A
মার্বেল
B
কয়লা
C
গ্রানাইট
D
নিস
উত্তরের বিবরণ
পাললিক শিলা (Sedimentary Rock)
-
‘পাললিক শিলা’ শব্দটি এসেছে ‘পলি’ বা ‘পলল’ থেকে।
-
এটি একটি প্রাকৃতিক শিলার ধরন, যা ছোট ছোট কণা বা কণা সমষ্টি জমে জমে এবং পরে সমুদ্র, হ্রদ বা নদীর তলে খনিজ বা জৈব পদার্থের সিমেন্টেশন (সংযোগ) দ্বারা গঠিত হয়।
-
উদাহরণ: কংগ্লোমারেট, ব্রেকসিয়া, গ্রেওয়েক, বেলেপাথর, কাদাপাথর, কোয়ার্টজ, ডলোমাইট, ক্যালসাইট, জিপসাম, কয়লা, চুনাপাথর ইত্যাদি।
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য
-
স্তরায়ন দেখা যায় এবং কাদার খাওয়া দাগ লক্ষ্য করা যায়।
-
একমাত্র এই শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
-
সচ্ছিদ্রতা (Porosity) এবং ভঙ্গুরতা (Brittleness) বেশি।
-
জল প্রবেশের ক্ষমতা (Permeability) বেশি।
-
ক্ষয় প্রতিরোধের ক্ষমতা বিভিন্ন রকম।
-
কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস।
-
কাঠিন্য (Hardness) তুলনামূলকভাবে কম।
-
দারণ বা ফাটল সাধারণত থাকে না।
অন্য শিলার তুলনা
-
আগ্নেয় শিলা: উদাহরণ – গ্রানাইট।
-
রূপান্তরিত শিলা: উদাহরণ – মার্বেল।
-
আগ্নেয় শিলা প্রচন্ড তাপ ও চাপে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলা গঠন করে। যেমন: গ্রানাইট থেকে নিস (Gneiss) তৈরি হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এস এস সি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে কালবৈশাখির ঝড় কখন হয়?
Created: 2 weeks ago
A
মৌসুমী বায়ু ঋতুতে
B
শীতকালে
C
মৌসুমী বায়ু ঋতুর পরবর্তী সময়ে
D
প্রাক-মৌসুমী বায়ু ঋতুতে
কালবৈশাখী ঝড় ও প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল
বাংলাদেশের ঋতু ভিত্তিক চারটি ভাগ:
বাংলাদেশের আবহাওয়া মূলত বায়ু প্রবাহ, তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে চারটি ঋতুতে বিভক্ত:
-
শুষ্ক শীতকাল
-
প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল
-
গ্রীষ্মকালীন বর্ষাকাল
-
শরৎকাল
কালবৈশাখী ঝড় কখন হয়?
-
কালবৈশাখী ঝড় মূলত প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল (এপ্রিল-মে, বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ) মাসে হয়।
-
বৈশাখ মাসে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
কালবৈশাখী ঝড়ের বৈশিষ্ট্য:
-
এটি বাংলাদেশের একটি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
-
ঝড়ের গতিবেগ সাধারণত ৫৫–৮০ কিমি/ঘণ্টা হয়।
-
সংঘটনের কারণ: উত্তর-পশ্চিম থেকে আসা শীতল ও শুষ্ক বায়ু এবং দক্ষিণ-পূর্ব থেকে আসা উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু একত্রিত হলে ঝড় তৈরি হয়।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (সপ্তম শ্রেণী)

0
Updated: 2 weeks ago
২০০৪ সালের ভয়ংকর সুনামি ঢেউয়ের গতি ছিল ঘণ্টায় -
Created: 1 week ago
A
১০০-২০০ কি.মি
B
৩০০-৪০০ কি.মি
C
৭০০-৮০০ কি.মি
D
৯০০-১০০০ কি.মি
২০০৪ সালের ভয়ংকর সুনামি
-
২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী ১৪টি দেশে ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সুনামি আঘাত হানে।
-
সুনামির উৎপত্তি হয় ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুমাত্রার ১০০ মাইল পশ্চিমে সমুদ্রের প্রায় ১৯ মাইল নিচে, যেখানে ৯.৩ মাত্রার এক ভূমিকম্প ঘটে।
-
এই ভূমিকম্প ৮–১০ মিনিট ধরে স্থায়ী হয় এবং শক্তিতে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় ২৩,০০০ গুণ বেশি ছিল।
-
সুনামির ঢেউ ঘণ্টায় ৭০০–৮০০ কিলোমিটার গতি ছাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে।
-
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে সুদূর আফ্রিকার কিছু উপকূল পর্যন্ত এই ভয়ংকর সুনামি আঘাত হানে, কিছু স্থানে ঢেউ প্রায় ১০০ ফুট উঁচু হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে।
উৎস: Britannica

1
Updated: 1 week ago
'ডলোরাইট' কোন ধরনের শিলা?
Created: 22 hours ago
A
বহিঃজ আগ্নেয় শিলা
B
অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা
C
রূপান্তরিত শিলা
D
পাললিক শিলা
১. আগ্নেয় শিলা:
-
গলিত ম্যাগমা ঘনীভূত হয়ে তৈরি।
-
বহিঃজ আগ্নেয় শিলা: ভূপৃষ্ঠে শীতল হয়ে সৃষ্টি; সূক্ষ্ম দানা, গাঢ় রং। উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট।
-
অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা: ভূগর্ভে জমাট বাঁধা; স্থূল দানা, হালকা রং। উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট।
২. পাললিক শিলা:
-
পলি সঞ্চিত হয়ে গঠিত। উদাহরণ: চুনাপাথর, বেলেপাথর, কয়লা, শেল, কাদাপাথর।
৩. রূপান্তরিত শিলা:
-
আগ্নেয় বা পাললিক শিলা চাপ, উত্তাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়।
-
উদাহরণ: চুনাপাথর → মার্বেল, বেলেপাথর → কোয়ার্টজাইট, কাদা/শেল → স্লেট, গ্রানাইট → নিস, কয়লা → গ্রাফাইট।

0
Updated: 22 hours ago