বাংলাদেশে সারা বছর নাব্য নদীপথের দৈর্ঘ্য কত?
A
৮,০০০ কিমি.
B
৫,২০০ কিমি.
C
১১,০০০ কিমি.
D
৮,৫০০ কিমি.
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের নদী ও জলপথ সম্পর্কিত নিচের তথ্যটি নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল বই এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) তথ্যের ভিত্তিতে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হলো:
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল পাঠ্যপুস্তক ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, উপনদী ও শাখানদীসহ দেশের নদীগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,১৫৫ কিলোমিটার।
এর মধ্যে প্রায় ৮,৪০০ কিলোমিটার নদীপথ অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ হিসেবে পরিচিত। এই নদীপথের প্রায় ৫,৪০০ কিলোমিটার সারা বছর নৌযান চলাচলের উপযোগী, আর বাকি ৩,০০০ কিলোমিটার কেবল বর্ষাকালে ব্যবহারযোগ্য থাকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) তথ্যমতে, দেশে প্রায় ২৪,০০০ কিলোমিটার নদী, খাল এবং উপনদী রয়েছে, যা দেশের মোট ভূমির প্রায় ৭% অংশ জুড়ে বিস্তৃত। বর্ষাকালে এসব জলপথ পূর্ণতা পায় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি বিস্তৃত নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এই নেটওয়ার্কে বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৫,৯৬৮ কিলোমিটার জলপথ যান্ত্রিক নৌযানের চলাচলের উপযোগী থাকলেও, শুষ্ক মৌসুমে তা কমে প্রায় ৩,৮৬৫ কিলোমিটারে দাঁড়ায়।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাত দেশের মোট পণ্য পরিবহনের প্রায় ৫০% এবং যাত্রী পরিবহনের এক-চতুর্থাংশ পরিচালনা করে। সব দিক বিবেচনায়, প্রায় ৫,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথকে কার্যকর অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচলের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হিসেবে ধরা যায়।
তথ্যসূত্র:
-
নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল পাঠ্যপুস্তক
-
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (এসএসসি প্রোগ্রাম)
-
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BIWTA)

0
Updated: 3 months ago
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনায় সম্মিলিত নদী অববাহিকার কত শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 months ago
A
৪
B
১৪
C
৭
D
৩৩

বাংলাদেশ হিমালয় থেকে উৎসরিত ৩টি বৃহৎ নদী:
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলল দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ।
- নদীগুলোর মধ্যে ৫৭টি হচ্ছে আন্তঃসীমান্ত নদী যার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন এবং ৩টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে অভিন্ন।
- আবহমানকাল ধরে নদীমাতৃক বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা আবর্তিত হচ্ছে এসকল নদীর পানিকে ঘিরে।
- এ তিনটি নদীর অববাহিকার মোট আয়তন প্রায় — ১.৭২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যার মাত্র — ৭ শতাংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এসকল নদীর অন্যান্য অববাহিকাভূক্ত দেশ হচ্ছে ভারত, নেপাল, ভূটান ও চীন।
উৎস: যৌথ নদী কমিশন ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 months ago
পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন কোন নদীর উপনদী?
Created: 1 month ago
A
মহানন্দা
B
ভৈরব
C
কুমার
D
বড়াল
পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন মহানন্দার উপনদী
• মহানন্দা (Mahananda):
- হিমালয়ের পাদদেশে দার্জিলিং এর নিকটবর্তী মহালড্রীম পর্বত হতে মহানন্দা নদী উৎপত্তি হয়েছে।
- ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে। অত:পর ভারতের পূর্ণিয়া ও মালদহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাপাইনবাবগঞ্জের নিকট বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশ করে গোদাগাড়ির কাছে পদ্মার মিলিত হয়েছে।
- পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন এর উপনদী।
সূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ব্রহ্মপুত্র
B
পদ্মা
C
মেঘনা
D
যমুনা
ব্রহ্মপুত্র নদ
ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি দক্ষিণ-পশ্চিম হিমালয়ের তিব্বত অংশে অবস্থিত পবিত্র মানস সরোবর থেকে। এটি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদীগুলোর মধ্যে একটি, যার বিস্তৃতি চীন (তিব্বত), ভারত এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।
তিব্বতের ভূমি অতিক্রম করে নদীটি ভারতের আসাম রাজ্যে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এরপর দেওয়ানগঞ্জ (ময়মনসিংহ) অতিক্রম করে এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নেয় এবং ভৈরববাজারের দক্ষিণে গিয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়।
বাংলাদেশ অংশে প্রবেশের পর মেঘনার সঙ্গে মিলনের আগে নদীটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। এই অংশে নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৭ কিলোমিটার। আর এর সামগ্রিক দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮৫০ কিলোমিটার, যা শুরু হয় তিব্বতের উৎপত্তিস্থল থেকে।
আসাম অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রকে স্থানীয়ভাবে দিহাঙ নামে ডাকা হয়। এর মোট অববাহিকা এলাকা প্রায় ৫,৮৩,০০০ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশে এই নদীটি স্বাভাবিকভাবে বিনুনি (meandering) প্রকৃতির।
এই নদীর উল্লেখযোগ্য শাখানদী হলো বংশী ও শীতলক্ষ্যা, এবং প্রধান উপনদী হিসেবে রয়েছে ধরলা ও তিস্তা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটে ১৭৮৭ সালের এক ভূমিকম্পে, যার ফলে নদীর তলদেশ উঠে আসে এবং ব্রহ্মপুত্রের মূল ধারার পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে একটি নতুন স্রোতধারা গঠিত হয়, যা আজকে যমুনা নদী নামে পরিচিত।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago