জাতিসংঘ কোন সালে মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণার ঐতিহাসিক নথিটি গ্রহণ করে?
A
১৯৪৮
B
১৯৫৬
C
১৯৪৫
D
২০০০
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ও সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা
-
১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়।
-
কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে, যার কাজ ছিল মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার খসড়া তৈরি করা।
-
এই খসড়া ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত হয়।
-
ঘোষণায় মোট ৩০টি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
পরবর্তীতে, প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার মূল বক্তব্য
-
মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং অধিকারের দিক থেকে সমান।
-
বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, জাতীয়তা, ধনী-গরিব, রাজনৈতিক মতামত বা সামাজিক অবস্থান— কোনো কিছুর ভিত্তিতে মানবাধিকার ভোগে বৈষম্য করা যাবে না।
-
সবার জন্য সমানভাবে অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
উৎস: জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
'গ্লাসনস্ত নীতি' কোন দেশে চালু হয়েছিল?
Created: 2 months ago
A
চীন
B
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন
C
হাঙ্গেরি
D
পোল্যান্ড
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘গ্লাসনস্ত’ ও ‘পেরেস্ত্রোইকা’ নীতি
সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৮৫ সালে মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতায় আসার পর দুইটি সংস্কারমূলক নীতি চালু করেন: গ্লাসনস্ত এবং পেরেস্ত্রোইকা।
গ্লাসনস্ত নীতি
-
অর্থ: “খোলা দরজা” বা খোলামেলা আলোচনা।
-
উদ্দেশ্য: সোভিয়েত নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
-
এটি ছিল রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি, যার মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গণমত ও স্বচ্ছতা আনতে চাওয়া হয়।
-
গ্লাসনস্ত নীতির আওতায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল:
১. নির্বাচিত কোনো ব্যক্তি একই পদে একের বেশিবার দুবারের বেশি থাকতে পারবে না।
২. “কংগ্রেস অব পিপলস ডেপুটি” হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব, যার সদস্য সংখ্যা হবে ২২৫০।
৩. ডেপুটিদের মধ্য থেকে একটি স্থায়ী কার্যনির্বাহী “সুপ্রিম সোভিয়েত” নির্বাচিত হবে।
৪. রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কংগ্রেস অব পিপলস ডেপুটি গোপন ভোটে নির্বাচন করবে। -
উল্লেখযোগ্য: গ্লাসনস্তের জন্য গর্বাচেভ ১৯৯০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
পেরেস্ত্রোইকা নীতি
-
অর্থ: অর্থনৈতিক পুনর্গঠন।
-
এটি ছিল অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি, যার লক্ষ্য ছিল সোভিয়েত অর্থনীতিতে আধুনিকীকরণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি।
সূত্র: তারেক শামসুর রেহমান, বিশ্বরাজনীতির ১০০ বছর
0
Updated: 2 months ago
IMF-এর সদর দপ্তর অবস্থিত-
Created: 2 months ago
A
ওয়াশিংটন ডিসি
B
নিউইয়র্ক
C
জেনেভা
D
রোম
IMF (International Monetary Fund) বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল:
-
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:
১৯৩০ সালের মহামন্দার পর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ১৯৪৪ সালের ১-২২ জুলাই অনুষ্ঠিত ব্রেটন উডস সম্মেলন (Bretton Woods Conference) এর মাধ্যমে IMF গঠিত হয়। এই সম্মেলনে ৪৪টি দেশের নেতা অংশ নেন। মূল উদ্যোক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের Harry Dexter White এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ John Maynard Keynes, যাদের IMF ও বিশ্বব্যাংকের “Founding Fathers” বলা হয়। -
উদ্দেশ্য:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং দেশের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। -
সদস্যপদ:
বর্তমানে IMF-এর সদস্য দেশ ১৯০টি, বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট সদস্যপদ লাভ করে। -
সদর দপ্তর ও নেতৃত্ব:
সদর দপ্তর: ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক: ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা -
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
IMF-এর রিজার্ভ মুদ্রা হলো ৫টি: ডলার, পাউন্ড, ইয়েন, ইউরো ও ইউয়ান। -
উল্লেখযোগ্য ফলাফল:
ব্রেটন উডস সম্মেলনের ফলশ্রুতিতে IMF, বিশ্বব্যাংক, এবং পরবর্তীতে GATT (বর্তমান WTO) গঠিত হয়।
উৎস: IMF-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
জাতিসংঘের 'Champion of the Earth' খেতাবপ্রাপ্ত কে?
Created: 1 month ago
A
হিলারি ক্লীন্টন
B
থেরেসা মে
C
এঞ্জেলা মার্কেল
D
শেখ হাসিনা
চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ
-
চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ হলো জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ বার্ষিক সম্মাননা।
-
এটি এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় যারা পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
-
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে।
-
পুরস্কারটি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়।
উদাহরণ: ২০১৫ সালে, পলিসি লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মাননা অর্জন করেন।
উৎস: UNEP ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago