-বিটের সংখ্যা, যা সাধারণত চারটি অক্টেট (Octet) আকারে লেখা হয়, প্রতিটি ৮-বিটের।
-
প্রতিটি অক্টেটের মান হতে পারে 0–255।
-
উদাহরণ: 192.168.0.1
ভুল ঠিকানা:
-
“256.1.1.1” অবৈধ, কারণ প্রথম অক্টেট 256, যা 0–255 সীমার বাইরে।
-
অন্যান্য ঠিকানা যেমন 100.64.0.1, 198.51.100.23, 172.31.255.255 বৈধ।
আইপি অ্যাড্রেসের ধরন:
-
ডটেড ডেসিমেল নোটেশন: 192.168.15.5
-
হেক্সাডেসিম্যাল নোটেশন: CO.A8.0F.05
-
বাইনারি নোটেশন: 11000000.10101000.00001111.00000101
IPv4 vs IPv6:
-
IPv4: ৩২ বিট, চারটি অক্টেট।
-
IPv6: ১২৮ বিট, ২¹²⁸ ডিভাইস সনাক্ত করতে সক্ষম।
উত্তর: ক) 256.1.1.1
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
হার্ড ডিস্ক কোন ধরনের স্টোরেজ মিডিয়াম?
Created: 2 weeks ago
A
অপটিক্যাল
B
ইলেকট্রিক
C
লেজার
D
ম্যাগনেটিক
সঠিক উত্তর: ঘ) ম্যাগনেটিক
হার্ড ডিস্ক (Hard Disk):
হার্ড ডিস্ক হলো একটি ম্যাগনেটিক স্টোরেজ মিডিয়াম, যা কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণ (data storage) এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম বা কাচের সমতল, গোলাকার প্লেট (platter) দিয়ে তৈরি, যার উপর চৌম্বকীয় পদার্থের (magnetic material) প্রলেপ দেওয়া থাকে। এই ডিস্কগুলিতে ডেটা সংরক্ষণ ও পড়া হয় চৌম্বকীয় নীতির মাধ্যমে।
গঠন ও কার্যপ্রণালি:
-
হার্ড ডিস্কে একাধিক চৌম্বকীয় প্ল্যাটার (magnetic platter) থাকে, যেগুলো একটি কেন্দ্রীয় অক্ষের (spindle) চারপাশে উচ্চ গতিতে ঘোরে।
-
প্রতিটি ডিস্কের তথ্য পড়া ও লেখার জন্য থাকে একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রিড/রাইট হেড, যা ডিস্কের পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি অবস্থান করে।
-
রিড/রাইট হেড ডিস্কের ক্ষুদ্র স্থানগুলোকে চৌম্বকায়িত (magnetize) করে বাইনারি ডিজিট (০ ও ১) আকারে তথ্য সংরক্ষণ করে, এবং বিপরীতভাবে সেই চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক শনাক্ত করে তথ্য পড়ে।
-
হার্ড ডিস্কের অভ্যন্তরে থাকে—
-
একাধিক ডিস্ক প্ল্যাটার,
-
রিড/রাইট হেড,
-
ডিস্ক ঘোরানোর মোটর,
-
এবং নিয়ন্ত্রণ সার্কিট, যা সবকিছু একটি ধুলাবদ্ধ ধাতব আবরণে (sealed metal casing) রাখা হয়।
-
কার্যপ্রণালির বৈশিষ্ট্য:
-
ডিস্কের ওপর তথ্য খুব ঘনভাবে বৃত্তাকার ট্র্যাকে (tracks) সংরক্ষিত থাকে।
-
প্রতিটি ট্র্যাক সঠিকভাবে পড়া ও লেখার জন্য হেডের অবস্থান মাইক্রোপ্রসেসর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
হার্ড ডিস্কে RAM ব্যবহৃত হয় তথ্য স্থানান্তরকে দ্রুততর করতে।
-
পুরো সিস্টেমটি বায়ুরোধী (airtight)ভাবে তৈরি, যাতে রিড/রাইট হেড ডিস্কের পৃষ্ঠের খুব কাছ দিয়ে নিরাপদে চলতে পারে।
আধুনিক বিকল্প:
বর্তমানে অনেক কম্পিউটার ও ল্যাপটপে Solid-State Drive (SSD) ব্যবহৃত হয়, যা তথ্য সংরক্ষণের জন্য ফ্ল্যাশ মেমরি চিপ (Flash Memory Chip) ব্যবহার করে। SSD তে কোনো চলমান অংশ নেই, তাই এটি দ্রুত, নীরব এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
সারসংক্ষেপ:
হার্ড ডিস্ক একটি চৌম্বকীয় (Magnetic) স্টোরেজ ডিভাইস, যা বহু বছর ধরে কম্পিউটারের প্রধান তথ্য সংরক্ষণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি তথ্য সংরক্ষণে নির্ভরযোগ্য হলেও আধুনিক প্রযুক্তিতে ধীরে ধীরে SSD তার স্থান নিচ্ছে।
0
Updated: 2 weeks ago
হাফ-ডুপ্লেক্স মোডের একটি উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ওয়াকিটকি
B
রেডিও
C
মোবাইল ফোন
D
টিভি
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা প্রেরণের সময় ডাটা প্রবাহের দিক বিবেচনা করা হয়। এটি মূলত তিন প্রকারে বিভক্ত।
-
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড:
-
উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা প্রেরণের সময় ডাটা প্রবাহের দিক অনুযায়ী যে পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, তাকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়।
-
ডাটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
-
-
সিমপ্লেক্স (Simplex):
-
শুধুমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণ হয়।
-
গ্রাহক যন্ত্র কখনোই প্রেরক যন্ত্রে ডাটা পাঠাতে পারে না।
-
উদাহরণ: রেডিও, টিভি, কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ।
-
-
হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex):
-
যে কোনো প্রান্ত ডাটা গ্রহণ বা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু একই সময়ে উভয় করতে পারে না।
-
উদাহরণ: ওয়াকিটকি, যেখানে A যখন ডাটা প্রেরণ করছে, B তখন ডাটা গ্রহণ করতে পারে কিন্তু প্রেরণ করতে পারে না।
-
-
ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex):
-
একই সময়ে উভয় দিক থেকে ডাটা প্রেরণ এবং গ্রহণ সম্ভব।
-
উদাহরণ: টেলিফোন, মোবাইল ফোন, যেখানে ডাটা প্রেরণ ও গ্রহণ একসাথে হয়।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
SQL এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 month ago
A
Simple Query Language
B
Structured Data Language
C
Structured Query Language
D
Standard Query Language
SQL (Structured Query Language) হলো একটি মানসম্মত ডেটাবেজ ভাষা, যা রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (RDBMS) ডেটা সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার এবং পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
SQL এর বৈশিষ্ট্য:
-
এটি ডেটাবেজের ডেটা নিয়ে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
-
অতীতে কেবল মেইনফ্রেম কম্পিউটারে ব্যবহৃত হতো, বর্তমানে ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ সকল রিলেশনাল ডাটাবেজ প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা হয়।
-
SQL ব্যবহার করে ডেটাবেজে ডেটাবেজ তৈরি, সারণি (table) তৈরি, ডেটা ইনসার্ট, আপডেট, ডিলিট এবং কুয়েরি (query) করা যায়।
-
এটি ডেটাবেজের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
-
প্রায় সব ধরনের রিলেশনাল ডেটাবেজে ব্যবহৃত হয়, যেমন Oracle, MySQL, SQL Server, PostgreSQL।
-
SQL তৈরি হয় ১৯৭৪ সালে IBM-এর (International Business Machines) Research Center-এ।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago