A
১ : ১০,০০০
B
১ : ১০০,০০০
C
১ : ১০০০,০০০
D
১ : ২৫০০,০০০
উত্তরের বিবরণ
মানচিত্রকে এর স্কেলের ওপর ভিত্তি করে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়—
ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র
-
যখন বড় এলাকা যেমন একটি দেশ, মহাদেশ বা পুরো পৃথিবীকে ছোট কাগজে প্রদর্শন করা হয়, তখন তাকে ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র বলা হয়।
-
এ ধরনের মানচিত্রে স্থানগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট দেখানো হয়।
-
উদাহরণ: ভূ-চিত্রাবলি, দেওয়াল মানচিত্র।
-
স্কেল উদাহরণ: ১:১০,০০০।
বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র
-
যখন ছোট এলাকা, যেমন একটি মৌজা বা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানচিত্রকে বড় আকারে দেখানো হয়, তখন তাকে বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র বলা হয়।
-
এই মানচিত্রে বিস্তারিত তথ্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
-
উদাহরণ: মৌজা মানচিত্র, ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র, ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র।
-
স্কেল উদাহরণ: ১"=১৬ মাইল; ১৬"=১ মাইল; ১:১০,০০০।
প্রাকৃতিক মানচিত্র (Physical Map)
-
এই ধরনের মানচিত্রে কোনো দেশ বা অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভূমিরূপ যেমন: পর্বত, মালভূমি, নদী, হ্রদ ইত্যাদি দেখানো হয়।
-
সাধারণত এটি বৃহৎ স্কেলে অঙ্কিত হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের নিম্নলিখিত জেলাসমূহের মধ্যে কোন জেলায় নিচু ভূমির (Low land) পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 week ago
A
হবিগঞ্জ
B
গোপালগঞ্জ
C
কিশোরগঞ্জ
D
মুন্সীগঞ্জ
নিচু ভূমি বলতে আমরা সাধারণত হাওর, বাওর, বিল ও খালের এলাকায় বিস্তৃত সমতল ও পানিবদ্ধ এলাকা বুঝি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওরভূমি এবং বিলাঞ্চল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করে,
বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি প্রাকৃতিকভাবে সমতল ও পানিবদ্ধ, তাই কিশোরগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি নিচু ভূমি রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
অবস্থান: ২৪°০২' থেকে ২৪°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ, উত্তরে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ, দক্ষিণে নরসিংদী, পূর্বে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, পশ্চিমে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ।
-
নদ-নদী: নরসুন্দা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, কালনী, সুতী, ঘোড়াউত্রা, ধনু, বৌলাই, আড়িয়ালখাঁ প্রভৃতি।
-
অর্থনীতি: হাওরের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে মাছ ধরার জন্য।
-
জলবায়ু: গড় তাপমাত্রা ২৪.৭°C, গ্রীষ্মকালে বেশি বৃষ্টিপাত, বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২২৫০ মিমি।
-
প্রশাসন: ১৮৬০ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে রূপান্তরিত।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন ভৌগোলিক এলাকাটি 'রামসার সাইট' হিসেবে স্বীকৃত?
Created: 5 days ago
A
রামসাগর
B
বগা লেইক (Lake)
C
টাঙ্গুয়ার হাওর
D
কাপ্তাই হ্রদ
রামসার কনভেনশন
-
রামসার কনভেনশন (Ramsar Convention) হলো জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্বের দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগ।
-
এটিই পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে গৃহীত প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে বিভিন্ন দেশ একত্র হয়ে Convention on Wetlands নামে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
-
চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫ সালে।
-
বর্তমানে এর সদস্য দেশের সংখ্যা ১৭২টি।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
-
বাংলাদেশ ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সালে রামসার কনভেনশনের সদস্য হয়।
-
দেশে মোট ২টি স্থান রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত:
১. সুন্দরবন
২. টাঙ্গুয়ার হাওর
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি মানবসৃষ্ট আপদ (hazard) নয়?
Created: 1 day ago
A
বায়ু দূষণ
B
দুর্ভিক্ষ
C
মহামারী
D
কালবৈশাখী
কালবৈশাখী মানবসৃষ্ট আপদ নয়।
আপদ (Hazard)- আপদ হল এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা যা মানুষের জীবনে বা জীবিকায় ক্ষতি করতে পারে। এটি ঘটতে পারে প্রাকৃতিক কারণ, মানুষের কার্যক্রম বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। আপদের ফলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপদের মধ্যে ফেলে। প্রাথমিক প্রভাব সাধারণত অবকাঠামোতে পড়ে, যার পুনঃনির্মাণ ব্যয়বহুল হয়।
প্রকারভেদ:
-
প্রাকৃতিক আপদ: ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, বজ্রঝড়, সুনামি, খরা, নদী ভাঙ্গন, কালবৈশাখী ইত্যাদি।
-
মানবসৃষ্ট আপদ: ভবন ধ্বস, সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড, বায়ু দূষণ, দুর্ভিক্ষ, মহামারী ইত্যাদি।
-
কারিগরি আপদ: বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে অগ্নিকান্ড, কলকারখানা বা শিল্প দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
উল্লেখ: কালবৈশাখী প্রাকৃতিক আপদের মধ্যে পড়ে, এটি কোনো মানবসৃষ্ট সমস্যা নয়।
উৎস: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২।

0
Updated: 1 day ago