A
বায়ু দূষণ
B
দুর্ভিক্ষ
C
মহামারী
D
কালবৈশাখী
উত্তরের বিবরণ
কালবৈশাখী মানবসৃষ্ট আপদ নয়।
আপদ (Hazard)- আপদ হল এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা যা মানুষের জীবনে বা জীবিকায় ক্ষতি করতে পারে। এটি ঘটতে পারে প্রাকৃতিক কারণ, মানুষের কার্যক্রম বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। আপদের ফলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপদের মধ্যে ফেলে। প্রাথমিক প্রভাব সাধারণত অবকাঠামোতে পড়ে, যার পুনঃনির্মাণ ব্যয়বহুল হয়।
প্রকারভেদ:
-
প্রাকৃতিক আপদ: ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, বজ্রঝড়, সুনামি, খরা, নদী ভাঙ্গন, কালবৈশাখী ইত্যাদি।
-
মানবসৃষ্ট আপদ: ভবন ধ্বস, সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড, বায়ু দূষণ, দুর্ভিক্ষ, মহামারী ইত্যাদি।
-
কারিগরি আপদ: বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে অগ্নিকান্ড, কলকারখানা বা শিল্প দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
উল্লেখ: কালবৈশাখী প্রাকৃতিক আপদের মধ্যে পড়ে, এটি কোনো মানবসৃষ্ট সমস্যা নয়।
উৎস: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২।

0
Updated: 1 day ago
’শুভলং’ ঝরনা কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
রাঙামাটি
B
বান্দরবান
C
মৌলভীবাজার
D
সিলেট
শুভলং ঝর্ণা, রাঙামাটি
শুভলং ঝর্ণা বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙামাটি শহর থেকে ঝর্ণাটি মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে।
-
শুকনো মৌসুমে ঝর্ণায় খুব সামান্য পানি থাকে।
-
বর্ষা মৌসুমে ঝর্ণার জল প্রায় ৩০০ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে এবং কাপ্তাই হ্রদের জলে মিশে যায়।
রাঙামাটিতে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
-
কাপ্তাই হ্রদ
-
চাকমা রাজবাড়ি
-
রাজবন বৌদ্ধ বিহার
-
পর্যটকপ্রিয় ঝুলন্ত সেতু
-
ফুরামোন পর্বত
-
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও জাদুঘর
-
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য
উৎস: বাংলাপিডিয়া

1
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের কোন অঞ্চল বেশি খরাপ্রবণ?
Created: 1 week ago
A
উত্তর-পূর্ব অঞ্চল
B
উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল
C
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল
D
দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল: খরাপ্রবণতা
খরা হলো এমন একটি পরিস্থিতি যখন কোনো অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয় না। এই অবস্থায় মাটির আর্দ্রতা কমে যায়, মাটি শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়, এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে যায়। সহজভাবে বলতে গেলে, বৃষ্টিহীন বা কম বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি ও পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যাওয়াই খরা।
বাংলাদেশে খরাপ্রবণ অঞ্চল:
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল বিশেষভাবে খরার জন্য পরিচিত। বিগত অর্ধশতকের মধ্যে ১৯৭৩, ১৯৭৫, ১৯৭৮, ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৪, ১৯৯৫ এবং ২০১৬ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র খরার ঘটনা ঘটেছে।
খরার মাত্রা অনুযায়ী অঞ্চল:
-
অতি তীব্র: রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ
-
তীব্র: দিনাজপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর এবং টাঙ্গাইলের কিছু অংশ
-
মাঝারি: রংপুর, বরিশাল এবং দিনাজপুর, কুষ্টিয়া ও যশোরের কিছু অংশ
-
সামান্য: তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা পললভূমি এলাকা
খরার প্রধান কারণ:
১. নির্ধারিত সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া
২. পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা
৩. বনভূমি উজাড় করা
৪. নদীর উজানে অব্যবস্থাপনার কারণে বাঁধ নির্মাণ
৫. এল নিনো এবং লা নিনোর প্রভাব
উৎস:ভূগোল ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যার রেকর্ড অনুযায়ী (১৯৭১-২০০৭) কোন সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়?
Created: 1 day ago
A
১৯৭৪
B
১৯৮৮
C
১৯৯৮
D
২০০৭
বাংলাদেশে বন্যা একটি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণত নদীর পানি যখন তাদের তীর অতিক্রম করে আশেপাশের গ্রাম, শহর বা ফসলি জমি প্লাবিত করে, তখন তাকে বন্যা বলা হয়। প্রতি বছর দেশের অনেক অঞ্চল বিভিন্ন মাত্রায় বন্যার মুখোমুখি হয়।
বন্যার ধরণ:
ধরণ ও প্রকৃতি অনুযায়ী বন্যাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
মৌসুমী বন্যা
-
আকস্মিক বন্যা
-
উপকূলীয় বন্যা
-
নগর বন্যা
মৌসুমী বন্যা:
বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে বন্যা হয়, সেটিকে মৌসুমী বন্যা বলা হয়। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে এই ধরনের বন্যা সবসময় ক্ষতিকর হয় না। কখনো কখনো এটি ফসলের জন্য ইতিবাচক প্রভাবও ফেলে। তবে মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বন্যা ও তাদের পরিসংখ্যান:
-
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলা বন্যা ঘটেছিলো: ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে।
-
১৯৮৮ সালে নদীর পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে এবং ১৯৯৮ সালে ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়।
-
গঙ্গা (পদ্মা) নদীতে ১৯৮৮ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ৯৪ সেন্টিমিটার উপরে পৌঁছায়।
-
মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার পয়েন্টে ১৯৮৮ সালে পানি বিপদসীমার ১৮১ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ১০৮ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
-
১৯৮৮ সালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি একসাথে বৃদ্ধি পায়।
-
বন্যার আয়তন: ১৯৮৮ সালে দেশের ৬১% এলাকা ও ১৯৯৮ সালে ৬৮% এলাকা প্লাবিত হয়।
এই তথ্য অনুযায়ী বলা যায়, ১৯৯৮ সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
সূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago