A
আইসোথার্ম
B
আইসোবার
C
আইসোহাইট
D
আইসোহেলাইন
উত্তরের বিবরণ
সমরেখ পদ্ধতি (Isopleth Method)
মানচিত্রে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের একই পরিমাণগত মান বা ঘনত্ব নির্দেশ করতে যে রেখা টানা হয়, তাকে সমমান রেখা (Isopleth line) বলা হয়। এ ধরনের রেখা নির্দিষ্ট মানের ওপর দিয়ে টানা হয় এবং সাধারণত প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু ইত্যাদি প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm): ভূপৃষ্ঠের এমন স্থানগুলোর সংযোগ যেখানে তাপমাত্রা সমান।
-
সমচাপ রেখা (Isobar): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানগুলোকে যুক্ত করা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলোকে সংযুক্ত করা রেখা।
-
সমোচ্চ রেখা (Contour): সমান উচ্চতার স্থানগুলোকে সংযুক্ত করা রেখা।
বিশেষ তথ্য
-
এই সমস্ত রেখা কল্পনাপ্রসূত, মানচিত্রে প্রদর্শনের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয়।
উৎস: ব্যবহারিক ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি আপদ (Hazard)-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব?
Created: 2 weeks ago
A
অর্থনৈতিক
B
সামাজিক
C
পরিবেশগত
D
অবকাঠামোগত
আপদ (Hazard)-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব- অবকাঠামোগত।
আপদ (Hazard) ও এর প্রকারভেদ
আপদ (Hazard) হলো এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা যা প্রাকৃতিক নিয়ম, কারিগরি ত্রুটি বা মানুষের ক্রিয়াকলাপের কারণে ঘটে এবং যার প্রভাব মানুষের জীবন, জীবিকা এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর পড়ে। এ ধরনের ঘটনা মানুষের জন্য বিপদ এবং অগত্যা দুঃখ-দুর্দশা সৃষ্টি করে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ অনুযায়ী:
“আপদ (Hazard) অর্থ এমন কোন অস্বাভাবিক ঘটনা যাহা প্রাকৃতিক নিয়মে, কারিগরি ত্রুটির কারণে অথবা মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হইয়া থাকে এবং ফলস্বরূপ বিপর্যয় সংঘটনের মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপদ ও হুমকির মধ্যে নিপতিত করে এবং জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের ভয়াবহ ও অপূরণীয় ক্ষতিসহ দুঃখ দুর্দশার সৃষ্টি করে।”
আপদের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।
-
প্রাকৃতিক, মানবসৃষ্ট বা কারিগরি কারণে ঘটতে পারে।
-
মানুষের জীবন ও জীবিকার ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
-
এর ফলে বিপর্যয় সংঘটিত হয়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বিপদে ফেলে।
-
দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প বা বন্যার প্রাথমিক প্রভাব প্রায়শই অবকাঠামোর উপর পড়ে, এবং পুনঃনির্মাণে বড় খরচ হয়।
-
সব চরম ঘটনা আপদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রধান দিক:
“আপদ হল দুর্যোগ নয়, বরং দুর্যোগের সম্ভাব্য কারণ।”
আপদের ধরন
-
প্রাকৃতিক আপদ:
-
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বজ্রঝড়, টর্নেডো, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, খরা, নদী ভাঙন ইত্যাদি।
-
-
মানবসৃষ্ট আপদ:
-
ভবন ধ্বস, নৌ ও সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড ইত্যাদি।
-
-
কারিগরি আপদ:
-
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ড, শিল্প ও কলকারখানায় দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
-
উৎস: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২

0
Updated: 2 weeks ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কাজকে পর্যায়ক্রম অনুযায়ী সাজাতে হলে কোন কাজটি সর্বপ্রথমে হবে?
Created: 2 weeks ago
A
পুনর্বাসন
B
ঝুঁকি (Risk) চিহ্নিতকরণ
C
দুর্যোগ প্রস্তুতি
D
দুর্যোগ প্রশমন কর্মকাণ্ড
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ঝুঁকি ও দুর্যোগ:
ঝুঁকি বলতে আমরা বুঝি কোনো আপদ বা বিপদের সম্ভাবনা, যা পরিবেশের সঙ্গে মানুষের বা সম্পদের পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে ক্ষতি করতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে প্রথম কাজ হলো এই ঝুঁকি চিহ্নিত করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য:
-
দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো।
-
সম্পদ ও পরিবেশে ক্ষতি এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ কমানো।
-
প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
-
দুর্যোগের পর পুনরুদ্ধার কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (NPDM) ২০২১–২০২৫
-
বাংলাদেশ দ্বীপ পরিকল্পনা, ২১০০
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণির ভূগোল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের নিম্নলিখিত জেলাসমূহের মধ্যে কোন জেলায় নিচু ভূমির (Low land) পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 week ago
A
হবিগঞ্জ
B
গোপালগঞ্জ
C
কিশোরগঞ্জ
D
মুন্সীগঞ্জ
নিচু ভূমি বলতে আমরা সাধারণত হাওর, বাওর, বিল ও খালের এলাকায় বিস্তৃত সমতল ও পানিবদ্ধ এলাকা বুঝি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওরভূমি এবং বিলাঞ্চল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করে,
বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি প্রাকৃতিকভাবে সমতল ও পানিবদ্ধ, তাই কিশোরগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি নিচু ভূমি রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
অবস্থান: ২৪°০২' থেকে ২৪°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ, উত্তরে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ, দক্ষিণে নরসিংদী, পূর্বে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, পশ্চিমে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ।
-
নদ-নদী: নরসুন্দা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, কালনী, সুতী, ঘোড়াউত্রা, ধনু, বৌলাই, আড়িয়ালখাঁ প্রভৃতি।
-
অর্থনীতি: হাওরের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে মাছ ধরার জন্য।
-
জলবায়ু: গড় তাপমাত্রা ২৪.৭°C, গ্রীষ্মকালে বেশি বৃষ্টিপাত, বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২২৫০ মিমি।
-
প্রশাসন: ১৮৬০ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে রূপান্তরিত।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago