ক্লাউড কম্পিউটিং-এর প্রধান সুবিধা কোনটি?
A
অন-ডিমান্ড কম্পিউটিং রিসোর্স সরবরাহ করে
B
বেশি খরচের হার্ডওয়্যার দরকার
C
কেবলমাত্র স্থানীয় সার্ভারেই চলে
D
ইন্টারনেট নির্ভরতা হ্রাস করে
উত্তরের বিবরণ
ক্লাউড কম্পিউটিং
সংজ্ঞা:
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি কম্পিউটিং মডেল যেখানে ব্যবহারকারী তার নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা প্রদানকারীর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ, প্রসেসিং এবং অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে।
ক্লাউড শব্দের উৎস:
-
"ক্লাউড" অর্থ মেঘ, যা ইন্টারনেটের রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন আকাশে মেঘ ছড়িয়ে থাকে, তেমনি ইন্টারনেটও সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৯৬০-এর দশকে ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার সূচনা।
-
২০০৬ সালে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার শুরু করে।
-
২০১০ সালে Rackspace Cloud ও NASA মুক্ত API চালু করে।
মূল সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য (NIST অনুযায়ী):
১. রিসোর্স স্কেলেবিলিটি (Resource Scalability):
-
ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী ছোট বা বড় রিসোর্স সরবরাহ।
-
ব্যবহারকারীর চাহিদা বাড়লে সেবা প্রদানকারীর সেবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।
২. অন-ডিমান্ড (On-Demand):
-
ব্যবহারকারী যখন খুশি সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
-
চাহিদা বাড়ানো বা কমানো সহজ।
৩. পে-অ্যাজ-ইউ-গো (Pay-as-You-Go):
-
ব্যবহারকারী কেবলমাত্র যে পরিমাণ সেবা ব্যবহার করবে, তার জন্য অর্থ প্রদান করবে।
-
আগাম রিজার্ভ বা পেমেন্টের প্রয়োজন নেই।
উপসংহার:
ক্লাউড কম্পিউটিং অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে একটি বিপ্লব, যা ব্যবহারকারীদের কম খরচে, সহজে এবং দক্ষভাবে কম্পিউটিং সুবিধা প্রদান করে।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন মডেলটি Cloud Computing সেবা প্রদানকারীগণ ব্যবহার করে না?
Created: 1 month ago
A
CaaS
B
laaS
C
PaaS
D
SaaS
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাগুলোকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি ভাগ নির্দিষ্ট ধরনের সুবিধা প্রদান করে। এগুলো হলো–
-
Infrastructure-as-a-Service (IaaS): এই ধরনের সেবায় ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, CPU, স্টোরেজ এবং অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দিয়ে থাকে। ব্যবহারকারীরা চাইলে এগুলো দিয়ে নিজেদের সিস্টেম তৈরি ও পরিচালনা করতে পারেন। যেমন: Amazon Elastic Compute Cloud (EC2)।
-
Platform-as-a-Service (PaaS): এখানে সরাসরি ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া দেওয়া হয় না, বরং ভাড়া দেওয়া হয় এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার উপর ব্যবহারকারীরা সহজেই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও ডেভেলপ করতে পারেন। যেমন: Google App Engine।
-
Software-as-a-Service (SaaS): এটি এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি ক্লাউডে চলমান রেডিমেড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন, আলাদা করে ইন্সটল বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না। যেমন: Google Docs।
অতিরিক্ত তথ্য: অনেক সময় ভুলভাবে CaaS বা অন্য কিছু শব্দ ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলো ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
0
Updated: 1 month ago
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সার্ভিস মডেল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অবকাঠামোগত
B
প্লাটফর্মভিত্তিক
C
সফটওয়্যার
D
উপরের সবগুলাে
ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস মডেল
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাগুলো মূলত ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী তিনটি প্রধান মডেলে প্রদান করা হয়। এগুলো হলো:
-
অবকাঠামোগত সেবা (Infrastructure as a Service – IaaS)
ব্যবহারকারী যদি নিজের অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার চালাতে চায়, তাহলে ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, প্রসেসর (CPU) ও অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স সরবরাহ করে। ব্যবহারকারী এগুলো ভাড়া নিয়ে নিজের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। -
প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা (Platform as a Service – PaaS)
এই মডেলে ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেস এবং প্রোগ্রাম চালানোর পরিবেশ (execution environment) সরবরাহ করে। সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডেভেলপাররা তাদের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশনগুলো এই প্ল্যাটফর্মে সহজে চালাতে ও পরীক্ষা করতে পারে। -
সফটওয়্যার সেবা (Software/Application as a Service – SaaS)
এখানে ব্যবহারকারীরা ক্লাউড প্রদানকারীর তৈরি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। তাদের নিজস্ব কোন ইনস্টলেশন বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 3 weeks ago
A
On-demand self-service
B
Broad network access
C
Limited customization
D
Physical ownership of servers
ক্লাউড কম্পিউটিং হল এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে ব্যবহারকারীরা কম্পিউটার রিসোর্স যেমন হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, এবং নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহার করে ইন্টারনেট বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সার্ভিস বা সেবা গ্রহণ করতে পারে।
এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা সার্ভারের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেয় এবং বড় পরিসরে কার্যকর সমাধান প্রদান করে।
-
ক্লাউড কম্পিউটিং ২০০৬ সালে বিশ্ববিখ্যাত Amazon Web Services (AWS) বাণিজ্যিকভাবে চালু করে।
-
ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
On-demand self-service: ব্যবহারকারী প্রয়োজনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে।
-
Broad network access: যে কোনো জায়গা থেকে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা অ্যাক্সেস করা যায়।
-
Limited customization: কিছুটা সীমিত কাস্টমাইজেশনের সুযোগ থাকে।
-
Resource pooling: সার্ভারের রিসোর্সগুলো একত্রিত করে একাধিক ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করা যায়।
-
Rapid elasticity: প্রয়োজন অনুযায়ী রিসোর্স দ্রুত বৃদ্ধি বা হ্রাস করা যায়।
-
Measured service: ব্যবহার অনুযায়ী সার্ভিসের পরিমাণ এবং খরচ মাপা হয়।
-
-
ক্লাউড কম্পিউটিং-এ ‘Physical ownership of servers’ বৈশিষ্ট্য দেখা যায় না, অর্থাৎ ব্যবহারকারী সরাসরি সার্ভারের মালিক হয় না।
0
Updated: 3 weeks ago