সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
A
নয়াদিল্লি
B
কলম্বো
C
ঢাকা
D
কাঠমান্ডু
উত্তরের বিবরণ
সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (SAARC Disaster Management Centre)
SAARC
-
পূর্ণরূপ: South Asian Association for Regional Cooperation
-
এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম।
-
প্রতিষ্ঠিত: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৫, ঢাকায়।
-
বর্তমানে সদস্য দেশ সংখ্যা: ৮টি।
সার্কের আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র: গান্ধীনগর, গুজরাট, ভারত
-
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র: কলম্বো, শ্রীলংকা
-
কৃষি ও আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র: ঢাকা, বাংলাদেশ
-
যক্ষ্মা ও এইচআইভি/এইডস কেন্দ্র: কাঠমান্ডু, নেপাল
-
শক্তি কেন্দ্র: পাকিস্তান
-
বন গবেষণা কেন্দ্র: থিম্পু, ভুটান
-
মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র: ইসলামাবাদ, পাকিস্তান
-
উপকূলীয় অঞ্চল ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র: মালদ্বীপ
মূল তথ্য:
-
প্রথমে ২০০৬ সালে নয়াদিল্লিতে সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
২০১৬ সালে সার্ক আবহাওয়া কেন্দ্র, বন কেন্দ্র এবং উপকূলীয় কেন্দ্রকে একীভূত করে কেন্দ্রটি গুজরাটের গান্ধীনগরে স্থানান্তর করা হয়।
-
বর্তমানে এই কেন্দ্র গুজরাট, গান্ধীনগরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উৎস: SAARC ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
'সােয়াচ অব নাে গ্রাউন্ড' কী?
Created: 1 month ago
A
একটি দেশের নাম
B
ম্যানগ্রোভ বন
C
একটি দ্বীপ
D
সাবমেরিন ক্যানিয়ন
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড একটি বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক অববাহিকা, যা খাদ আকৃতির এবং বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত। এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করছে এবং গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত।
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের প্রস্থ ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার, তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল এবং পার্শ্ব দেয়াল প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো। মহীসোপানের কিনারায় এর গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার। বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত তৈরি করে বেঙ্গল ফ্যানে পলল ফেলে।
অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন হয় এবং এগুলো হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর দিক থেকে আসে। বর্তমানে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত ও বালি মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
-
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড (Swatch of No Ground) খাদ আকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা।
-
বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত।
-
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করছে।
-
গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত।
-
প্রস্থ ৫–৭ কিলোমিটার, তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল এবং পার্শ্ব দেয়াল প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো।
-
মহীসোপানের কিনারায় গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত তৈরি করে বেঙ্গল ফ্যানে পলল ফেলে।
-
অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন হয়।
-
পলল হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর দিক থেকে আসে।
-
বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত ও বালি মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
0
Updated: 1 month ago
'জুম' চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশের কোন জেলাসমূহে দেখা যায়?
Created: 2 months ago
A
সাতক্ষীরা, যশোহর, কুষ্টিয়া
B
নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ
C
বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম
D
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ
জুমচাষ (Jhum) পদ্ধতি
-
জুমচাষ বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
-
জুমচাষ মানে হলো স্থানের পরিবর্তন করে চাষ করা। এর মাধ্যমে কৃষকরা এক জায়গায় কয়েক বছর (প্রায় ১–৩ বছর) ফসল চাষ করেন, তারপর সেই জমিকে দীর্ঘ সময় (১০–৪০ বছর) বনায়ন ও মাটির উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য ফেলে দেন।
-
চাষ করার পদ্ধতিতে বন কেটে বা পোড়ানো হয়, তাই এটিকে সাধারণভাবে ‘সুইডেন চাষাবাদ’ বা জঙ্গল পরিষ্কার ও পোড়ানো চাষাবাদ’ বলা হয়।
-
জুমচাষ কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য পাহাড়ি দেশে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে এটি প্রধানত রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে হয়। এছাড়া সিলেটের কিছু পাহাড়ি এলাকায়ও জুমচাষ হয়।
-
পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে জুমচাষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
জুমচাষের নেতিবাচক প্রভাব:
-
মাটির উর্বরতা হ্রাস।
-
ভূমিক্ষয় ও পাহাড়ি ঢালে ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।
-
বন উজাড় ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট।
-
নদী, হ্রদ ও জলাশয় ভরাট হওয়া।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি, সপ্তম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
২০০৪ সালের ভয়ংকর সুনামি ঢেউয়ের গতি ছিল ঘণ্টায় -
Created: 2 months ago
A
১০০-২০০ কি.মি
B
৩০০-৪০০ কি.মি
C
৭০০-৮০০ কি.মি
D
৯০০-১০০০ কি.মি
২০০৪ সালের ভয়ংকর সুনামি
-
২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী ১৪টি দেশে ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সুনামি আঘাত হানে।
-
সুনামির উৎপত্তি হয় ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুমাত্রার ১০০ মাইল পশ্চিমে সমুদ্রের প্রায় ১৯ মাইল নিচে, যেখানে ৯.৩ মাত্রার এক ভূমিকম্প ঘটে।
-
এই ভূমিকম্প ৮–১০ মিনিট ধরে স্থায়ী হয় এবং শক্তিতে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় ২৩,০০০ গুণ বেশি ছিল।
-
সুনামির ঢেউ ঘণ্টায় ৭০০–৮০০ কিলোমিটার গতি ছাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে।
-
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে সুদূর আফ্রিকার কিছু উপকূল পর্যন্ত এই ভয়ংকর সুনামি আঘাত হানে, কিছু স্থানে ঢেউ প্রায় ১০০ ফুট উঁচু হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে।
উৎস: Britannica
1
Updated: 2 months ago