নিচের কোনটি জলজ উদ্ভিদ নয়?
A
হিজল
B
করচ
C
ডুমুর
D
গজারী
উত্তরের বিবরণ
জলজ উদ্ভিদ
-
জলজ উদ্ভিদগুলো সহজে পানিতে ভাসতে পারে কারণ এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী (air cavities) থাকে।
-
অধিকাংশ জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ফাঁপা ও হালকা, যা ভাসতে সাহায্য করে।
-
এই বায়ু কুঠুরী পানিতে ভাসতে সাহায্য করার পাশাপাশি অক্সিজেনও সংরক্ষণ করে।
-
উদাহরণ: করচ, হিজল, ডুমুর।
সালোকসংশ্লেষণ সম্পর্কিত তথ্য:
-
জলজ উদ্ভিদ পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) গ্রহণ করে।
-
বায়ুমণ্ডলে CO₂ মাত্র ০.০৩%, কিন্তু পানিতে ০.৩% থাকে। তাই জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ হার স্থলজ উদ্ভিদের তুলনায় বেশি।
গজারী (শাল)
-
গজারীর অপর নাম শাল।
-
গাছ কাটার পর গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়, এজন্য গজারী নামটি এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
-
লাল মাটির পাহাড় ও ছোট টিলা জমিতে ভালো জন্মায়।
-
গজারী জলজ উদ্ভিদ নয় এবং পানিতে বেশি দিন বাঁচতে পারে না।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর মধ্যে কোন খাতে বেশি কর্মসংস্থান হয়?
Created: 1 month ago
A
নির্মাণ খাত
B
কৃষি খাত
C
সেবা খাত
D
শিল্প কারখানা খাত
খাতভিত্তিক কর্মসংস্থান (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর অবদান ও কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিম্নরূপ:
কৃষি খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ১১.০২%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৩.২১%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ৪৫%
শিল্প খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ৩৭.৯৫%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৬.৬৬%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ১৭%
সেবা খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ৫১.০৪%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮০%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ৩৮%
বিশ্লেষণ
-
কর্মসংস্থানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় খাত হলো কৃষি, কারণ এখানে জনশক্তির প্রায় অর্ধেক নিয়োজিত।
-
অর্থনৈতিক অবদানে সবচেয়ে বড় খাত হলো সেবা খাত, যা দেশের মোট জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অংশ রাখে।
-
শিল্প খাত তুলনামূলকভাবে ছোট খাত হিসেবে জনশক্তি নিয়োগে হলেও, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪
0
Updated: 1 month ago
'জুম' চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশের কোন জেলাসমূহে দেখা যায়?
Created: 2 months ago
A
সাতক্ষীরা, যশোহর, কুষ্টিয়া
B
নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ
C
বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম
D
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ
জুমচাষ (Jhum) পদ্ধতি
-
জুমচাষ বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
-
জুমচাষ মানে হলো স্থানের পরিবর্তন করে চাষ করা। এর মাধ্যমে কৃষকরা এক জায়গায় কয়েক বছর (প্রায় ১–৩ বছর) ফসল চাষ করেন, তারপর সেই জমিকে দীর্ঘ সময় (১০–৪০ বছর) বনায়ন ও মাটির উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য ফেলে দেন।
-
চাষ করার পদ্ধতিতে বন কেটে বা পোড়ানো হয়, তাই এটিকে সাধারণভাবে ‘সুইডেন চাষাবাদ’ বা জঙ্গল পরিষ্কার ও পোড়ানো চাষাবাদ’ বলা হয়।
-
জুমচাষ কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য পাহাড়ি দেশে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে এটি প্রধানত রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে হয়। এছাড়া সিলেটের কিছু পাহাড়ি এলাকায়ও জুমচাষ হয়।
-
পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে জুমচাষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
জুমচাষের নেতিবাচক প্রভাব:
-
মাটির উর্বরতা হ্রাস।
-
ভূমিক্ষয় ও পাহাড়ি ঢালে ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।
-
বন উজাড় ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট।
-
নদী, হ্রদ ও জলাশয় ভরাট হওয়া।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি, সপ্তম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
নয়াদিল্লি
B
কলম্বো
C
ঢাকা
D
কাঠমান্ডু
সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (SAARC Disaster Management Centre)
SAARC
-
পূর্ণরূপ: South Asian Association for Regional Cooperation
-
এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম।
-
প্রতিষ্ঠিত: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৫, ঢাকায়।
-
বর্তমানে সদস্য দেশ সংখ্যা: ৮টি।
সার্কের আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র: গান্ধীনগর, গুজরাট, ভারত
-
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র: কলম্বো, শ্রীলংকা
-
কৃষি ও আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র: ঢাকা, বাংলাদেশ
-
যক্ষ্মা ও এইচআইভি/এইডস কেন্দ্র: কাঠমান্ডু, নেপাল
-
শক্তি কেন্দ্র: পাকিস্তান
-
বন গবেষণা কেন্দ্র: থিম্পু, ভুটান
-
মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র: ইসলামাবাদ, পাকিস্তান
-
উপকূলীয় অঞ্চল ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র: মালদ্বীপ
মূল তথ্য:
-
প্রথমে ২০০৬ সালে নয়াদিল্লিতে সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
২০১৬ সালে সার্ক আবহাওয়া কেন্দ্র, বন কেন্দ্র এবং উপকূলীয় কেন্দ্রকে একীভূত করে কেন্দ্রটি গুজরাটের গান্ধীনগরে স্থানান্তর করা হয়।
-
বর্তমানে এই কেন্দ্র গুজরাট, গান্ধীনগরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উৎস: SAARC ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago