A
নির্মাণ খাত
B
কৃষি খাত
C
সেবা খাত
D
শিল্প কারখানা খাত
উত্তরের বিবরণ
খাতভিত্তিক কর্মসংস্থান (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর অবদান ও কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিম্নরূপ:
কৃষি খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ১১.০২%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৩.২১%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ৪৫%
শিল্প খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ৩৭.৯৫%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৬.৬৬%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ১৭%
সেবা খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ৫১.০৪%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮০%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ৩৮%
বিশ্লেষণ
-
কর্মসংস্থানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় খাত হলো কৃষি, কারণ এখানে জনশক্তির প্রায় অর্ধেক নিয়োজিত।
-
অর্থনৈতিক অবদানে সবচেয়ে বড় খাত হলো সেবা খাত, যা দেশের মোট জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অংশ রাখে।
-
শিল্প খাত তুলনামূলকভাবে ছোট খাত হিসেবে জনশক্তি নিয়োগে হলেও, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কী ধরণের বনভূমি?
Created: 1 day ago
A
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ , আধা-চিরহরিৎ জাতীয়
B
ক্রান্তীয় আর্দ্র পত্র পতনশীল জাতীয়
C
পত্র পতনশীল জাতীয়
D
ম্যানগ্রোভ জাতীয়
বাংলাদেশের বনভূমি
-
কোনো দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মোট জমির প্রায় ২৫% বনভূমি থাকা প্রয়োজন।
-
বাংলাদেশের বনভূমিকে মাটি ও জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়:
১. ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বন
২. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পাতাঝরা মিশ্র বন
৩. স্রোতজ বন বা সুন্দরবন
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পাতাঝরা মিশ্র বন
-
পাহাড়ি ও বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় চিরহরিৎ বন এবং কম বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে পাতাঝরা বন দেখা যায়।
-
বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, এছাড়াও চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু অংশে এই বনপ্রকার বিস্তৃত।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
-
অবস্থান: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯২৫ সালে বনায়ন কাজ শুরু
-
বিশেষত্ব: ঘন প্রাকৃতিক চিরহরিৎ বন, ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ
-
সংরক্ষণ: এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল
-
আয়তন: ১২৫০ হেক্টর
-
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট: দেশের ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অন্যতম
-
জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত: ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে
-
বন্যপ্রাণী: বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য বিখ্যাত
-
বৈশিষ্ট্য:
-
এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, যেমন নিরক্ষীয় অঞ্চলের রেইনফরেস্টে দেখা যায়।
-
গাছপালা উঁচু হয়ে প্রতিযোগিতামূলকভাবে আলো অর্জনের চেষ্টা করে।
-
বন এত ঘন যে মাটিতে সূর্যের আলো খুব কম পৌঁছায়।
-
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি জলজ উদ্ভিদ নয়?
Created: 1 day ago
A
হিজল
B
করচ
C
ডুমুর
D
গজারী
জলজ উদ্ভিদ
-
জলজ উদ্ভিদগুলো সহজে পানিতে ভাসতে পারে কারণ এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী (air cavities) থাকে।
-
অধিকাংশ জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ফাঁপা ও হালকা, যা ভাসতে সাহায্য করে।
-
এই বায়ু কুঠুরী পানিতে ভাসতে সাহায্য করার পাশাপাশি অক্সিজেনও সংরক্ষণ করে।
-
উদাহরণ: করচ, হিজল, ডুমুর।
সালোকসংশ্লেষণ সম্পর্কিত তথ্য:
-
জলজ উদ্ভিদ পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) গ্রহণ করে।
-
বায়ুমণ্ডলে CO₂ মাত্র ০.০৩%, কিন্তু পানিতে ০.৩% থাকে। তাই জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ হার স্থলজ উদ্ভিদের তুলনায় বেশি।
গজারী (শাল)
-
গজারীর অপর নাম শাল।
-
গাছ কাটার পর গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়, এজন্য গজারী নামটি এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
-
লাল মাটির পাহাড় ও ছোট টিলা জমিতে ভালো জন্মায়।
-
গজারী জলজ উদ্ভিদ নয় এবং পানিতে বেশি দিন বাঁচতে পারে না।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের উপকূলীয় সমভূমিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী যে ধরনের বন্যা কবলিত হয় তার নাম -
Created: 1 day ago
A
নদীজ বন্যা
B
আকস্মিক বন্যা
C
বৃষ্টিজনিত বন্যা
D
জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা
বাংলাদেশে বন্যা একটি খুব পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণভাবে বলা যায়, নদীর পানি যখন দু’পারের এলাকা ছাড়িয়ে আশেপাশের গ্রাম, শহর, বন্দর ও বাড়িঘর প্লাবিত করে এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসল ধ্বংস করে, তখন সেই পরিস্থিতিকেই বন্যা বলা হয়। বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই দেশের অনেক অঞ্চল বন্যায় আক্রান্ত হয়।
বন্যার ধরন ও প্রকৃতি অনুযায়ী এটিকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়:
মৌসুমী বন্যা
-
বর্ষার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে বন্যা হয়, তাকে মৌসুমী বন্যা বলা হয়।
-
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের জন্য এটি সাধারণত বড় ক্ষতি করে না, তবে মাঝে মাঝে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
-
যদি মৌসুমী বন্যার মাত্রা স্বাভাবিক হয়, তবে এটি ফসল উৎপাদনে সহায়ক হতে পারে।
আকস্মিক বন্যা
-
বর্ষার বাইরে হঠাৎ বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলের কারণে যে বন্যা হয়, তাকে আকস্মিক বন্যা বলা হয়।
-
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে এ ধরনের বন্যা বেশি ঘটে।
-
বিশেষ করে বোরো মৌসুমে এটি হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা
-
উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছাসের ফলে যে বন্যা হয়, তাকে জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা বলা হয়।
-
এই ধরনের বন্যার পানি সাধারণত ৩–৬ মিটার উঁচু হয় এবং ভূ-ভাগের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়।
-
জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যার স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে কম হয়।
নগর বন্যা
-
শহরাঞ্চলে সঠিক ও পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে বর্ষার সময় ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দেয়।
-
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতে এ ধরনের বন্যা বেশি ঘটে।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago