বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যার রেকর্ড অনুযায়ী (১৯৭১-২০০৭) কোন সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়?
A
১৯৭৪
B
১৯৮৮
C
১৯৯৮
D
২০০৭
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে বন্যা একটি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণত নদীর পানি যখন তাদের তীর অতিক্রম করে আশেপাশের গ্রাম, শহর বা ফসলি জমি প্লাবিত করে, তখন তাকে বন্যা বলা হয়। প্রতি বছর দেশের অনেক অঞ্চল বিভিন্ন মাত্রায় বন্যার মুখোমুখি হয়।
বন্যার ধরণ:
ধরণ ও প্রকৃতি অনুযায়ী বন্যাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
মৌসুমী বন্যা
-
আকস্মিক বন্যা
-
উপকূলীয় বন্যা
-
নগর বন্যা
মৌসুমী বন্যা:
বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে বন্যা হয়, সেটিকে মৌসুমী বন্যা বলা হয়। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে এই ধরনের বন্যা সবসময় ক্ষতিকর হয় না। কখনো কখনো এটি ফসলের জন্য ইতিবাচক প্রভাবও ফেলে। তবে মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বন্যা ও তাদের পরিসংখ্যান:
-
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলা বন্যা ঘটেছিলো: ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে।
-
১৯৮৮ সালে নদীর পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে এবং ১৯৯৮ সালে ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়।
-
গঙ্গা (পদ্মা) নদীতে ১৯৮৮ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ৯৪ সেন্টিমিটার উপরে পৌঁছায়।
-
মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার পয়েন্টে ১৯৮৮ সালে পানি বিপদসীমার ১৮১ সেন্টিমিটার উপরে, আর ১৯৯৮ সালে ১০৮ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
-
১৯৮৮ সালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি একসাথে বৃদ্ধি পায়।
-
বন্যার আয়তন: ১৯৮৮ সালে দেশের ৬১% এলাকা ও ১৯৯৮ সালে ৬৮% এলাকা প্লাবিত হয়।
এই তথ্য অনুযায়ী বলা যায়, ১৯৯৮ সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
সূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলের মোট শক্তির কত শতাংশ সূর্য হতে আসে?
Created: 2 months ago
A
৯০ শতাংশ
B
৯৪ শতাংশ
C
৯৮ শতাংশ
D
৯৯.৯৭ শতাংশ
বায়ুমণ্ডল ও এর উপাদানসমূহ
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হলো বায়ুর এক স্তরবিশিষ্ট আবরণ, যা আমাদের গ্রহকে ঘিরে আছে। এটি প্রায় ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরগুলি উপরের স্তরের সাথে এবং উপরের বায়ুর সাথে ক্রমাগত চাপ বিনিময় করে, তাই পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের নিকটে বায়ু ঘন হয়ে থাকে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মূলত সূর্য থেকে প্রাপ্ত শক্তির ওপর নির্ভরশীল; মোট শক্তির প্রায় ৯৯.৯৭% সূর্য থেকেই আসে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানসমূহ:
-
নাইট্রোজেন (N₂): ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন (O₂): ২০.৭১%
-
আর্গন (Ar): ০.৮০%
-
জলীয়বাষ্প (H₂O): ০.৪১%
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂): ০.০৩%
-
অন্যান্য গ্যাস: ০.০২%
-
ধূলিকণা ও ছোট কণিকা: ০.০১%
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী, বাংলাদেশ।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের এফ. সি. ডি. আই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী?
Created: 1 month ago
A
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
B
নিষ্কাশন
C
সেচ প্রকল্প
D
উপরের সবগুলো
বাংলাদেশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন এবং সেচ প্রকল্পগুলি মূলত বন্যার প্রভাব কমানো এবং কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই প্রকল্পগুলো বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ এবং শস্য উৎপাদনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সহায়তা করে।
-
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থার কারণে, প্রতি বছর কমপক্ষে ২০% এলাকা বন্যার কবলে পড়ে।
-
মারাত্মক পরিস্থিতিতে, যেমন ১৯৯৮ সালের বন্যা, বন্যা কবলিত এলাকার পরিমাণ প্রায় ৭০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন এবং সেচ প্রকল্পসমূহ বন্যার তীব্রতা হ্রাস, পানি নিষ্কাশন এবং কৃষি উৎপাদনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 month ago
'সােয়াচ অব নাে গ্রাউন্ড' কী?
Created: 1 month ago
A
একটি দেশের নাম
B
ম্যানগ্রোভ বন
C
একটি দ্বীপ
D
সাবমেরিন ক্যানিয়ন
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড একটি বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক অববাহিকা, যা খাদ আকৃতির এবং বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত। এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করছে এবং গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত।
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের প্রস্থ ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার, তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল এবং পার্শ্ব দেয়াল প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো। মহীসোপানের কিনারায় এর গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার। বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত তৈরি করে বেঙ্গল ফ্যানে পলল ফেলে।
অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন হয় এবং এগুলো হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর দিক থেকে আসে। বর্তমানে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত ও বালি মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
-
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড (Swatch of No Ground) খাদ আকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা।
-
বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত।
-
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করছে।
-
গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত।
-
প্রস্থ ৫–৭ কিলোমিটার, তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল এবং পার্শ্ব দেয়াল প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো।
-
মহীসোপানের কিনারায় গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত তৈরি করে বেঙ্গল ফ্যানে পলল ফেলে।
-
অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন হয়।
-
পলল হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর দিক থেকে আসে।
-
বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত ও বালি মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
0
Updated: 1 month ago