A
১৯৪৮
B
১৯৫৬
C
১৯৪৫
D
২০০০
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ও সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা
-
১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়।
-
কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে, যার কাজ ছিল মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার খসড়া তৈরি করা।
-
এই খসড়া ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত হয়।
-
ঘোষণায় মোট ৩০টি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
পরবর্তীতে, প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার মূল বক্তব্য
-
মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং অধিকারের দিক থেকে সমান।
-
বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, জাতীয়তা, ধনী-গরিব, রাজনৈতিক মতামত বা সামাজিক অবস্থান— কোনো কিছুর ভিত্তিতে মানবাধিকার ভোগে বৈষম্য করা যাবে না।
-
সবার জন্য সমানভাবে অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
উৎস: জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 day ago
নিম্নের কোন কার্যক্রমের সাথে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুক্ত?
Created: 5 days ago
A
প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ
B
পরিবেশ সংরক্ষণ
C
মানবাধিকার সংরক্ষণ
D
ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, যার মূল কার্যালয় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে আসছে।
এ সংস্থার বর্তমান মহাসচিব হলেন ফরাসি নাগরিক অ্যাগনেস ক্যালামার্ড, যিনি ২০২১ সালে এই পদে নিযুক্ত হন। মানবাধিকারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ১৯৭৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে।
উৎস: Amnesty International-এর সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 5 days ago
সুয়েজ খাল কোন বছর চালু হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯০৩
B
১৮৬৯
C
১৮৮৯
D
১৮৫৪
সুয়েজ খাল
-
সুয়েজ খাল মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত।
-
এটি একটি কৃত্রিম খাল যা ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত করে।
-
খালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২৫ এপ্রিল, ১৮৫৯ সালে এবং প্রায় দশ বছরের পর, ১৭ নভেম্বর, ১৮৬৯ সালে এটি সর্বসাধারণের জন্য চালু করা হয়।
-
বর্তমানে খালটি মিশরের সুয়েজ ক্যানেল অথোরিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য যে, মিশরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের ১৯৫৬ সালে সুয়েজ খালকে জাতীয়করণ করেন এবং এটি মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেলের গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পথ হিসেবে মিশরের নিয়ন্ত্রণে আসে।
উৎসঃ Britannica

0
Updated: 1 week ago
কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
রিচার্ড এম নিক্সন
B
জন এফ কেনেডি
C
লিন্ডন বেইনস জনসন
D
হ্যারি এস ট্রুম্যান
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকতিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি গম্ভীর ৩৫ দিনের সংঘর্ষ, যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় রাজনৈতিক সংকটের রূপ নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সামরিক শক্তি বিস্তারের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
সেই সময়ের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের প্রভাব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে এই সংকট বিশেষ মাত্রা লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ইতালি ও তুরস্কে স্থাপনের জবাবে, সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে।
ফ্লোরিডার উপকূল থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে, ১৯৬২ সালের ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কিউবার প্রতি নৌ অবরোধ ঘোষণা করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। এই সংকটের ফলে ল্যাটিন আমেরিকার সমগ্র অঞ্চল যুদ্ধের উত্তেজনায় ধরা দেয় এবং বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়।
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট হিসেবে পরিচিত এই ঘটনা শীতল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং পারমাণবিক সংঘাতের সম্ভাবনাকে প্রায় বাস্তব আকার দেয়।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 1 month ago