বাংলাদেশের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কী ধরণের বনভূমি?
A
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ , আধা-চিরহরিৎ জাতীয়
B
ক্রান্তীয় আর্দ্র পত্র পতনশীল জাতীয়
C
পত্র পতনশীল জাতীয়
D
ম্যানগ্রোভ জাতীয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের বনভূমি
-
কোনো দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মোট জমির প্রায় ২৫% বনভূমি থাকা প্রয়োজন।
-
বাংলাদেশের বনভূমিকে মাটি ও জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়:
১. ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বন
২. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পাতাঝরা মিশ্র বন
৩. স্রোতজ বন বা সুন্দরবন
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পাতাঝরা মিশ্র বন
-
পাহাড়ি ও বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় চিরহরিৎ বন এবং কম বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে পাতাঝরা বন দেখা যায়।
-
বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, এছাড়াও চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু অংশে এই বনপ্রকার বিস্তৃত।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
-
অবস্থান: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯২৫ সালে বনায়ন কাজ শুরু
-
বিশেষত্ব: ঘন প্রাকৃতিক চিরহরিৎ বন, ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ
-
সংরক্ষণ: এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল
-
আয়তন: ১২৫০ হেক্টর
-
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট: দেশের ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অন্যতম
-
জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত: ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে
-
বন্যপ্রাণী: বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য বিখ্যাত
-
বৈশিষ্ট্য:
-
এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, যেমন নিরক্ষীয় অঞ্চলের রেইনফরেস্টে দেখা যায়।
-
গাছপালা উঁচু হয়ে প্রতিযোগিতামূলকভাবে আলো অর্জনের চেষ্টা করে।
-
বন এত ঘন যে মাটিতে সূর্যের আলো খুব কম পৌঁছায়।
-
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মানবসৃষ্ট আপদ (hazard) নয়?
Created: 1 month ago
A
বায়ু দূষণ
B
দুর্ভিক্ষ
C
মহামারী
D
কালবৈশাখী
কালবৈশাখী মানবসৃষ্ট আপদ নয়।
আপদ (Hazard)- আপদ হল এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা যা মানুষের জীবনে বা জীবিকায় ক্ষতি করতে পারে। এটি ঘটতে পারে প্রাকৃতিক কারণ, মানুষের কার্যক্রম বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। আপদের ফলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপদের মধ্যে ফেলে। প্রাথমিক প্রভাব সাধারণত অবকাঠামোতে পড়ে, যার পুনঃনির্মাণ ব্যয়বহুল হয়।
প্রকারভেদ:
-
প্রাকৃতিক আপদ: ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, বজ্রঝড়, সুনামি, খরা, নদী ভাঙ্গন, কালবৈশাখী ইত্যাদি।
-
মানবসৃষ্ট আপদ: ভবন ধ্বস, সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড, বায়ু দূষণ, দুর্ভিক্ষ, মহামারী ইত্যাদি।
-
কারিগরি আপদ: বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে অগ্নিকান্ড, কলকারখানা বা শিল্প দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
উল্লেখ: কালবৈশাখী প্রাকৃতিক আপদের মধ্যে পড়ে, এটি কোনো মানবসৃষ্ট সমস্যা নয়।
উৎস: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২।
0
Updated: 1 month ago
ভারতীয় কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই?
Created: 2 months ago
A
আসাম
B
মিজোরাম
C
ত্রিপুরা
D
নাগাল্যান্ড
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত
-
নাগাল্যান্ডের সীমান্ত:
ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরাসরি কোনো সীমান্ত ভাগাভাগি করে না। -
সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters):
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে একত্রে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয়।-
এই রাজ্যগুলো হলো: আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম।
-
-
বাংলাদেশের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর সীমান্ত:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট ৫টি রাজ্যের সীমান্ত আছে, যার মধ্যে সেভেন সিস্টার্সের ৪টি রাজ্য রয়েছে।-
এই রাজ্যগুলো হলো:
-
আসাম
-
মেঘালয়
-
ত্রিপুরা
-
মিজোরাম
-
-
উল্লেখ্য: সেভেন সিস্টার্সভুক্ত মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত ভাগ করে না।
-
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্য একটি রাজ্য, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
-
বাংলাদেশের সীমান্তে অন্যান্য তথ্য:
-
বাংলাদেশ মোট ৩২টি জেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুক্ত।
-
ভারতের সঙ্গে: ৩০টি জেলা
-
মিয়ানমারের সঙ্গে: ৩টি জেলা
-
-
বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা, যার সঙ্গে উভয় দেশের (ভারত ও মিয়ানমার) সীমান্ত রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা।
-
তথ্যসূত্র: Britannica, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যার রেকর্ড অনুযায়ী (১৯৭১-২০০৭) কোন সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৪
B
১৯৮৮
C
১৯৯৮
D
২০০৭
বাংলাদেশে বন্যা একটি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণত নদীর পানি যখন তাদের তীর অতিক্রম করে আশেপাশের গ্রাম, শহর বা ফসলি জমি প্লাবিত করে, তখন তাকে বন্যা বলা হয়। প্রতি বছর দেশের অনেক অঞ্চল বিভিন্ন মাত্রায় বন্যার মুখোমুখি হয়।
বন্যার ধরণ:
ধরণ ও প্রকৃতি অনুযায়ী বন্যাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
মৌসুমী বন্যা
-
আকস্মিক বন্যা
-
উপকূলীয় বন্যা
-
নগর বন্যা
মৌসুমী বন্যা:
বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে বন্যা হয়, সেটিকে মৌসুমী বন্যা বলা হয়। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে এই ধরনের বন্যা সবসময় ক্ষতিকর হয় না। কখনো কখনো এটি ফসলের জন্য ইতিবাচক প্রভাবও ফেলে। তবে মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বন্যা ও তাদের পরিসংখ্যান:
-
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলা বন্যা ঘটেছিলো: ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে।
-
১৯৮৮ সালে নদীর পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে এবং ১৯৯৮ সালে ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়।
-
গঙ্গা (পদ্মা) নদীতে ১৯৮৮ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ৯৪ সেন্টিমিটার উপরে পৌঁছায়।
-
মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার পয়েন্টে ১৯৮৮ সালে পানি বিপদসীমার ১৮১ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ১০৮ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
-
১৯৮৮ সালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি একসাথে বৃদ্ধি পায়।
-
বন্যার আয়তন: ১৯৮৮ সালে দেশের ৬১% এলাকা ও ১৯৯৮ সালে ৬৮% এলাকা প্লাবিত হয়।
এই তথ্য অনুযায়ী বলা যায়, ১৯৯৮ সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
সূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago